উত্তুরে: গন্ডারের মড়ক কি বিপদসংকেত?

গন্ডার তো আর ভ্যাকসিন নেওয়ার জন্য লাইন দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে না! বা কাছে গেলেই বাধ্য ছেলের মতো ভ্যাকসিন নেওয়ার বান্দা গন্ডার কেন, কোনও বন্যপ্রাণিই নয়। অতএব জঙ্গল ঢু্ঁড়ে খুঁজে বের করতে হয় ওদের। হয়তো কোথাও ঘাসের আড়ালে লুকিয়ে আছে কিংবা কাদাজলে শরীর ডুবিয়ে বসে আছে। সেখানে ভ্যাকসিন দিতে গেলে ওদের বিরক্তি তো হবেই। সেজন্য কুনকির পাল, একদল বনকর্মী, ঘুমপাড়ানি গুলি, বন্দুক ইত্যাদি নিয়ে বিশাল আয়োজন। এ দিকে আবার, অচেতন করে ভ্যাকসিন দেওয়ার পরেই সরে যাওয়া যায় না।
উত্তুরে: সংঘাত এড়ায় হাতি, ক্ষিপ্ত করে মানুষ

দেশভাগের কারণে পরে পূর্ব পাকিস্তান থেকে উদ্বাস্তু স্রোত আছড়ে পড়েছিল এখানে। স্রোত না হলেও সেই আসার বিরাম নেই এখনও। আবার নেপাল থেকেও বহু লোক আসেন। এখানেই থেকে যান। আদিম অধিবাসী বোরো-রাভা-টোটোরা তো আছেনই। এত লোককে জায়গা দিতে গেলে যে কারও জমিজিরেত চলে যায়। হাতিরও গেছে। জমিজিরেত গেলে আপনার, আমারও মাথাগরম হয়। হাতির দোষ কী? কারও হাত-পা ছড়িয়ে থাকার পরিসর কেড়ে নিলে সে তো ক্রুদ্ধ হবেই! তবে মহাকালবাবা কিন্তু শুধু ক্রুদ্ধ হন না, মানুষকে আগলেও রাখেন!
উত্তুরে: নীরবতার সৌন্দর্য শেখায় তাসিগাঁও, উচলুম

তাসিগাঁও, আদমা, উচলুম, লেপচাখাঁ-এ যাঁরা বসবাস করেন, তাঁরা ডুকপা উপজাতি গোষ্ঠীর। নেপালি নয়, ভুটিয়াও নয়। তাসিগাঁওয়ের সঙ্গে সবদিক থেকেই নৈকট্য আছে ভূটানের। তাসিগাঁও পেরিয়ে আর একটু উঁচুতে উঠলে পাহাড় টপকে ভূটান। রাজার দেশ। ড্রাগনের দেশ। ভূটান তাসিগাঁওকে অনেক কিছু দেয়। বাজার করতে হলে ভূটান, মজুর খাটতে হলে ভূটান, এমনকি তাসিগাঁওয়ের ছেলেমেয়েরা পড়তেও যায় ভূটানে। দিগন্ত-বিস্তৃত পাহাড় আর উন্মুক্ত আকাশের তলায় কোথায় বা সীমান্ত, কোথায় বা বিধিনিষেধ।
উত্তুরে: জয়ন্তী-নোনাইয়ে প্রাণের স্রোত

জয়পুর। রাজস্থানের পিঙ্ক সিটি নয় কিন্তু! সম্বলপুর। ওডিশার জেলা শহর নয় কিন্তু! ডুয়ার্সে দুটি গ্রাম আছে জয়পুর আর সম্বলপুর নামে। জয়ন্তী নদীর ধারে। তবে সেখানে বসতের অবশ্য একটা ট্রিলজি আছে। জয়পুর, সম্বলপুরের সঙ্গে জিৎপুর। জিৎপুর অবশ্য নিখাদ উত্তরবঙ্গীয় নাম। যেমন কালীপুর, ব্রহ্মপুর। তলা, গুড়ি, ডাঙা ইত্যাদিও উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন এলাকার নামের অনুষঙ্গ। সে অন্য প্রসঙ্গ। আপাতত […]
উত্তুরে: হান্দাবারু, নাক চেংরানি এবং শিবচরণ রাভার কৃষ্টি

দিগন্তে ডিমার মিলন কালজানির সঙ্গে। তারপর দীর্ঘপথে সহবাস। তিস্তা আর রঙ্গিতের মতোই প্রেমকাহিনি। তবে ডিমা-কালজানির মিলনগাথা কোথাও লেখা হয়নি। এই দুই নদীর ভাব-ভালোবাসার সঙ্গে পরিচয় ছিল শিবচরণ রাভার। গাঁও বুড়ো। রাভা সমাজে পদমর্যাদায় মণ্ডল। উত্তরবঙ্গে মুখিয়াও বলে। বয়স জানতে চাইলে গাছের সঙ্গে তাঁর বেড়ে ওঠা বোঝাতেন। বলতেন “১৯৩০ সালে যখন এই প্ল্যানটেশন হয়, তখন আমার […]