মুখোমুখি পরিচালক অর্জুন দত্ত

নতুন পরিচালকেরা আসছেন। বিষয় নির্ভর ছবি হচ্ছে। টিপিক্যাল মারদাঙ্গা, মশালা বা লাভ স্টোরি দেখতে চাইছে না আর দর্শক। অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও প্রাণ খুলে তাই অভিনয় করতে পারছেন। আর্ট বা কর্মাশিয়াল নয়, ভালো ছবি দেখতে চাইছে দর্শক। বাংলা ছবির বিষয় আর দর্শক—দুজনেই সাবালক হয়েছে। এটা ভালো লক্ষণ।
মেয়েরা বুঝি আজীবন ভোগের জোগানদার?

প্রতি বছর বচ্ছরকার এই দিনটায় এ প্রশ্নটা বুড়বুড়ি কাটে মনে। কবে মেয়েরা ভোগের ঊর্ধ্বে উঠে যোগে যোগ দেবে? কবে অভিনেতা, পরিচালক, যাত্রী, পুরোহিত, পাইলট, গাড়ির চালকের আগে ‘মহিলা’ শব্দটি আর বসবে না? সমস্ত সংস্কার ভেঙে মুক্ত জীবনের প্রতীক্ষার অবসান কবে হবে ‘শবরী’দের? আরও আছে। ঋতুস্রাব নিয়ে অকারণ ট্যাবু ভাঙার প্রতীক্ষা। ছেলের বদলে একটা মেয়ে হোক– এই কামনা নিয়ে মায়ের সন্তান কামনার প্রতীক্ষা। কনে যে পণের মতোই পণ্য নয়, সেই অনুভূতির প্রতীক্ষা। মাঝরাতেও কবে মেয়েরা নির্ভয়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটবে, তার প্রতীক্ষা। এরকম বহু প্রতীক্ষা বছরভর নানা অনুষ্ঠানে, ঘরে-বাইরে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠে। কিন্তু প্রতীক্ষার অবসান হয় কই?