বাংলা চলচ্চিত্রের উদ্ভাসিত আলোক ভানু বন্দ্যোপাধ্যায়

তাঁর প্রায় ৩০০ ছবির অভিনয়ে পুনরাবৃত্তির দোষ থাকলেও অতিরিক্ত অভিনয়ের অপরাধ তাঁকে সচরাচর দেওয়া যাবে না। তাঁর অপরিহার্যতা তার অভিনয় সুষমার অপার লাবণ্যের আখরে।
‘ইভান্স চাইল্ডহুড’: স্বপ্ন-দুঃস্বপ্নের দোলাচল ও বিরহী পিতৃহৃদয়

শেষ চলচ্চিত্রের শেষ দৃশ্যে, তারকোভস্কির সমগ্র চলচ্চিত্র ভান্ডারের শেষ দৃশ্যকল্পেও ক্যামেরা বেয়ে ওঠে সেই গাছটিকে যা বাবা ও ছেলে অতীতে পুঁতেছিল। সেটা তখনও অপুষ্ট, পাতাহীন তবুও তা প্রাণহীন নয় । ঘোড়া, আপেল, মাটি, জল, আগুন, ওড়ার রূপক – এই সব চিহ্নই তারকোভস্কির প্রথম ছবি থেকেই পরিলক্ষিত। নিজের ছেলে এবং পরবর্তী প্রজন্মের প্রতি আশা থাকে আলেকজান্ডারের, তারকোভস্কিরও, প্রথম থেকে শেষ ছবিতে ‘ট্রি অফ লাইফ’ এভাবেই বৃত্ত সম্পূর্ণ করে।
দেবিকা রানি – দ্য ফার্স্ট লেডি অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা

তাঁকে বলা হয় – ‘দ্য ফার্স্ট লেডি অফ ইন্ডিয়ান সিনেমা’। একদিকে যেমন তাঁর অভিনয়শৈলী, গীতি-পারদর্শিতা এবং রূপলাবণ্য, তার সঙ্গে সমান্তরালে ‘বম্বে টকিজ’র একাধিক চলচ্চিত্র যা ভারতীয় নারীর সামাজিক অবস্থা এবং দুর্দশা অন্বেষণের এক যুগোপযোগী আয়না হিসেবেই প্রতিভাত হতে পারে । উল্লেখযোগ্য, জাতপাত এবং বিত্তের অসাম্যকে কেন্দ্র করে দেবিকা রানি অভিনীত অনেক ছবির বাস্তব আজকের ভারতের বাস্তবও ।
ছোট মনে বড় দেখা

সাত বছরের রাজিয়া যখন ১৯৯৫-এর তেহরানের বাজারে হন্যে হয়ে ছুটে বেড়াচ্ছে তার হারিয়ে যাওয়া ৫০০ তোমানের নোটটার জন্য, তার আশা-নিরাশা, হতাশা-আনন্দের দোলাচলে শরিক হয় তার দ্বিগুণ বয়সী একগুচ্ছ দাদা-দিদিরাও, দক্ষিণ কলকাতার গার্ডেন হাই স্কুলের ফিল্ম-ক্লাবে ।