জোয়াই (পর্ব ৫)

ব্রহ্মপুত্র উপত্যকার সিল্ক, তুলো, মোম, মধু প্রভৃতি সুরমা উপত্যকার সিলেটে পৌঁছে দিতে পারলে তা সারা বাংলায় সহজেই ছড়িয়ে দিতে অসুবিধা হবে না। রাস্তার জন্য জমি দরকার। কিন্তু স্থানীয় জনজাতির সঙ্ঘবদ্ধ আপত্তিতে কিছুতেই লক্ষ্য পূরণ হচ্ছিল না।
এক নিভৃতবাসের সূচনাপর্ব!

জুন মাসের প্রথম দিনের প্রভাতে পাহাড় ঘেরা ছোট্ট বিমানবন্দরে সামান্য কয়েকজন সহযাত্রীর সঙ্গে গুটিগুটি অবতরণের পর বোঝাই যায়নি শুরু হতে চলেছে নির্বাসিতের জীবন। রোদ ঝলমলে আকাশের নিচে চারদিকে ছড়িয়ে থাকা পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত শহরটিকে মন্দ লাগেনি। রাষ্ট্রপুঞ্জের গাড়িতে ঝড়ের গতিতে ব্যাগ-বাক্স সমেত আরোহীকে তুলে নিয়ে যাত্রা হল শুরু।
জোয়াই (পর্ব ৪)

১৭৬৫-তে বাংলার দেওয়ানি হাতে পাওয়ার পর ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পুরো অঞ্চলের প্রাকৃতিক সম্পদের অন্বেষণ শুরু করে। কৃষিজ, বনজ ছাড়াও খনিজ সম্পদের উপর নজর ছিল। ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্বাঞ্চলে চুন সরবরাহ করত জয়ন্তিয়া রাজ্য। পাকা বাড়ি থেকে শুরু করে সড়ক, সেতু ইত্যাদি যাবতীয় নির্মাণকাজের জন্য চুন অপরিহার্য। তখন তো আর সিমেন্ট ছিল না, কাজেই চুনই ভরসা।
জোয়াই (পর্ব ৩)

শিলং-এর পূর্ব প্রান্ত থেকে শুরু করে বরাক নদীর উপত্যকার উত্তর প্রান্ত পর্যন্ত ছড়িয়ে ছিল জয়ন্তিয়া রাজাদের রাজত্ব। এখনকার বাংলাদেশের সিলেট জেলার একটা বড় অংশও ছিল জয়ন্তিয়া রাজাদের আয়ত্বে।
জোয়াই পর্ব (২)

মেঘালয় এসে জয়ন্তিয়া পাহাড়ে যাওয়ার কথা সাধারণত মনেই থাকে না। এতদিনের চেনা ছক ছেড়ে এবার না হয় একটু অন্য রাস্তায় হাঁটলেন।
জোয়াই (পর্ব ১)

গুয়াহাটি থেকে জাতীয় সড়ক ধরে পূর্বদিকে এগোতে থাকলে শহরের প্রান্তসীমায় অবস্থিত খানাপাড়া থেকে রাস্তার দু’ পাশের বিচিত্র দৃশ্য বৈষম্য অবশ্যই আপনার চোখে পড়বে। বাঁদিকে ছোটো ছোটো বাড়ি। বাঁশবন-গাছগাছালি। আর অন্যপাশে ঝকঝকে দোকানপাট, পেট্রোল স্টেশন, রেস্তোরাঁ আরও কত কিছু।