আর এক সে কোয়ারেন্টাইন!

ভিরান্দিয়ারা থেকে কিছুদূর গিয়ে গাড়ি বাঁ দিকের রাস্তা ধরল। সামনে পুলিশের চেকপোস্ট। সেখানে নিজের পরিচয়পত্রের কপি জমা দিতে হবে শুনে কিছুটা অস্বস্তি হল। এর আগে যেখানেই চাকরি করেছি, পুলিশের খাতায় নাম ওঠেনি কখনও। গাড়ি ফের রওনা দিল। বেশ কয়েকটা গ্রাম পেরিয়ে এক ধূ-ধূ মাঠে পৌঁছলাম। শুনলাম সেটার অপর প্রান্তে রিসর্ট। পাশে একটা বিএসএফ ক্যাম্প। পরে জেনেছিলাম সেটাই শেষ ক্যাম্প, কারণ আমাদের রিসর্টের সামনে থেকেই শুরু হচ্ছে দিগন্তবিস্তৃত সাদা প্রান্তর– যাকে লোকে সল্ট ডেসার্ট বা রান বলে জানে।
ইন্দিরার স্বর্গারোহণ ও তারপর (গল্প)

একদিন নিজের জগতের বাইরে গিয়ে বসার ঘরে বৌমার ছবিতে বাসি মালা দেখে কেঁপে উঠে হাঁক দিয়েছিলেন “সাধনা!” বলে। সিদ্ধেশ্বরীদেবীর এই উচ্চস্বর অনেকদিন বাদে শুনে পুরনো কাজের মেয়ে সাধনা- যে নিজেকে বাড়ির ম্যানেজার বলে পরিচয় দিয়ে থাকে, হন্তদন্ত হয়ে হাজির হল। “জানিস না, কোনও ফটোতে বাসি মালা ঝুললে বৌমা রেগে যায়!” হঠাৎ খেয়াল পড়তে কালে গোলমাল হয়ে গিয়েছে- ‘যায়’টা ‘যেতো’ হবে। চোখের জল মুছতে মুছতে নিজের ঘরে ফিরে গিয়েছিলেন সিদ্ধেশ্বরী। তারপর থেকে মালাটা নিত্য আসে আর বৌমার গলায় টাটকা মালা ঝোলে।
পরিষেবা সীমানার বাইরে

কলেজের সিনিয়র পার্থদা টুকতে গিয়ে ধরা পড়ল চোতা-সমেত। পার্থদা ইনভিজিলেটরের হাত থেকে চোতা ছিনিয়ে নিয়ে কচমচ করে চিবিয়ে গিলে নিয়ে ইনভিজিলেটরকে চ্যালেঞ্জ করেছিল- “প্রমাণ করুন আমি টুকেছি!”
কলকাতার কচুরিয়ানা!

রাজস্থানের লোকেরা যতোই হামবড়াই করুক তাদের মাওয়া আর পিঁয়াজ কচুরি নিয়ে, কচুরি একটা বিশুদ্ধ বঙ্গীয় স্বর্গীয় খাদ্য! সুশ্রুতের ভেষজ শাস্ত্রের পুঁথির ওপর ভাষ্য সর্বপ্রথম লেখা চক্রপাণিদত্ত ছিলেন বঙ্গদেশের। তাঁর লেখা ‘দ্রব্যগুণ’ কচুরির আর ডালপুরির কথা বলেছে। কচুরির সংস্কৃত নাম পূরিকা। এর প্রস্তুতপ্রণালিতে বলেছে মাষকলাই বেটে তার সঙ্গে নুন, আটা আর হিং মিশিয়ে ময়দার লেচিতে পুর […]
রুশদের সঙ্গে দিঘা

দিল্লী কিংবা মুম্বই বিমানবন্দরে অনেক বিদেশি বিমান আসে আর এইসব শহরের নামী হোটেলগুলিতে কিছু ঘর এয়ারলাইন্স কোম্পানিগুলো সারা বছরের জন্যে নিয়ে রেখেছে। কলকাতার হোটেলগুলোর ভাগ্য এত ভালো নয় তাই সারা বছর ধরে হোটেল ভরানোর কথা ভাবতে হয়। নব্বই দশকের মাঝামাঝি অবধি কলকাতার এক প্রস্তুতিকারক কোম্পানির কাজে যখন অনেক রাশিয়ান ইঞ্জিনিয়র আসত, সবকটা হোটেল ঝাঁপিয়ে পড়ত তাদের রাখার জন্যে।
পরোটা পরিক্রমা

উদয়পুরে লোকে বেড়াতে যায়। আর আমি চাকরি করতে! তবে রাজস্থানের এই শহরে পৌঁছে বেশ ফুর্তি হয়েছিল। কিন্তু সেই পুলকের স্থায়িত্ব ছিল মাত্র এক বেলা। সন্ধ্যেবেলা স্থানীয় বাজারে কিছু প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নিজের আস্তানার দিকে পা বাড়াতে গিয়ে দেখি এক ফলের রসের দোকানে বেশ ভিড়। সেটা ফাল্গুন মাস ছিল, বেশ ভালো গরম পড়ে গিয়েছে রাজস্থানে। এক […]
এল যে শীতের বাজার-বেলা!

গত হপ্তায় একদিন সকালবেলা পেটটা একটু আইঢাই করছিল। বাড়িতে বলতে দুপুরে ভাতের সাথে একটা ঝোল দেওয়া হল। ঝোল বা রসা খেতে আমার এমনিতে বেশ ভালোই লাগে। বেশ একটা কমিউন-কমিউন ভাব থাকে তাতে। আর শীতকাল হলে তো কথাই নেই! কিন্তু পাতে বাটি উল্টোতেই পেঁপে, কাঁচকলা, আলুর পাশে একি! পটল কেন? বছরের এই সময় সে কেন বাটিতে […]