জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ৪

রাত বারোটায় আনন্দবাজারের সিঁড়ি দিয়ে শক্তিদার সঙ্গে নামলাম রস বুঝতে। পকেটে দেখলাম টাকা কুড়ি মতন আছে। এক বোতল বাংলা হয়ে যাবে। তবু জিজ্ঞেস করলাম, ‘টাকা কুড়ি আছে। হবে তো?’
শক্তিদা ঠোঁটে তর্জনী ঠেকিয়ে বলল, ‘চুপ! রসের ব্যাপারে টাকার কথা তুলতে নেই।’
শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ
চতুর্থ পর্ব …
জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ৩

সেদিন সকালে ট্রামে করে যখন নায়ারের মেসে যাচ্ছি কেবলই শুনি ও বলছে, “জীবনে বেশি বই থাকে না যা তোমার জীবনটাই বদলে দেবে। ক্ল্যাসিক্স-ফ্ল্যাসিক্স তো ঢের আছে, থাকবেও, পড়তেও হবে। কিন্তু এই যেটা গত তিনদিন পড়ে কাহিল হয়ে গেলাম, এ বই নয় বারুদ। মগজ প্রায় বিগড়ে যাবার দশা। শুধু মনে হচ্ছিল তোমার সঙ্গে শেয়ার করে একটু নর্মাল হই। পরেই ভাবলাম, No. You also need this shock. তোমাকে পড়ে পাগল হতে হবে। তাই সবুর করো, মেসে গিয়ে টোস্ট, অমলেট, চা নিয়ে বসি। তারপর…
শুরু হল শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ তৃতীয় পর্ব …
বিসর্জন

রেস্তোরাঁয় বাইরে বেরোতেই প্রবল বৃষ্টি আর দ্বিতীয় অদ্ভুত ঘটনা। ক্লে’র সোনার মেডেল দেখে হিংসেয় জ্বলেপুড়ে যাওয়া চার শ্বেতাঙ্গ গুন্ডা বাইকে করে ওঁকে ও রনিকে তাড়া করল। উদ্দেশ্য মেডেলটা কেড়ে নেওয়া আর একটু মারধর করে সাদাদের ক্ষমতা জাহির করা।
ভারতীয় কুস্তিগীরদের আন্দোলন ও পদক বিসর্জন দেওয়ার ঘোষণা মনে করিয়ে দিচ্ছে কিংবদন্তি বিশ্ব-চ্যাম্পিয়ন মহম্মদ আলির জীবনের ঘটনা। সেই প্রসঙ্গেই দু-চার কথা, লিখলেন শংকরলাল ভট্টাচার্য।
জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ২

খাঁ সাহেব গেয়েছিলেন বেহাগ, কেদার ও আভোগী কানাড়া। গ্রামোফোন কোম্পানি রেকর্ডও করেছিলেন সেই আসর। ওঁর সঙ্গে হারমোনিয়ামে ছিলেন কমল বন্দ্যোপাধ্যায়। কমলদা’র কাছে শোনা গানের এক বিরতিতে খাঁ সাহেব ওঁকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, ‘‘কমল, তুমি কি আমার গলায় এক-আধবার একটা শাঁখের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছো?’’ কমলদা যখন বললেন, ‘‘হ্যাঁ। এর আগের দিনেও গলায় ওই আওয়াজ পেয়েছি। ভাবছিলাম এটা একটা নতুন কাজ আপনার গলার।’’
শুরু হল শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ দ্বিতীয় পর্ব
জীবন থেকে জীবনে: তৃতীয় পর্যায়-পর্ব ১

শীতের সকালে সাদা টুইডের কোট, নতুন সোনালি চশমা, একমাথা ঝাঁকড়া চুল আর কাগজকলম নিয়ে পৌঁছে গেছিলাম গল্ফ ক্লাব রোডের সেই সাবেক স্টাইলের বাড়িতে, সেখানে তখন রবিশঙ্করের দাদা উদয়শঙ্কর থাকতেন। সেবার দাদার সঙ্গে এসে থেকেছিলেন রবিশঙ্কর! আমায় দেখেই বললেন, “বাহ্, এখন তো পাকাপোক্ত জার্নালিস্ট দেখছি।”
শুরু হল শংকরলাল ভট্টাচার্যের ধারাবাহিক কলাম ‘জীবন থেকে জীবনে’-র তৃতীয় পর্যায়, আজ প্রথম পর্ব
জীবন থেকে জীবনে: অন্তিম পর্ব

কেন যে এমন আফশোসের সুর ছিল শান্তিদা’র গলায় তার কিছুই বুঝিনি সেদিন। চমকে উঠে আন্দাজটা এল যেদিন সকালে কাগজ খুলে জানলাম শান্তিরঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায় আর নেই। মৃত্যুর সংবাদের সঙ্গে বন্ধু সন্তোষকুমার ঘোষের মর্মস্পর্শী স্মৃতিচারণা। বাড়ি যাবার আগে স্বভাবমতন বন্ধুকে বলেও গেছেন, ‘চলি, সন্তোষ।’ ঘুণাক্ষরেও টের পাননি আনন্দবাজারের যুগ্ম সম্পাদক যে এটাই বন্ধুর শেষ যাওয়া। বাড়ি গিয়ে পরিবার-পরিজনকে বুঝিয়ে বিষ খাবেন তিনি। ভরন্ত সুখের মধ্যেই চলে যাওয়া স্থির করলেন তিনি।
…লিখলেন শংকরলাল ভট্টাচার্য
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২৪

অবশেষে ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১-এ মুক্তিযুদ্ধে বাংলার জয়ের পর শেখ সাহেবকে মুক্তি দিল পাকিস্তান এবং তিনি লন্ডন হয়ে ঢাকায় এসে পৌঁছলেন ১০ জানুয়ারি, ১৯৭২-এ। পাক বন্দিশালা থেকে লন্ডন হয়ে তাঁর ঢাকা এসে পৌঁছনো একটা রোমাঞ্চকর ঘটনাক্রম। মুজিবকে পাকরা কোথায় সরাচ্ছেন, কোত্থেকে কোথায়, সত্যিই কি তাঁকে মুক্ত করা হচ্ছে, করলে কখন কীভাবে? এহেন শতেক প্রশ্নে সারাদিন সে কী উত্তেজনা!
পিতৃভূমি বাংলাদেশ ভ্রমণের কথা শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলমে। পর্ব ২8
জীবন থেকে জীবনে: পর্ব ২০

চাকরি যখন হয়েছে তখন তিনটি করণীয় কাজ এখন। প্রথম হল আনন্দবাজার থেকে বেরিয়ে কোনও একখান থেকে ফোনে মা-কে খবরটা দেওয়া। শংকরলাল ভট্টাচার্যের কলাম। পর্ব ২০।