ভোলার বইমেলা

ভোলা কিছুতেই যাবে না। অনেক বুঝিয়েও যখন রাজি করানো গেল না, তখন পিন্টু বললো বিরিয়ানি খাওয়াবে। বিরিয়ানির নাম শুনে ভোলা কিছুটা নরম হয়ে বললো, ঠিক আছে, যেতে পারি তবে সঙ্গে চিকেন চাপ দিতে হবে।
জলদ গুপ্ত লেখেন না, ভাবেন। নিজেকে মনে করেন মুদির দোকানের মালিক। কোথায় কোন মশলা আছে শুধু সেটুকুই উনি জানেন, খদ্দেরের চাহিদা অনুযায়ী কাগজে মুড়ে দিয়ে দেন...ব্যস। সিধুজ্যাঠার মত অনেক কিছু করার ক্ষমতা থাকলেও অন্যদের অসুবিধা হবে বলে কিছুই করেন নি। কবিতা, নাটক লিখতে পছন্দ করেন আর পাগলের মত পছন্দ করেন সঙ্গীত। পাহাড়ি জঙ্গলের টিলায় বসে হেঁড়ে গলায় গান আর দিনে ১৫ কাপ চায়ের জন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত। আদিখ্যেতাকে ঘেন্না করেন, তর্ক করতে ভালোবাসেন। এমন এক পৃথিবীর স্বপ্ন দেখেন যেখানে কোন লেখক থাকবে না।
ভোলা কিছুতেই যাবে না। অনেক বুঝিয়েও যখন রাজি করানো গেল না, তখন পিন্টু বললো বিরিয়ানি খাওয়াবে। বিরিয়ানির নাম শুনে ভোলা কিছুটা নরম হয়ে বললো, ঠিক আছে, যেতে পারি তবে সঙ্গে চিকেন চাপ দিতে হবে।