দু’টি কবিতা

টানা রাস্তা শেষে প্রিয় মুদ্রিত বিকেলগুলি/পড়ে থাকে সন্দেহের গভীর অসুখে…
দশমহাবিদ্যা সিরিজ়

আমাদের বিপরীত মুদ্রাকালে তোমার উন্মাদ এলোকেশী শীৎকার / নখ বসে যাওয়া রক্তপাতে উল্লাসের স্রোত… শক্তির দশ রূপ দশমহাবিদ্যা। তার মধ্যে ভয়ালতম দুই রূপের মহিমায় সমকালকে ধরলেন কুবলয় বসু।
সন্ধিপত্র (কবিতা)

প্রেম আর বিরহ – মানবসম্পর্কের দুই হাতে এই দুই আবেগের মন্দিরায় রিনরিন রিনরিন… বসন্ত এসেও কেন আসে না?
রীতি (কবিতা)

প্রেম মানে এটুকুই শ্বাস ছিল… / হে বিচ্ছেদ, তোমাকেও এভাবে দেখছি
কাপলস আর ওয়েলকাম (গল্প)

টিভি চালিয়ে বিছানায় আরাম করে গুছিয়ে বসল দিব্য। এ.সি অন করে একটা হাল্কা লাইট জ্বালিয়ে বাকিগুলো নিভিয়ে দিল। বাইরে দুপুর হলেও এই ঘরের ভারি পর্দাগুলো সেই গনগনে আলো আটকে রেখেছে। বেল বাজতে দিব্য উঠে গিয়ে দরজা খুলল। কফি এসে গেছে। রুম সার্ভিসের ছেলেটি মিষ্টি হেসে বলল -“স্যার, লাঞ্চের অর্ডার করতে হলে কিন্তু প্লিজ দু’টোর মধ্যে করে দেবেন। মেনু কার্ড টেবিলের ওপরেই রাখা আছে। “দরজা বন্ধ করে কফি নিয়ে বিছানায় এসে বসল দিব্য। সুহেলি বাথরুম থেকে বেরিয়ে বাইরের জামাকাপড় ওয়ার্ডরোবে রেখে নিজেও কফি নিয়ে বিছানায় দিব্যর গা ঘেঁষে বসে পড়ল।
স্বীকারোক্তি

চোখ খুলে দেহাতি ভোর দিয়ে শুরু কী সব মায়ামমতা ছিল জাদুদিনগুলোয় একটু হাওয়া দিলেই পাতার পর পাতা উলটে যায়… মেট্রোর তাড়া, দুপুরের মাল্টিপ্লেক্স ছাড়িয়ে ঝিমঝিমে অল্প আঁচের সন্ধে… ততদিনে প্রেমিকারা প্রথম বিশ্বের বাসিন্দা আর আমাকে লাঙল নিয়ে মাঠে যেতে হয়
বাতিল

কীভাবে বসন্ত আসে- তোমার উঠোনে,আমার অভ্যাসে ঘুম ভেঙে দেখি জেগে উঠেছে পূর্বজন্মের নারী, মনে মনে তাকে নষ্ট করে ফেলি একা রাস্তা,আসবাব,পুরোনো মেসের ছায়া ফিরে যায় সতর্ক ভঙ্গিতে। ল্যাম্প জ্বেলে খুলে বসি জন্মদিনে পাওয়া বই দেখি- হলুদ পাতার ভাঁজে নিমপাতা রুখতে পারেনি পোকা-খাওয়া মানুষী ফাটল।