কবিতা: সাঁওতাল

কাঠের মূর্তিতে তো আমাকে যেতেই হবে। হাতে জলখাবারটুকু খাওয়ার জন্য যেটুকু সময়। এই শূন্যে তৈরি ঘর মুহূর্মুহূ দুলছে। কখনও তোমার পায়ের শব্দকে মনে হচ্ছে প্রকাণ্ড কোনও পাথরের চাঙড় ভেঙে পড়ার আওয়াজের মতো। … অমিতরূপ চক্রবর্তীর কবিতা।
কবিতা: ভুবন

চারপাশে ঝকঝক করছে আরও একটি নতুন দিন। তুমি উড়ে গিয়ে বসেছ তোমার চিরবিখ্যাত ডালে। সেখান থেকে কী অক্লেশে দেখা যায় পড়শি বাড়ির দরজা। .. পরাবাস্তবের অন্ধকার জগতে একটি আলো ঝলমল দিনের বিবরণ তুলে আনলেন অমিতরূপ চক্রবর্তী।
কুড়ি কুড়ি বছরের পার…

আমার সঙ্গে স্বাতীর কথাবার্তা খুব কম। এভাবেই আমরা আছি। যখন যা করার, সেটা আমরা কথা বিনিময় ছাড়াই দিব্যি বুঝে যাই। দীর্ঘদিনের অনুশীলনে সেটা আরো নিখুঁত হয়েছে। দেখলাম স্বাতী ফিরে আসছে। … যাওয়া আসার মাঝখানের গল্প অমিতরূপ চক্রবর্তীর কলমে।
কবিতা: সাপ

আমরা নগ্ন হয়ে ঘুরে ফিরে দেখাব আমাদের সব বড় বড় হাঁ, যুবতী ফার্নে ভরে যাওয়া সব খাদ বা পরিসরে বাড়তে থাকা সব প্রকট জ্বালামুখ।
কবিতা: অনুবাদ

জগতে শুধু উজ্জ্বল তিনদিক ঘেরা কিউবিকগুলো পড়ে আছে। পেপার ওয়েস্ট উপছে ফুটে আছে ব্যবহৃত টিস্যুর ফুল।
গ্রন্থ: কবিতা

সংসারের মুখে এখন মাসের প্রথম সপ্তাহ। জলে তার অদৃশ্য ধস্তাধস্তির শব্দ হচ্ছে। তৃতীয় সপ্তাহের পর যখন জলে আর কোনও আন্দোলন থাকে না, একটি মৃতের গন্ধ আমাদের আত্মায়, সংসারে ভেসে আসে… গদ্য কবিতা লিখছেন অমিতরূপ চক্রবর্তী।