দক্ষিণ–আপন

এই বয়সে এখন সব চেয়ে আরাম দক্ষিণাপণ যাওয়ায়। এখনও সকাল এবং বিকেলের স্বাভাবিক আলো মেখে এ ছাদ ও ছাদ পার হয়ে, কেনা কাটা করা যায়। দেখা যায়, কোনও গেম ছাড়াই নিজের হাত নিয়ে, পা নিয়ে হৈ হৈ করে বাচ্চাদের ছোটাছুটি; মধুসূদন মঞ্চে নাটকের থার্ড বেল পড়বার আগে টুক করে কিনে নেওয়া যায় কত কিছু।….
আইঢাই: বাপের বাড়ি

গিন্নি যাবেন বাপের বাড়ি, সঙ্গে যাবে কে? ছেলেমেয়েরা তো বটেই, তার সঙ্গে ভাইপো ভাইঝি ভাগ্না ভাগ্নির দল ভিড় করে। কর্তার মুখে মেধ জমে। নতুন বৌমার ঘোমটার আড়ালে এক ফালি হাসি ফুটে উঠেই মিলিয়ে যায়! বাঙালিনীর বাপের বাড়ির বেত্তান্ত ব্যাখ্যানে মন্দার মুখোপাধ্যায়।
আইঢাই: সর-পর

‘সম’ বোধটা সংসারে প্রায় থাকেই না। তাই গিন্নিদের হাতের মোক্ষম অস্ত্র ছিল সর-পর। অর্থাৎ কিনা ভালোবাসা কিংবা টাকাপয়সা অনুযায়ী এক অদৃশ্য অলিখিত পক্ষপাত। তাই নিয়েই মন্দার মুখোপাধ্যায়ের এ বারের হেঁশেলিয়ানা!…
ডিসচার্জ (ছোটগল্প)

আমাদের এই বিনিময় কারও চোখে পড়েনি। কী আশ্চর্য, আমাকে ছাপিয়ে সে ছুঁতে চাইছে আমার নাচ? অথচ মহড়ায় কোনওদিন কোনও কথাই তো সে বলেনি!
আইঢাই: বাসন কোসন

সেকেলে হেঁশেল আর একেলে হেঁশেলের তফাত কি শুধু রান্না আর চুলোয়? আসল তফাত তো গিন্নিদের বাসন সম্ভারে! পাকশালের বাসন-বিবর্তনের আটপৌরে ইতিহাসখানি জাদু কলমে ধরে রাখলেন মন্দার মুখোপাধ্যায়…
সম্পর্কের মন-মশলা

সম্পর্কের মন-মশলা নিয়ে মন্দার মুখোপাধ্যায়ের কথকতা। সম্পর্কের ঝাল-টাল, নুন-টুন, জিরে-মৌরির অনুপান কেমন করে জমিয়ে তোলে রসায়ন, তারই সরসবৃত্তান্ত!…
আইঢাই: কর্তাদের হেঁশেলিয়ানা

এ রকমই আর এক ম্যাজিক শান্তিনিকেতনের রঞ্জনা সরকার, আমাদের মিঠুদির আস্তানা। ‘বালিপাড়া’য় জমি কিনে, নয়নাভিরাম একটি বাড়ি বানিয়ে, এবার গাছ লাগানো শুরু করল। কত হবে… বছর কুড়ি! তার মধ্যে যেমন শিরীষ, বকুল, মাধবী, মালতী, চাঁপা, তেমনই বাতাবিলেবু, গন্ধরাজ লেবু, সবেদা, কামরাঙা, নারকেল।…
আই ঢাই : রোগ বালাই

মুখের স্বাদ ফেরাতে, ঘিয়ে সাঁতলানো গেঁড়ি গুগলি, টেংরির জুস, আদা গোলমরিচ দিয়ে ঘিয়ে ভাজা পাঁঠার মেটে, আলু মরিচ, সরষের তেলে কালোজিরে ফেলে পেঁয়াজ ভাজা, আর ফোড়ন দিয়ে সাঁতলানো ভাতের ফ্যান বা মুসুর ডালের জল। নতুন করে আবার যাতে ঠাণ্ডা না লাগে তাই ভাল করে তেল মালিশ আর রাতে নাকে, কানে, গলায় তেল লাগিয়ে শুতে পাঠানো।