দু’টি কবিতা

নিশি নিশি-তেডেকে গেছে দিনে—আমি যাব লেনা-দেনা কিছু কিছুবাকি রয়ে গেলকটা শস্তাকথায় তবে আবারও বিলিয়ে নিজেকে আমি যাব যে নিশীথের নিশিডেকে গেছে দিনেপায়েপায়ে আমিতারই পিছু নেব শান্ত লুব্ধক আকাশের নীচে মেঘআর তারও নীচে আমি ভেসে আছি—উতলা কুহু-রাতেতার কাজল উচ্ছ্বাসেশান্ত লুব্ধক যেন
দুটি কবিতা

শুনতে পাব কবেকার / সেই পংক্তিমালা এখনও /সে আউড়ে চলেছে— / বোতল বোতল সুরা আমার জন্য দিওয়ানা হয়ে গেল, তবু /আমি মাতাল হলাম কই…. স্বপ্নে দেখা অক্ষরমালা, বন্ধুপর্বের দৃশ্যাবলি ফিরে ফিরে আসে কবিমনে। অরিঞ্জয় বিশ্বাসের কবিতা।
সংক্ষিপ্ত কবিতাগুচ্ছ

জানা যাবে না/ কটা অক্ষয়বটের ফল/ পকেটে রাখা আছে… অরিঞ্জয় বিশ্বাসের কবিতা।
কবিতা: বিমনা

বেদনা বিশীর্ণ হলে বিমনা হয় মন।… তরল ভালবাসা আর একাকী যন্ত্রণা মিলিয়ে তৈরি হয় পংক্তিমালা। তাদের জড়ো করে প্রেমার্তি বুনলেন অরিঞ্জয় বিশ্বাস।
কবিতা: মঙ্গলগীত

জ্বলে-পুড়ে, সম্পূর্ণ দগ্ধ হই আগে।/নিভে গেলে প্রচণ্ড শিখা, বীভৎস বহ্নির,/ছিটিয়ো জল, শান্তি উচ্চারণে।
দু’টি কবিতা

আর আজকাত লাভ-ক্ষতির হিসেবনিকেশকে তো
অঙ্ক বলেই মানি না।
সুদকষা দেখলে পেটে খিল ধরে যায় –
হাসি থামে না।
সহজ উত্তর

প্রাচীন বটের মতো এত জটিল কেন জীবন?
বেজায় কাণ্ডজ্ঞান খাটিয়ে
হদ্দ খোঁজা খুঁজে দেখেছি –
মগ্নবিষাদী

আরও একবার চৈতন্যে বিষাদের অমৃত ঢালো প্রভু, আমি মগ্নবিষাদী হব আবার। দেখে যাব শেষবার – বর্ণমালার কোন কোন রঙে আকাশ রাঙালে তুমি, সাজালে মাটি-পাহাড়। জল দিয়ে জল-রং ধুয়ে যাওয়া – দেখে নেব, প্রভু। এই শেষবার। কী রং মেশালে বাতাসে হাওয়া-রং ধরে। এই, এই শেষবার। আমায় মগ্নবিষাদী করো আরবার।