একটা সময় ছিল যখন অনিল কপূর আর জ্যাকি শ্রফ হিন্দী সিনেমার পর্দায় রাজত্ব করতেন। ১৯৮০ সালে তাঁদের রসায়ন ছিল দেখার মতো। একাধিক ছবিতে তাঁরা এক সঙ্গে কাজ করেছেন। আর তাঁদের প্রতিটি ছবিই সুপারহিট হত। তার মধ্যে ‘রাম লখন’ অবশ্যই অন্যতম। দুই ভাইয়ের গল্প দর্শকদের ভালবাসা আদায় করে নিয়েছিল। ক্যামেরার পিছনে ছিলেন শো-ম্যান সুভাষ ঘাই। দুঁদে পুলিশ অফিসার রাম ওরফে জ্যাকি শ্রফ আর তাঁর ফন্দিবাজ ভাই লখন ওরফে অনিল কপূরের স্ক্রিন কেমিস্ট্রি ছিল অনবদ্য। ডিম্পল কাপাডিয়া, মাধুরী দিক্ষিত, অনুপম খের, অমরীশ পুরি, দলীপ তাহিল আর পরেশ রাওয়ালের মতো অভিনেতারা ছিলেন এই ছবিতে। ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে এই ছবিকে কাল্ট ক্লাসিক হিসেবেই ধরা হয়।

অনেক দিন ধরেই কথা চলছিল এই ছবির সিক্যুয়েল নিয়ে। সুভাষ ঘাই নিজেও একাধিকবার এই সিনেমাটি আজকের তরুণ প্রজন্মের কথা মাথায় রেখে বানাবার ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন। শোনা যাচ্ছিল বরুণ ধাওয়ান. অর্জুন কপূর, রণবীর সিংহ-এর মতো তারকাদের কথা ভাবা হচ্ছে মূল চরিত্রের জন্য। তবে সূত্রের খবর, স্বয়ং অনিল কপূর ও জ্যাকি শ্রফই অভিনয় করবেন এই সিক্যুয়েলে। নতুন ছবির নাম ঠিক করা হয়েছে ‘রামচন্দ কিষণচন্দ’। ৫০ বছর বয়সী দুই পুলিশ অফিসারের ভূমিকায় দেখা যাবে তাঁদেরকে। আরও কোনও নতুন মুখ দেখা যাবে কি না, তাই নিয়ে কোনও খবরও এখনও পাওয়া যায়নি। অক্টোবর মাসে শুরু হবে ছবির শুটিং।
জ্যাকি শ্রফ ও অনিল কপূরের সঙ্গে সুভাষ ঘাইয়ের সম্পর্ক বহু পুরনো। জ্যাকিকে উনি লঞ্চ করেছিলেন হিরো সিনেমায়। সেই অর্থে উনি জ্যাকি শ্রফের গডফাদার। অনিল কপূরকেও ওঁর পরিচালিত বহু সিনেমায় দেখা গেছে। সুভাষ ঘাই নিজেই বলেছেন যে, যে সব অভিনেতারা ওঁর সঙ্গে কাজ করেছেন, সকলেই ওঁর সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রেখেছেন। কিন্তু যে সব অভিনেত্রীদের উনি লঞ্চ করেছিলেন, তাঁদের কারওর সঙ্গে আর সেভাবে কোনও যোগাযোগ নেই। সুতরাং বোঝা যাচ্ছে না এই ছবিতে নায়িকার ভূমিকায় আবার ডিম্পল কাপাডিয়া বা মাধুরী দিক্ষিতকে দেখা যাবে কি না। তবে দর্শক যে অধীর আগ্রহে আবার রাম লখনের ম্যাজিক দেখার অপেক্ষায় থাকবে, তা বলাই বাহুল্য!
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।