লাইব্রেরি নয়, চাই অ্যান্টিলাইব্রেরি

বিশ্বে যে কোনও সফল গ্রন্থাগারের সাফল্যের পেছনে রয়ে গেছে এই ইতিহাস-সচেতনতা। গোটা বিশ্ব তো দূরস্থান, নিজের দেশ-নিজের সমাজকে সারাজীবন ধরে আমরা কতজন বুঝে উঠতে পারি? লাইব্রেরির বর্তমান প্রাসঙ্গিকতা প্রবীরেন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কলমে।
কোন পথে কোভিডোত্তর বিশ্ব-অর্থনীতি : শেষ পর্ব

এই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা সম্পদ পুনর্বণ্টন ছাড়া কার্যকরী করা সম্ভব নয়। এমন এক অসাম্যের পৃথিবীতে আমরা বাস করি যেখানে বিশ্বের প্রথম পঁচিশ জন ধনী ব্যক্তির হাতে রয়ে যায় প্রায় দেড় ট্রিলিয়ন ডলার। তাঁরা যত চাকরি সমাজের জন্য তৈরি করেছেন তা কোনোমতেই এই অবিশ্বাস্য এবং অশ্লীল পুঁজিকে যুক্তিযুক্ত করতে পারে না।
কোন পথে কোভিডোত্তর বিশ্ব-অর্থনীতি : পর্ব ১

স্বাভাবিক ভাবেই দেখা দেবে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা। কিন্তু সেই অনিশ্চয়তাকে একটা গাণিতিক রূপ দিলে দেখা যাবে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর জন্য অনিশ্চয়তার পরিমাণ বিভিন্ন হয়ে দাঁড়াচ্ছে। অর্থাৎ, অনিশ্চয়তার প্রেক্ষিতেও দেখা দিচ্ছে অসাম্য।
প্রথম পুরুষ (শেষ পর্ব)

‘ফেলুদা ফেরত’ হ্যাপেনড। তারপর স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম আমাকে সেলফ-এমপ্লয়েড হতে হবে। চাকরিটা ছেড়ে দিলাম। কিন্তু দেখলাম নাটকে গল্প বলতে কিছু অসুবিধা হচ্ছে, তখন স্বপ্ন দেখতে শুরু করলাম সিনেমা বানাতে হবে।
বাঙালির সাল-তামামি

বছর ষোলশো আগে যখন সূর্যসিদ্ধান্ত লেখা হচ্ছে তখন আধুনিক জ্যোতির্বিজ্ঞান নিয়ে কতটুকুই বা জানতাম আমরা? মাধ্যাকর্ষণ থেকে শুরু করে আহ্নিক গতি বা বার্ষিক গতি নিয়েও বিজ্ঞানভিত্তিক স্বচ্ছ ধারণা ছিল না। আর্যভট্ট যখন আহ্নিক গতি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন সম্ভবত তার একশ বছর আগেই সূর্যসিদ্ধান্ত লেখা হয়ে গেছে।
প্রথম পুরুষ (পর্ব ৩)

সংলাপ বা চিত্রনাট্যর দিক থেকে আমার ওপর মানিকবাবুর প্রভাব আছে, সে কথা অনস্বীকার্য। ঋতুদার-ও আছে। ইনফ্যাক্ট, কৌশিক গাঙ্গুলি বা অঞ্জন দত্তর-ও আছে। কৌশিকদা’র টিভি ফিল্মগুলোর তো ভালোমতন প্রভাব আছে। কিন্তু হ্যারি পটার বইয়ের ভাষায় আমার ‘পেট্রনাস’ যদি কেউ থেকে থাকেন তিনি তপন সিনহা। তাঁর ছবিতে সঙ্গীত যেভাবে এসেছে, ডাইভার্সিটি অফ থীমস যেভাবে এসেছে সেটা আমাকে খুবই প্রভাবিত করেছে। যে মানুষটা ‘গল্প হলেও সত্যি’ বানাচ্ছেন তিনিই বানাচ্ছেন ‘সফেদ হাথি’ বা ‘ক্ষুধিত পাষাণ’ বা ‘এখনই’, ভাবাই যায় না!
প্রথম পুরুষ (পর্ব ২)

ভালোবাসাটুকু আমার স্যানিটিটা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যখনই খুব মন খারাপ হয়ে যায় আমি এই হাইপারবোলিগুলো পড়ি। নেগেটিভ কথাগুলো পড়লে মনখারাপ তো হবেই। তখন পজিটিভ কথাগুলো পড়ি। নেগেটিভ কথাগুলো অ্যাসিড হলে পজিটিভ কথাগুলো অ্যালকালি। অ্যাসিড আর অ্যালকালি কাটাকুটি হয়ে চোখের জল হয়ে গেল।
প্রথম পুরুষ (পর্ব ১)

আমি গুমনামি দেখে কেঁদেছি। রাজকাহিনীর ক্লাইম্যাক্সে যতবার দরজাটা বন্ধ হয় আমি ভ্যাঁ-ভ্যাঁ করে পাগলের মতো কাঁদি। একটা জিনিস বুঝতে হবে। আমি ইন্টেলেকচুয়াল নই। আমি ইন্টেলেকচুয়ালদের জন্য সিনেমা বানাই না। আমি অবশ্য অন্যের সিনেমা দেখেও কাঁদি। অঝোরে কাঁদি। আমি ‘সিনেমাওয়ালা’ দেখে কেঁদেছি। আমি ‘নগরকীর্তন’ দেখে কেঁদেছি। ‘সাউন্ড অফ মিউজিক’ দেখে আমার এখনও গায়ে কাঁটা দেয়। আমি নিজে ইমোশনাল তো বটেই, সেই সঙ্গে একটা শিশুসুলভ উত্তেজনাও থাকে। একটা শট আরেক শটে ডিসলভড হতে দেখে আমার হাততালি দিতে ইচ্ছে করে।