ও শরবতে ভিষ নাই!

তবে হ্যাঁ, শরবতকে জাতে তুলে দিয়েছিলেন মগনলাল মেঘরাজ আর জটায়ু। অমন ঘনঘটাময় শরবতের সিন না থাকলে ফেলুদা খানিক ম্যাড়মেড়ে হয়ে যেত। শরবতও যে একটা দুর্দান্ত চরিত্র হয়ে উঠেছে এই সিনটিতে, তা বোধগম্য হয় একটু বড় বয়সে। শরবতের প্রতি লালমোহন বাবুর অবিশ্বাস, তাঁর ভয়, তাঁর আতঙ্ক আমাদেরও শঙ্কিত করে তোলে নির্দিষ্ট গ্লাসের শরবতের প্রতি।…

নতুন “নতুন”কে চিনতে হবে

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়েছিটিয়ে থাকা সব বাঙালি যে দিন নিজের গোঁ ছেড়ে নমনীয় হয়ে নতুন “নতুন”কে গ্রহণ করতে শিখবে, সে দিনই আবার হবে বাঙালির সত্যিকারের নববর্ষ, সত্যিকারের বৈশাখ।তা ক্যালেন্ডারে মাসটা শ্রাবণ কী অগ্রহায়ণ, যা-ই হোক না কেন!

বিশ্বজন মোহিছে

pandit ravishankar

রবিশঙ্কর আজীবন ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের প্রতি থেকেছেন শ্রদ্ধাশীল। আর বারে বারে পাশ্চাত্যের উপযোগী করে তাকে পরিবেশন করেছেন। আবার জাপানি সঙ্গীতের সঙ্গে তাকে মিলিয়েও, দুই দেশের বাদ্যযন্ত্রের সম্মিলিত ব্যবহার করে নিরীক্ষা করেছেন। সারাক্ষণ, সব শুচিবায়ু ভেঙে, তিনি মেলানোর, মেশানোর, চেষ্টার, কৌতূহলের রাজ্যের বাসিন্দা হতে চেয়েছেন। এই প্রাণশক্তি আর প্রতিভার মিশ্রণেই, তিনি বিদেশের কাছে ভারতীয় মার্গসঙ্গীতের মুখ। আর ভারতের কাছে, পাশ্চাত্যের জৌলুসযুক্ত তারকা।

আমি যে রিসকাওয়ালা

ব্যস্তসমস্ত রাস্তার মধ্যে দিয়ে কাটিয়ে কাটিয়ে হেলেদুলে যেতে আমার ভালই লাগে। ছাপড়া আর মুঙ্গের জেলার বহু ভূমিহীন কৃষকের রিকশায় আমার ছোটবেলা কেটেছে। যে ছোট বেলায় আনন্দ মিশে আছে, যে ছোট-বড় বেলায় ওদের কষ্ট মিশে আছে, যে বড় বেলায় ওদের অনুপস্থিতির যন্ত্রণা মিশে আছে। থাকবেও চির দিন।

বাঙালি আবেগের কারিগর – অজয় কর

Ajay Kar

অজয় কর জন্মেছিলেন কলকাতায়। ১৯১৪ সালে। মাত্র সতেরো বছর বয়স থেকে ছবি তোলায় নিজেকে পোক্ত করেছেন এবং তার কিছু কাল পর থেকেই সিনেমাটোগ্রাফার হিসেবে বেশ নামডাক করেছেন। ঠিক কবে থেকে করেছেন, কী বিষয়ে করেছেন, আমাদের মতো ম্যাঙ্গো পিপল-এর না জানলেও চলবে, শুধু জানতে হবে যে তাঁর কাজে পদে পদে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছেন। কেবল মুন্সিয়ানায় থেমে থাকেননি। অভিনবত্ব দেখিয়েছেন।

অসামাজিকতাই একমাত্র রক্ষাকবচ

Social isolation to prevent coronavirus

আপনি বাঁচলে বাপের নাম— এখন আর নয়। এখন সবাই বাঁচলে নিজের বাঁচার একটা সম্ভবনা আছে। সুতরাং বাধ্য হয়ে সবার কথা ভাবতে হবে। কেবল নিজের হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা পাকা করলেই হবে না। অন্যের জন্য হাত ধোওয়ার ব্যবস্থা রাখতে হবে। এক ডজন স্যানিটাইজ়ার কিনে ঘরে মজুত রাখলে বাঁচা যাবে না। অন্যের জন্য দোকানে স্যানিটাইজার ছাড়তে হবে। আবেগে ভেসে গিয়ে থালা বাজিয়ে মিছিল করলে হবে না। মনে রাখতে হবে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জানলায় বা বারান্দায় দাঁড়িয়ে থালা বাজাতে। যে ভাবে অন্যান্য দেশ নিজের মতো করে স্বাস্থ্যকর্মীদের উদ্বুদ্ধ করছে। রাস্তায় বেরিয়ে নয়। ঘরে থেকে।

করোনার দিনগুলিতে আমরা

বাড়ি বসে অফিসের ডিউটি করার পর তো বাকি সময়টায় খবর দেখা ছাড়া কোনও কাজ নেই। অনলাইন প্ল্যাটফর্মও এক সময় ক্লান্তি ধরায়। তা হলে, নষ্ট করার মতো সময়টা পার করেও নিজের হাতে পড়ে থাকবে অঢেল সময়। তখন নিজের সঙ্গে সময় কাটাতেই হবে। আর নিজের সঙ্গে সময় কাটানোই হল সবচেয়ে বড় ভয়ের। আত্মনিরীক্ষা বিষম বস্তু।

আকাশ-কোণে সর্বনেশে

Image courtesy Pxhere

আসলে কালবৈশাখীর মধ্যে যেটা আছে, তা হল আচম্বিত। চেয়ে হেদিয়ে গেলেও পাওয়া যাবে না, আর যখন ন্যূনতম আশা থাকবে না, তখন হরে মুরারে বেশে রই রই আছড়ে পড়বে।