লকডাউনের ছড়া (শেষ পর্ব)

কবে থেকে ভাবছি ,কবে রেজাল্ট পাব?
স্কুল যাবে না স্কুল যাবে না, গোল্লা খাব।
অনলাইনে রেজাল্ট ? সেটাও কবে?
আদর দিয়ে বাঁদর, এটাও দেখতে হবে!…
লকডাউনের ছড়া

লকডাউনের এই বাজারে,
এই তো সময়
দেওয়াল জুড়ে অন্ধকারে
কাটাকুটি, ছায়াবাজি
রূপকথা আর জলপরীদের
আঁকিবুকি স্বপ্নে বাজি। …..
টেলিপ্যাথি (গল্প)

ঠিক পরের মাসে ধুমধাম করে ইয়াসমিনের বিয়ে হয়ে গিয়েছিল সেই ডাক্তার পাত্রের সঙ্গে। ইমরান কোনওদিন জানতেও পারেনি যে তার জন্যে মনে এত আগুন নিয়ে একটি মেয়ে আরেকজনের ঘরের প্রদীপ জ্বালাতে যাচ্ছে। খুব স্বাভাবিক কারণেই বাকি বছরটা ইয়াসমিন এক কলেজে থাকলেও তিনজনের খুব একটা দেখা হয়ে ওঠেনি। হোস্টেলেও আর থাকা হয়ে ওঠেনি ইয়াসমিনের। প্রতিনিয়ত স্বামীসেবা আর ঘরকন্না বাদ দিয়ে নিজের জন্যে বাঁচা প্রায় ভুলেই গিয়েছিল সে ।
ক্লাস ঘুম

আজকে যদি পাখি হতুম জামার বগল হাতায় থুই, ইচ্ছে মতন যোজন পাড়ি তুই আর আমি একলা নই। নাই বা গেলাম নাক বরাবর ভাবনাঘরে চুপটি ঘুম, ঘ্যাঁয়াও ঘ্যাঁয়াও ঘ্যাঁঘাসুরের স্বপ্ন জুড়ে হুতুমথুম। স্কুল ফিরতি হিসেব নিকেশ ওগুলো তো আমার নয়! দেওয়াল জুড়ে ছায়াবাজি কিম্বা খাতা গল্প হয়। ক্লাসে বসে কান পেতে রই কখন পড়ে ঘণ্টা ওই… […]
রক্ত (গল্প)

১ ক্যালেন্ডারের দিকে চোখ পড়তেই মনে মনে আবার হিসেবটা করে নেয় চন্দ্রানী। আজ থেকে ঠিক দেড় মাস আগে নিয়মিত শারীরিক ঋতু পরিবর্তনের হঠাৎ বেনিয়ম হওয়ায় খুব স্বাভাবিক উৎকন্ঠা এবং একরাশ বুক ধুকপুকুনি নিয়ে ড. চ্যাটার্জির কাছে ছুটে গিয়েছিল সৌরজ কে নিয়ে। ড চ্যাটার্জি বহুদিনের পরিচিত। ব্যস্ত এবং বেশ নাম করা স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ। ওরা যেতেই প্রেসক্রিপশন […]
বিরহ

ফিরতি পথে
শেষ চাহনি
অপয়া

ধন্যি বটে বাঙালনামা ধন্যি বটে পোস্তভাত
অপয়া টাই নিমিত্ত থাক নন্দ ঘোষে কাবার রাত
মনের ভিতর ঘাপটি মেরে উঁকি ঝুঁকি একটু যেই
অমনি পিছল রাস্তা হাজির পায়ের তলায় সর্ষে খই।
প্রতিশোধ

তোর মনে হয় যাবার সময় হল উঠতে হবে, দেরী করিস না যেন! অনভ্যাসের চেয়ার ছেড়ে সসম্মানে মুখোশ ছিঁড়ে নেমে আয় আজ সিংহাসন ফেলে। অহং ,পাপ আর পুণ্য …. থাক! চৌকাঠের ভিতরেই থাক, তুই শুধু খালি পায়ে ,নগ্ন মনে, ক্লান্ত শরীরে হেঁটে চলে যা ওই যেখানে শেয়াল কুকুর শকুন মানুষ না হয়েও দিব্যি বেঁচে আছে সেখানে। […]