আগের পর্বের লিংক: [পর্ব ১] [পর্ব ২] [পর্ব ৩] [পর্ব ৪] [পর্ব ৫] [পর্ব ৬] [পর্ব ৭] [পর্ব ৮]

জুড়ান বলল, লোকটা নাকি পিজি হাসপাতালে যাচ্ছিল চেকআপ করাতে, ফ্রি চেকআপ। হার্টে একটু গোলমাল ছিল, পথেই বাংলাদেশ আইবি তাকে ধরে নেয়। বাসস্টপে পিঠে হাত দেয় একজন, আর একজন পিস্তলের নল ঠেকায় কোমরে। বলে, আমাদের সঙ্গে চল, নইলে মেরে চলে যাব। ঢাকা থেকে আসছি। দিন দুপুরে এসব ঘটেছিল। সেই হত্যাকারী বুঝল রেহাই নেই। তাকে নিয়ে তারা ট্যাক্সি ধরে হাওড়ার বাসে ওঠে, হাওড়া স্টেশনে নিয়ে যায়। তারপর উত্তরবঙ্গের ট্রেন ধরে কোচবিহার। বুড়িমারি বর্ডার দিয়ে কুড়িগ্রাম ঢুকে সেখেন থেকে রংপুর হয়ে ঢাকা। জুড়ান কি বুড়িমারি বর্ডার গেছে? যায়নি। কোচবিহার? যায়নি। রংপুর কুড়িগ্রাম তো যায়ইনি। কিন্তু হুবহু বর্ণনা করল। যেন সে-ই ছিল সেই গোয়েন্দা অফিসারদের গাইড। 

জুড়ান রায় এমনভাবে বলছিল যেন সে সাক্ষী ছিল। না সাক্ষী ছিল না। সে ইন্টারনেট থেকে পেয়েছে। অফিসে ওয়াইফাই আছে। অফিসে নেট করা সুবিধে। কাজ আর কতটুকু, বাকি সময় এইসব খবর নেওয়া তার নেশা। জানতে অসুবিধে নেই। সারাদিন সে জেনে নেয় পৃথিবীর খবর। তবে ইংরেজি জানে না বলে বাংলাদেশ আর পশ্চিমবঙ্গের খবরই রাখে বেশি। ফেসবুকে তার ক’জন বিদেশের বাঙালি বন্ধু আছে, তাদের কাছে বিদেশের খবর পায়। বিদেশে কী ঘটছে জেনে নেয়। জুড়ান বলছিল, তার বাবার পড়ানোর ক্ষমতা ছিল না, চায়ের দোকান করে কতদূর কী করা যায়? যশোরের বোসমশায়দের এক ছেলে বড় সরকারি চাকুরে ছিল, তাকে ধরে সে চেনম্যানের কাজ পেয়েছিল। কাজ করলে টাকা, কত হত মাসে, ১৫০ থেকে ২০০-র ভিতরে। কাজ ছিল চেন বয়ে নিয়ে যাওয়া। চেন ফেলে জমি মাপা হয়, সে ভারি চেন টানত।

তারপর সেই চেনম্যান থেকে পিয়নের চাকরি হল। ডি-গ্রুপ। লেখাপড়া জানলে সে মোহরার বা ক্লার্ক হতে পারত। পারেনি, সেই না পারা পুষিয়ে নিচ্ছে জগতের খবর জেনে। এও তো এক রকম লেখাপড়া।  লেখাপড়া মানে কতকিছু জানা। উত্তর মেরু, দক্ষিণ মেরু জানা। জুড়ান তা জানে। যখন আমাদের দেশে গরমকাল, আমেরিকাতেও গরমকাল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ায় শীত, এসব কি সে জানত আগে? ইন্টারনেটে জেনেছে। কত শহরের কথা জেনেছে সে। কোন শহরে কেমন মানুষ বাস করে, তা জেনেছে সে। শুনতে শুনতে আমি অবাক।

সে জানে নিউইয়র্কের টাইমস স্ক্যোয়ারের কথা, সেখান থেকেই নাকি নতুন ইংরিজি বছর শুরু হয়। ৩১ ডিসেম্বরের রাত বারোটা হয়ে গেলে একটা বল নেমে আসতে থাকে নীচে…অবাক ব্যাপার। নতুন বছর শুরু হল। তবে কিনা ওদের নতুন বছরের সাড়ে দশ ঘণ্টা আগে আমাদের নতুন বছর শুরু হয়ে যায়। জুড়ান রায় যেন এনসাইক্লোপিডিয়া। সব জানে। তার অফিসাররা অনেক সময় তাকে জিজ্ঞেস করে, ও জুড়ান রায়, বল দেখি কানাডার মন্ট্রিয়লে ঠান্ডা কেমন? জুড়ান নেট থেকে তাপমাত্রা বের করে দিল। গুগুল সার্চ।   

ফেসবুকে তার ক’জন বিদেশের বাঙালি বন্ধু আছে, তাদের কাছে বিদেশের খবর পায়। বিদেশে কী ঘটছে জেনে নেয়। জুড়ান বলছিল, তার বাবার পড়ানোর ক্ষমতা ছিল না, চায়ের দোকান করে কতদূর কী করা যায়? যশোরের বোসমশায়দের এক ছেলে বড় সরকারি চাকুরে ছিল, তাকে ধরে সে চেনম্যানের কাজ পেয়েছিল।

বোঝা গেল। কিন্তু জুড়ান কি সিসিসি, চঞ্চলচন্দ্র চন্দ্রকে চেনে? ফেসবুকে তিনিও আছেন শোনা যায়। জুড়ান বলল, তিনি তার ফেসবুক ফ্রেন্ড। তাঁর বন্ধু খুব কম, বলা যায় চারশোর মতো। তিনি এক অদ্ভুত মানুষ। তিনি ফেসবুকে তাঁর হারানো বন্ধুদের খুঁজে বেড়ান। একদিন বলেছিলেন। ওই পর্যন্ত। লোকটা ভাল। নীলমাধবকে পাত্তাই দেয় না। নীলমাধব তাঁকে কয়েকবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল, তিনি বাতিল করে দিয়েছেন। চঞ্চলচন্দ্র ভাড়ায় থাকেন, অতবড় একটা ফ্ল্যাটে একা। ফ্ল্যাট যিনি কিনেছেন, তিনি থাকেন দিল্লি। পড়ে থাকবে ফ্ল্যাটটা, তাই ভাড়ায় দিয়েছেন এগারো মাসের চুক্তিতে। এত কথা আমরা জানতাম না। জুড়ান বলল। একদিনে অনেক জানা গেল। 

বেলা হল। আমরা পার্ক থেকে বেরিয়ে এলাম। জুড়ান বলল, আবার এস। মাধব একদিন বুঝবে জুড়ান রায় কত জানে। তার হাতে ইন্টারনেট। সে কত কিছু জেনে যাচ্ছে। হাবড়ায় একটা লোক হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি করত হিন্দু নামে। সেও পালিয়ে আসা শেখ মুজিবের হত্যাকারী। শোনা যাচ্ছে, সে নাকি ছ-মাস আগে মারা গেছে। কিন্তু সবটা পরিষ্কার না। জুড়ান খোঁজ নিচ্ছে। হত্যাকারী মরে গেল হার্ট অ্যাটাকে, এই কথাটা কি সত্যি? জুড়ান অফিসের কাজ নিয়ে হাবড়া যাবে, গিয়ে তদন্ত করে আসবে। লেখাপড়া না জানতে পারে, বাকি সব জানে। তার মতো এত খবর কেউ দিতে পারবে না। আমরা আর এক রোববার আসব, হাবড়ার সেই হোমিওপ্যাথি ডাক্তারের খবর নিতে। সে মারা গেছে, না খবর পেয়ে পালিয়েছে। কিন্তু পালিয়ে যাবে কোথায়? গোয়েন্দা ঠিক খুঁজে বের করবে। কী শয়তান, দেশের রাষ্ট্রপতির ফ্যামিলির সকলকে শেষ করে দিল! 

সোমবার আমি বেরইনি। মঙ্গলেও না। জুড়ানের অত কথা হজম করা অসম্ভব হয়ে উঠছিল যেন। আমি ভাবলাম অ্যানড্রয়েড ফোনে ফেসবুক খুলি। কিন্তু তা হয় না। দু’জন থাকি। আমি যদি ফেসবুক নিয়ে ব্যস্ত থাকি আমার বউ সুজাতা করবে কী? আমি খবরের কাগজ পড়ি, বই পড়ি, টিভি সিরিয়াল দেখি, টিভিতে সিনেমা দেখি। তাতেই দিন কেটে যায় স্বাভাবিকভাবে। এর ভিতরে ফেসবুক মানে উটকো ঝামেলা। আমার কাছে এসে কেউ যেন না বলে, ফোনে রিচার্জ করে দাও স্যার, ডারলিং… হা হা হা।

 

আরও পড়ুন: অতনু দে-র ছোটগল্প: পান্তা থেকে পাস্তা

 

আবার মনে হয় চঞ্চলচন্দ্র এবং জুড়ান রায় মানে ‘নিরীহ মানুষ জগদীশ’, এই দু’জন আমার বন্ধু হবে। দু’জনের সঙ্গে আমি ফেসবুকে কথা বলব। আর শ্যামাশ্রী। সে যদি থাকে ফেসবুকে? থাকবে, কত শ্যামাশ্রী থাকবে। তার মধ্যে সেই শ্যামাশ্রীকে আমি কোথায় পাব? নীলমাধব যদি আমার বন্ধু হতে আসে ফেসবুকে, আমি কি না  করতে পারব? তবে সুমিতাভ মৈত্রকে যুক্ত করব। এইরকম কত কিছু ভাবলাম দু’দিন ধরে। বুধবার বেরলাম। গুণেন সরকার আসেনি। সবদিন আসেও না। মাধব আমাকে ধরল, দু’দিন আমি কোথায় ছিলাম, সকালে বেরোইনি কেন? কী যে মনে হল, বললাম:
– শান্তিনিকেতন গিয়েছিলাম। 
কথাটা মুখ দিয়ে বেরিয়ে এল। মাধব অবাক হয়ে তাকিয়ে থাকল। বলল:

– কবে গেলে?
– রোববার।
রোববার! মাধব আরও অবাক হয়ে আমাকে দেখতে থাকে। জিজ্ঞেস করল:
– কোন ট্রেনে?
– কেন? শান্তিনিকেতন এক্সপ্রেস।

জুড়ান কি সিসিসি, চঞ্চলচন্দ্র চন্দ্রকে চেনে? ফেসবুকে তিনিও আছেন শোনা যায়। জুড়ান বলল, তিনি তার ফেসবুক ফ্রেন্ড। তাঁর বন্ধু খুব কম, বলা যায় চারশোর মতো। তিনি এক অদ্ভুত মানুষ। তিনি ফেসবুকে তাঁর হারানো বন্ধুদের খুঁজে বেড়ান। একদিন বলেছিলেন। ওই পর্যন্ত। লোকটা ভাল। নীলমাধবকে পাত্তাই দেয় না। নীলমাধব তাঁকে কয়েকবার ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিল, তিনি বাতিল করে দিয়েছেন। 

আমার কথা শুনে আমি নিজেই অবাক হচ্ছিলাম। কী সুন্দর বানিয়ে বলে যাচ্ছি।  এইটা মিথ্যে বটে, কিন্তু এই মিথ্যে আমার ভিতরে একটা শক্তি তৈরি করছে। নীলমাধবকে ইঙ্গিত দেওয়ার সাহস হয়েছে আমার। নীলমাধব বলল, সেও গিয়েছিল শান্তিনিকেতনে। তার একটা বাড়ি আছে, ছবি দেখাতে পারে মোবাইল থেকে। দারুণ গার্ডেন করেছে। আগে জানলে সে যেত না, আমাকে চাবি দিয়ে দিত। বলতে বলতে মাধব জিজ্ঞেস করল:
– একা গেলে?
একা যাব কেন? কলিগ ছিল একজন।
– কলিগ, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এখনও?
হ্যাঁ, আছে। তার বাড়ি আছে শান্তিনিকেতনে। বীরভূমের লোক।  
– ও আচ্ছা। মাধব চুপ করে থাকে। তারপর বলে, সে গিয়েছিল গাড়ি নিয়ে। রাতেই ফিরেছে। মাঝেমধ্যে তাকে যেতে হয়। আমি জিজ্ঞেস করলাম:
– একা যাও?
– উঁহু না, একা না।

আমি আর কিছু জিজ্ঞেস করলাম না। কথা বিপজ্জনক জায়গায় পৌঁছে যাচ্ছে। কী দরকার মাধবকে বিব্রত করে। চটিয়ে দিয়ে। এইদিন বেশি লোক আসেনি। যেমন কার্তিকবাবু আসেনি, সুমিতাভ মৈত্র আসেনি। সুমিতাভ এমনি আসেন না। পরপর বেশ কয়েকদিন। কেননা, লেখার চাপ থাকে তখন। একবার একমাস আসেননি। উপন্যাস শেষ করলেন। অনেকদিন ধরে উপন্যাস লেখেন সুমিতাভ। একটি উপন্যাস লিখতে তাঁর তিন-চার বছর লেগে যায়। কিন্তু তখন তার গতি থাকে স্বাভাবিক। শেষের দিকে এলে তিনি ক্রমাগত লিখে শেষ করেন। এসব আমাকে বলেছেন সুমিতাভ। সঞ্জয় ঘোষ নারসিংহোমে চেক আপের জন্য ভর্তি হয়েছেন। আমাকে চাপা গলায় মাধব বলল:
– ছিল একজন। একা যাব কেন?
আমাকে একদিন নিয়ে যেতে পার তো। বললাম। হা হা করে হাসল মাধব। বলল:
– সে যাওয়া যাবে শীতে। পিকনিক হবে, রাতে থাকা হবে। টিম মরনিং-ওয়াক যাবে।
না না, এমনি শর্ট ট্রিপে।
মায়াপুর গেলে নিয়ে যাব তোমার ফ্যামিলিকে। বড় গাড়ি যাবে সেদিন। আমার বউ, তোমার বউ, তীর্থ করে আসবে। মাধব বলল।
– না না। শান্তিনিকেতন। রোববার সারাদিন বেরনো হয় না তো?
– উঁহু, হয় না। মাধব মাথা নাড়তে থাকে।      
– কেন হয় না? আমি জিজ্ঞেস করলাম জেরার ভঙ্গিতে।
ও তুমি বুঝবে না অনুতোষ। তুমি হলে ভেজিটেরিয়ান, আমি নন ভেজ। আমিষ ছাড়া আমার চলে না।  

 

আরও পড়ুন: হিন্দোল ভট্টাচার্যের গল্প: লালু ভুলুর কিসসা

 

কথা এই অবধিই থাকল। আর একজন এসে যোগ দিল কথায়। কিন্তু সেই ব্যক্তি বেশিক্ষণ থাকল না। তাড়া ছিল, চলে গেল মাধবকে কুশল জিজ্ঞেস করে। বাড়ির সকলে ভাল তো, নীলাম্বর স্যার ভাল তো? 
– তিনি তো বেঁচে নেই।
– স্যরি স্যার। তাই তো, আমি তখন কলকাতার বাইরে। ফিরে খবর পেয়েছিলাম। মিসেস ঠিক আছেন তো? আপনার ভাই আর বোন, তাঁরা কেমন আছে? ছেলে আছে তো দিল্লি না পাটনা? ভাল আছে তো?

গুষ্টির খবর নিয়ে লোকটা চলে গেল। ওর নাম বিলয় মুখুটি, শ্যামবাজারে কাপড়ের দোকান আছে।  ব্যবসার উপদেশ নেয় মাধবের কাছ থেকে। চলে যেতে আমি অনেকটা নিশ্চিন্ত হলাম। আমাদের বাক্য বিনিময় আবার শুরু করা যায়। হাঁটছিলাম। মাথার উপরে সুনীল আকাশ, বাতাসে নরম ভাব, পাখিদের কলকাকলি এখনো সজীব। কতজন ব্যায়াম করছে, প্রাক্তন এমএলএ তাদের ভিতরে একজন। তাঁর এখন তত দাম নেই। আগে তাঁর সঙ্গে অন্তত সাতজন ব্যায়াম করত পাল্লা দিয়ে। প্রাক্তন এমএলএ, তেওয়ারি মশাই একা হয়ে গেছেন। আগে তিনি মাধবের সঙ্গে কত কথা বলতেন, মানে মাধব তাঁর সঙ্গে বলত।  এখন মাধবের সময় নেই।

মাধব একদিন বুঝবে জুড়ান রায় কত জানে। তার হাতে ইন্টারনেট। সে কত কিছু জেনে যাচ্ছে। হাবড়ায় একটা লোক হোমিওপ্যাথি ডাক্তারি করত হিন্দু নামে। সেও পালিয়ে আসা শেখ মুজিবের হত্যাকারী। শোনা যাচ্ছে, সে নাকি ছ-মাস আগে মারা গেছে। কিন্তু সবটা পরিষ্কার না। জুড়ান খোঁজ নিচ্ছে। হত্যাকারী মরে গেল হার্ট অ্যাটাকে, এই কথাটা কি সত্যি? জুড়ান অফিসের কাজ নিয়ে হাবড়া যাবে, গিয়ে তদন্ত করে আসবে। লেখাপড়া না জানতে পারে, বাকি সব জানে। 

মাধব আমাকে নিয়ে তীর্থে যাওয়ার কথা বলছে। ভাল লাগবে তারাপীঠ গেলে। আমি এত বয়স অবধি তারাপীঠ যাইনি। আমার দেবদ্বিজে ভক্তিও নেই, অভক্তিও নেই। বক্রেশ্বর গেছি, তারাপীঠ যাইনি। সেই কবে, কোনকালে দক্ষিণেশ্বর গেছি। গঙ্গার পাড় খুব সুন্দর। ইদানীং যাওয়া হয়নি। ক’বছর আগে এক ট্যুরিস্ট কোম্পানির সঙ্গে উজ্জয়িনী, ধার-মাণ্ডু, বিদিশা, সাঁচী স্তুপ দেখে এসেছি। মহাকাল মন্দিরে পুজো দিয়েছিলাম। কত প্রাচীন সেই মন্দির। দু’পাঁচশো বছর বয়স হয়ে গেলে সব বিগ্রহ, পাথরও দেবতা হয়ে যায়। নীলমাধব আমাকে তীর্থ দর্শন করিয়ে, নিজে যাবে ফুর্তি দর্শনে। পৃথিবীতে দু’রকম তীর্থ আছে। আধ্যাত্মিক তীর্থ এবং ভোগ তীর্থ। ব্যাঙ্কক, লাসভেগাস এসব হল ভোগ তীর্থ। নীলমাধব দুই তীর্থের যাত্রী। 

Amar Mitra

অমর মিত্রের জন্ম ১৯৫১ সালে বসিরহাটে। তবে বহুদিনযাবৎ কলকাতাবাসী। ১৯৭৪ সালে 'মেলার দিকে ঘর' গল্প দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম উপন্যাস 'নদীর মানুষ' ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয় অমৃত পত্রিকায়। প্রথম গল্পের বই 'মাঠ ভাঙে কালপুরুষ'-ও ১৯৭৮ সালেই। রাজ্য সরকারি চাকরি করেও আজীবন সাহিত্যসাধনায় ব্রতী। ২০০৬ সালে 'ধ্রুবপুত্র' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। ২০০১ সালে বঙ্কিম পুরস্কার পেয়েছেন 'অশ্বচরিত' উপন্যাসের জন্য। এছাড়াও ২০০৪ সালে শরৎ পুরস্কার ও ২০১০ সালে গজেন্দ্রকুমার মিত্র সম্মান পেয়েছেন তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *