মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ৫

বিধান রায় তখন স্বরাজ পার্টির একজন কর্তা। তাঁর ডাকে বাবারা গেলেন। সেসময় স্বরাজ পার্টির ছাপাখানা ছিল ফরোয়ার্ড প্রেস। বিধান রায় তার দেখভাল করতেন। ঠিকানাটা হচ্ছে ৩২ আপার সার্কুলার রোড, যেটা এখন আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রোড। ওখান থেকেই ১৯২৩ সালে দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জনের সম্পাদনায় ‘ফরোয়ার্ড’ পত্রিকা প্রথম বেরিয়েছিল এবং ১৯২৫ সালে চিত্তরঞ্জন মারা যাবার পর ওই পত্রিকার ভার পেয়েছিলেন নেতাজি। তারপরে ক্রমশ হাত ঘুরে-ঘুরে সেটা স্বরাজ পার্টির হাতে যায়।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
ভিডিও: শতবর্ষে মৃণাল সেন

মৃণাল সেনের জন্ম ১৪ মে ১৯২৩। জন্মেছিলন অধুনা বাংলাদেশের ফরিদপুরে। পাঁচ দশকের কর্মজীবনে ২৭টি পূর্ণাঙ্গ ছবি, বেশ কয়েকটি তথ্যচিত্র এবং শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছেন। কলকাতা শহর তাঁর একাধিক ছবিতে একটা চরিত্র হয়ে ধরা দিয়েছে। শতবর্ষে তাঁকে শ্রদ্ধা জানাতে বাংলালাইভের এই ক্ষুদ্র প্রয়াস।
ভিডিও: জীবনস্মৃতি আর্কাইভ মৃণাল মঞ্জুষা

উত্তরপাড়ার জীবনস্মৃতি আর্কাইভের মৃণাল মঞ্জুষা সংগ্রহে রয়েছে মৃণাল সেনের ব্যবহৃত বেশ কিছু বই, তাঁর হাতে লেখা স্ক্রিপ্ট এবং অসংখ্য ছবি। দুর্মূল্য এই সংগ্রহের দায়িত্বে রয়েছেন অরিন্দম সাহা সর্দার। মৃণাল সেন শতবর্ষে বাংলালাইভের বিশেষ প্রতিবেদন।
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ৪

প্রোডাকশনে কম্প্রোমাইজ নয়, সময়ে কম্প্রোমাইজ নয়। সরস্বতী প্রেসের সুনামটা কেন? বিভিন্ন প্রেসে কথার খেলাপ হত ভীষণ বেশি। আজকে দেবে বলে আজকে দিত না। দু-দিন বাদে দেবে বলে দু-দিন বাদে দিত না। বাবার নীতিটাই ছিল⎯ না-খেয়ে হোক, রাত জেগে হোক, যদি কথা দিয়ে থাকি সেটা রাখব। সেই সময় সবাই সরস্বতী প্রেসকে কাজটা দিতে চাইত। কারণ ঠিক-ঠিক সময়ে সে কাজটা ডেলিভারি করত।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
বসন্ত চৌধুরী: জন্মদিনের শ্রদ্ধার্ঘ্য

বসন্ত চৌধুরীর জন্ম ৫ মে ১৯২৮ সালে। বাংলা ছবির স্বর্ণযুগের অভিনেতাদের মধ্যে তিনি অন্যতম। রাজা রামমোহন, দীপ জ্বেলে যাই, দিবারাত্রির কাব্য, হীরের আংটি ছবিতে অভিনয়ের জন্য তিনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন।
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ৩

এই গোপীনাথ সাহা ১৯২৪ সালের ১২ জানুয়ারি চৌরঙ্গী অঞ্চলে কলকাতার অত্যাচারী পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্টকে হত্যা করতে গিয়ে ভুলবশত আর্নস্ট ডে সাহেবকে গুলি করেন। গ্রেফতারের পর তিনি আত্মপক্ষ সমর্থন করতে অস্বীকার করেন এবং টেগার্ট হত্যাই তাঁর উদ্দেশ্য ছিল বলে স্বীকার করে নেন। বিচারে তাঁর ফাঁসির আদেশ হয়। সেসময় পুলিশ এসে ওই মেসবাড়ি রেড করে। বাবার লেখা একটা বই আছে ‘যথা নিযুক্তোহস্মি’, তাতে তিনি মেসে পুলিশের রেডের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, পুলিশ চলে যাবার পর তিনি গোপীনাথ সাহার একটা সুটকেস খুঁজে পান। তাতে লেখা ছিল⎯ আমি আমার রক্ত দিয়ে দেশকে স্বাধীন করব।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ২

বাবার তখন মাথায় এল, তাহলে কম্পোজিংটা শিখে নিই। তখনকার দিনে এই কাজ করে মাসে ৩০-৪০ টাকা রোজগার করা সম্ভব হত। সেই আশাতেই বাবা কাজ শিখতে শুরু করেন হিতৈষী প্রেস-এ। বাবা তখন রায়পাশায় মামাবাড়িতে থেকেই কাজ করছেন। সকাল ৬ টার সময় বেরিয়ে আসতেন, দুপুর ১২টা অবধি কাজ করতেন। দুপুরে দেড় ঘণ্টা ছুটি নিয়ে মামাবাড়িতে খেতে যেতেন। আবার এসে ২টো থেকে ৭টা অবধি কাজ করতেন। মানে তাড়াতাড়ি কাজটা শিখতে হবে। বাবার ভেতরে এই ঐকান্তিক ইচ্ছাটা ভীষণভাবে ছিল।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…
মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত: পর্ব ১

বরিশাল তুঙ্গে আছে ১৯০৫ সালে বঙ্গভঙ্গের সময় থেকে। ১৯০৬ সালে বরিশালে কংগ্রেসের প্রাদেশিক সভা হয়েছিল। সেই সময়ে অরবিন্দ ঘোষ, বারীন্দ্রকুমার ঘোষ সবাই বরিশালে গিয়েছিলেন এবং তাঁরা অশ্বিনীকুমার দত্তের সঙ্গে কথা বলেছিলেন। তখন অশ্বিনীকুমার দত্ত তাঁদেরকে আলাপ করিয়ে দেন সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় বলে একজনের সঙ্গে। পরবর্তীকালে তাঁর নাম হয়েছিল প্রজ্ঞানানন্দ সরস্বতী।
দেশের স্বাধীনতা আন্দোলন থেকে সরস্বতী প্রেসের জন্মকথা, দীর্ঘ সাক্ষাৎকারে মুখোমুখি দেবজ্যোতি দত্ত…