বিপ্রতীপে বাবাসাহেব

আজ, ভারতের সংবিধান প্রণেতা বাবাসাহেব ভীমরাও রামজি আম্বেদকরের ১৩০তম জন্মজয়ন্তী। এতবছর ধরে ভারতীয় রাজনীতিতে কার্যত একঘরে হয়ে থাকা মানুষটিকে নিয়ে আজ হঠাৎ রাজনীতির রংতামাশার বাজারে এত শোরগোল কেন? খুঁজে দেখলেন দেবজ্যোতি।
একটা মাছি, আর ভাইরাসের আমড়াগাছি

রোগের প্রকোপে তছনছ সমাজ-অর্থনীতি-পরিবার। কোভিড নয়, অন্যরকম আতঙ্ক ক্রমে গ্রাস করছে পৃথিবীকে। লিখলেন দেবজ্যোতি।
শয়তানের ফন্দি আর, বন্দিমুক্তির দিশা

ভোগান্তি কি ভুক্তভোগীদের নিয়তি? নাকি নিয়তিকে টপকে আত্মবিশ্বাসের অকূল পাথারে ঝাঁপ দিয়ে সাঁতরাবার শক্তি তার আছে? দুর্ভোগ সইতে সইতে আর কতক্ষণ অপেক্ষা করব আমরা? প্রশ্ন তুললেন দেবজ্যোতি।
অপূর্ব এক ডিঙি

রিস্কাওলা কালা। খালি পথনির্দেশটুকু কানে যায় তার। ঈশ্বর তাকে বিশেষ ক্ষমতা দিয়ে পাঠিয়েছেন আজব এ শহরে শৌখিন বেতো বাবুবিবিদের আয়েশ আর আদিখ্যেতার ভার বইতে, সারভাইভালের তরে। তুম কালা তো জগত ভালা, কী?
ফাঁদ পাতা ভুবনে!

আত্মসম্ভ্রমে খানিক সাবধানী হয়ে, অতি সন্তর্পণে চাক্ষুষ সবটা পরিক্রমা করে শেষে গিয়ে বুঝলুম, সে এখনও আসেনি। কথা হচ্ছে, এই কফি কর্নারগুলোয় বিস্কুটের নাম কুকি, আর তার দাম আমার এক প্যাকেট সিগারেটের সমান। তাছাড়া খালিপিলি বসে থাকাও ভদ্র জায়গায় ভালো দেখায় না, কিছু না কিছু নিতেই হয়। সুতরাং সে না-আসা অবধি ঘুরে-ঘুরে অন্যান্য দোকানপাট দেখাই স্বাস্থ্যকর। এই মনে করতে-করতেই ফোন বাজল। যে হাত নেড়েছিল, সে আমায় দেখেই হাত নেড়েছিল, অতীত অভিজ্ঞতায় হীনমন্যতা জন্মেছে মনে গভীরে, তাই বিশ্বাস করতে পারিনি, ও-ই সে-ই।
আজ আমার শিক্ষক দিবস

সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের জন্মদিন ৫ই সেপ্টেম্বর নয়, একুশ দিন পর আজ, ২৬শে সেপ্টেম্বর, ঈশ্বরচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্মদিনই আমার শিক্ষক দিবস। আজ তিনি দ্বিশতবর্ষীয়ান। আজকের দিনে আমি বাংলার সরকারের কাছে দাবি করছি, এই দিনটি অন্তত বাঙালির শিক্ষক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হোক। অবিলম্বে। ভারতের ইউনিয়ন গভর্নমেন্টেরও আসলে এটাই করা উচিত। যদিও, এই সরকারে ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে, নিজেদের আদর্শের […]
হিন্দি তো (প্রায় ) জাতীয় ভাষাই…

বিশ্বাস করুন, আমি কিছুতেই বুঝে উঠতে পারছি না, অমিত শাহ আহামরি কী এমন বলে ফেলেছেন যে বাঙালি হঠাৎ এমন কাঁইকান্না জুড়ে করে দিলো। আরে, হিন্দি তো বাস্তবে, ব্যবহারিকে রাষ্ট্রভাষা এবং জাতীয় ভাষাই। সজ্ঞানে বা অজ্ঞানে, মেনে তো নিয়েইছি, নাকি? নইলে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লিতে গিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন হিন্দিতে করেন কেন? বাংলার প্রায় সমস্ত সাংসদ পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে […]
জাতি, জাতীয়তা, ভেড়া ও ইত্যাদি…

যথেষ্ট হইয়াছে। যথেষ্ট হইয়াছে। তালিবানি তেলপিঁয়াজি বাড়তে-বাড়তে ইদানীং পাঁয়তারাবাজির সমস্ত সীমা-পরিসীমা ছাড়িয়ে গ্যাছে এক্কেবারে। হিন্দি-হিন্দু-হিন্দুস্তান সাম্রাজ্যবাদ এত কাল তা-ও মোটের ওপর সাংস্কৃতিক আগ্রাসনে, সম্পদের অযৌক্তিক ও অনৈতিক লুণ্ঠন-বণ্টন ছ্যাঁচড়ামোয় সীমিত ছিল। কিন্তু এই বার তা সরাসরি গলা টিপে ধরতে এসে গ্যাছে। জাতিসত্তাভিত্তিক কুচুটেপনা যে ছিল না, তা নিশ্চয়ই নয়, কিন্তু আজ যে ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় প্রকাশ্য মস্তানির চেহারা নিয়েছে, আকারে-আয়তনে […]