গল্প: এ জন্মের শেষ ঠিকানা

আসলে সে সব কথা নয় রে নীলা। আমাদের এই বয়সে একটু সমবয়সী মানুষদের সঙ্গে সময় কাটাতে ইচ্ছে করে। ওই দুটো সুখ-দুঃখের কথা বলা। তবে, সত্যি তো। দেশে থাকব কোথায়? আত্মীয়-স্বজনরা ঘরবাড়ি বিক্রি করে ফ্ল্যাটে উঠে যাচ্ছে। সেখানে বাড়তি লোকের জায়গা হয় না। ভাইবোন বলতে আমার বেঁচে আছেই বা ক’জন? কোথায় আর যাব।
শিশু বনাম রবীন্দ্রনাথ

সে রবীন্দ্রজয়ন্তী ভুলব না। মহারাজের উতোর আর দর্শকদের চাপান। মহারাজ বলছে—“এককানি ছোতো খেত আমি একেলা”। বলেই দর্শকদের সুযোগ দিতে চুপ করে যাচ্ছে। তাঁরা সমস্বরে ক্যাচ লুফে নিয়ে—“চারিদিকে বাঁকা জল করিছে খেলা।” হঠাৎ মহারাজ আপন মনে—“বাকা জল, আঁকা জল কইছে খেলা…। গান গেয়ে গান গেয়ে কইছে খেলা…।” বড় করতালি সহযোগে মহারাজ মঞ্চ থেকে নেমে এলেন। বাবা সগর্বে বললেন—“বলেছিলাম না, সবটা বলতে পারবে না?”
প্রবাসে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন উপলক্ষ্যে কিছু মজার ঘটনা, স্মৃতিচারণ করলেন আলোলিকা মুখোপাধ্যায়…
শয়নে স্বপনে স্বপনকুমার

ছদ্মনামী লেখক ছিলেন ডাঃ সমরেন্দ্রনাথ পাণ্ডে। প্রথম বই ‘অদৃশ্য সংকেত’ ছাপা হয়েছিল ১৯৫৩ সালে। প্রায় তিন যুগ ধরে লিখেছিলেন রহস্য কুহেলিকা সিরিজ, ক্রাইম ওয়ার্ল্ড সিরিজ, ড্রাগন সিরিজ, বাজপাখি সিরিজ, বিশ্ব চক্র সিরিজ, কালরুদ্র সিরিজ, কালনাগিনী সিরিজ।
গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (শেষ পর্ব)

বাবা নিজেকে ডিভোর্সড বলেছিল। তুমি এখানে আমাদের নিয়ে আলাদা থাকো। বাবা অ্যালিমনির জন্যে ডলার পাঠায়। বাবার মিথ্যে কথাগুলো মেহরীন আন্টি অনেক পরে ধরতে পেরেছিল।
গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (পর্ব ২)

মেহরীনের খুব খারাপ লাগছিল। অনিল যে কথা কোনওদিন তার দেশের ফ্যামিলিকে জানতে দেয়নি, আজ মেহরীনকে তাই বলতে হচ্ছে। দেবীর অসহায় মুখ দেখে মায়া হচ্ছিল। তবু ঘটনাটা ওকে বুঝিয়ে বলতে হবে। মেহরীন আগের প্রসঙ্গে ফিরে গেল—“দেবী, তুমি বড় হয়েছ। হয়তো অনেক কিছু বুঝতে পারো। আমেরিকায় আমি তোমার বাবার লিগ্যাল ওয়াইফ। দশ বৎসর আগে আমাদের রেজিস্ট্রি ম্যারেজ হইছে। এখন তাঁর পক্ষে ইন্ডিয়াতে কাউকে ওয়াইফ হিসাবে স্পনসর করা সম্ভব নয়। তোমার মায়ের তো সেই লিগ্যাল স্টেটাস নাই।”
গল্প: জয়কিষণগঞ্জের গল্প (পর্ব ১)

দেবী ওর তেরো বছরের জীবনে কখনও একসঙ্গে এত পেঁয়াজ দেখেনি। আমেরিকায় লোকে এত বেশি বেশি বাজার করে কেন? বরফে জমানো রুই মাছ, ইলিশ মাছ, কই মাছ সবই একদিনে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। টাকা থাকলেও কত খেতে পারে মানুষ? দেবী তো বিয়েবাড়িতে গিয়েও দুটোর বেশি মাছ খেতে পারে না।
নিউজার্সিতে দক্ষিণ-এশীয় নাট্যোৎসব

নিউজার্সির ‘নিউব্রানস উইক পারফর্মিং আর্ট সেন্টার’-এ গত ১১ ও ১২ ডিসেম্বরের নাট্য উৎসবে বাংলা, হিন্দি, দক্ষিণ ভারতীয় ও ইংরেজি ভাষায় পাঁচটি নাটক প্রযোজনা করেছে আমেরিকার কয়েকটি নাট্যগোষ্ঠী। দেখে এলেন আলোলিকা মুখোপাধ্যায়।
হাসি গল্পের শেষে

আসরে গল্প শুরু করেই প্রণতি বিরস কণ্ঠে বলল- এই মিড্ল ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সগুলো এক নতুন উপদ্রব হয়েছে। কলকাতা থেকে যে আসছে, হয় এমিরেটস্, কাতার নয়ত এতিহাদ না কী যেন। তার মানেই নিউ জার্সি থেকে কেনেডি এয়ারপোর্টে যাও। আনতে যাওয়া, পৌঁছে দেওয়া, কম ড্রাইভিং?