অন্য চোখে— বিজ্ঞানসাধক রাজেশ্বরী

Cover story on Rajeshwari Chottopadhyay

বলা হয়ে থাকে, ডক্টর সিভি রমনের অধীনে কাজ করতে চেয়েছিলেন রাজেশ্বরী, কিন্তু রমন অনুমতি দেননি। রমন তখন ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্সের প্রধান। প্রথিতযশা বিজ্ঞানীর সঙ্গে কাজ করতে চেয়ে এমন অর্ধচন্দ্রে নিঃসন্দেহে খুবই মুষড়ে পড়েন সদ্য তরুণী কৃতি বিজ্ঞানপড়ুয়া। সিভি রমনের বিরুদ্ধে এমন গুরুতর অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়, বারবার শোনা গিয়েছে।

বিজ্ঞানী রাজেশ্বরী চট্টোপাধ্যায়ের জীবনের জানা অজানা নানা কাহিনি… লিখলেন নীলার্ণব চক্রবর্তী

লেটার প্রেসের এপিটাফ

Bitter History Printing Press worker

মনিদার মুখে গ্যালি প্রুফ কথাটা প্রথমবার শুনে খুব মজা পেয়েছিলাম। গ্যালিলিও গ্যালিলির কীর্তি তখন পড়েছি সবে। ভাবলাম, মহান বিজ্ঞানী গ্যালিলিওর সঙ্গে এর নিশ্চিত গভীর সম্পর্ক রয়েছে। এমনও মনে হল যে, ওইটির আবিষ্কার গ্যালিলিও-র হাতেই! এই কথাটা মনের গোপন থেকে বাইরে এনে প্রেসে হাসির হিল্লোল তুলে দিয়েছিলাম একদিন।
… নীলার্ণব চক্রবর্তীর কলমে

কার্ল মার্ক্স, জেনি ও হেলেন

Karl marx

আসুন,মার্ক্সের বিবাহ বাসর থেকে কাহিনিটা শুরু করি। দিনটা ১৮৪৩ সালের ১৯ জুন। সকাল ১০টা নাগাদ একটি দাপুটে প্রেম তীরবর্তী। সাতপাকে বাঁধা পড়ছেন কার্ল হাইনরিশ মার্ক্স এবং ফ্রাউলিন জোহানা বার্থা জুলিয়া জেনি ভন ভেস্টফালেন। মার্ক্স, বেকার, বয়স ২৫। সবুজ সিল্কের গাউন, ওড়না, গোলাপি টুপিতে জেনি– বয়স ২৯। যে শহরে তাঁদের স্থায়ী ঠিকানা, সেই ট্রিয়ের থেকে ৫০ মাইল দূরের ক্রোয়েটসনাখের রিসর্টে বিয়েটা হচ্ছে।

রাত কত হল!

Womens Day

মার্চ মাসের আট তারিখেই সারা বিশ্বে পালিত হবে আন্তর্জাতিক নারী দিবস। কিন্তু আজও কেন নারী দিবস পালন করে নারীর সমানাধিকারের কথা মনে করাতে হবে আমাদের? প্রশ্ন তুলছেন নীলার্ণব চক্রবর্তী।

সাগরে আঘাত

Vidyasagar portrait by Syamantak Chattopadhyay

অ্যাটকিনসনের অনুরোধ ফেলতে পারেননি বিদ্যাসাগর। আর মেরি কার্পেন্টারের সঙ্গে আলাপ তাঁকে আশ্চ‌র্য আনন্দ দিয়েছিল। স্ত্রী-শিক্ষায় নিবেদিত প্রাণ এমন মানবী তিনি আগে দেখেননি কখনও। আলাপের পর বিভিন্ন জায়গায় বিদ্যাসাগরকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাইছেন কার্পেন্টার। ব্যস্ত মানুষ ঈশ্বর, সময়াভাবে সব জায়গায়‌ যেতে পারেন না, আবার সব সময় না-ও বলতে পারেন না।

মৎস্যগন্ধ (ছোটগল্প)

ঝগড়া করলে তো আর গায়ের গন্ধ চলে ‌যায় না। অবশ্য বউকে এটা বোঝান ‌যায়নি। বোঝান ‌যাবেও না। শুধু পাউডারে সে ক্ষান্ত হয়নি। তিনটে অ্যালোপ্যাথি ও চারটে হোমিওপ্যাথি ডাক্তার এবং একটি কোবরেজ তাকে দেখানো হয়েছে। তাতেও কিছু হয়নি। বরং বউয়ের দাবি হল, আগের চেয়ে তার গায়ের গন্ধ নাকি আরও বিদঘুটে হয়েছে। গন্ধটা কেমন? বউয়ের কথা অনু‌যায়ী, ভোলা মাছের মতো প্রবল আঁশটে। ‌যদিও সে নিজে কোনওদিন এই গন্ধ পায়নি।