চিত্তরঞ্জন থেকে আরও দুটো জায়গা ঘুরে আসব এটা আগেই ঠিক করা ছিল। প্রথম দিন মধুপুর, এখান থেকে লোকাল ট্রেনে ঘণ্টাখানেক। প্ল্যানটা দিয়েছিল আমার বেড়ানোর পরামর্শদাতা অনির্বাণ। ওখানে লীলাকমল গেস্ট হাউসে একদিন থাকার কথাও বলেছিল। আমি অবশ্য অত ঝামেলায় না গিয়ে ঠিক করলাম সন্ধ্যের আগেই ফিরে আসব। সকাল ন’টা নাগাদ চিত্তরঞ্জন স্টেশনে পৌঁছলুম বটে, কিন্তু ট্রেন আসতে তখনও এক ঘণ্টা দেরি। হিসেব মতো অফিসটাইম। তাও প্ল্যাটফর্মগুলো প্রায় ফাঁকাই। সময় কাটাবার জন্য একটা বটগাছ সামনে রেখে বসে পড়লাম স্কেচ করতে। মধুপুর, দেওঘর হয়ে আর একটু এগিয়ে শিমুলতলা, এই সমস্ত আধাশহর এখন বাঙালিবাবুদের সাবেক জীবনযাত্রার শেষ নিদর্শনগুলোকে কোনও ক্রমে টিঁকিয়ে রাখার চেষ্টা চালাচ্ছে। স্টেশন থেকে বেরিয়ে খোঁজ করতেই জানা গেল লীলাকমল গেস্ট হাউস মাইলখানেকের মধ্যেই, স্টেশন রোড ধরে এগিয়ে গিয়ে একটা বাঁক নিলেই পেয়ে যাব। আমি অবশ্য গেস্ট হাউস দেখতে এখানে আসিনি, এসেছি ওর কাছেই একটা বিশেষ বাড়ির খোঁজখবর নেব বলে। সাহেবি আমলের প্রাসাদসদৃশ যে বাড়িটির পরিচয় আপাতত বিড়ির কারখানা হিসেবে।

হাঁটতে হাঁটতে শহরের যে অঞ্চলটায় হাজির হলাম, আজ থেকে বছর বারো আগে সেটা বেশ খোলামেলাই ছিল। একটা নির্জন রাস্তার ধারে উঁচু পাঁচিল ঘেরা বড় বাগানের শেষ প্রান্তে সাদা একতলা বাংলো ধরনের বাড়ি লীলাকমল। লাল লোহার গেট খুলে ঢুকে সোজা গিয়ে দেখা করলাম মালিক মুকুল বসুর সঙ্গে। আসলে অনির্বাণ আগের বছর এসে গোটা জায়গাটা সার্ভে করেছে এখানকার বাঙালিদের বাসস্থানগুলোর ইতিহাস জানার উদ্দেশ্যে। ওর সঙ্গে ঘুরে ঘুরে আমি এইসব বাড়ির স্কেচ করে রাখি, এটাই ও চেয়েছিল। কাজটা নানা কারণে আর এগোয়নি। তবে সেই সূত্রে মধুপুরের অ্যাডভেঞ্চারটা আমার সে যাত্রায় হয়েছিল ভালই। মুকুলবাবু অতি ভদ্র এবং করিৎকর্মা লোক। ওঁর বাবা মধুপুরে এসে থিতু হওয়ায় উনি এখানেই বড় হয়েছেন। তারপর বাড়িটাকে গেস্ট হাউস বানিয়ে দিব্যি ব্যবসা করে যাচ্ছেন। আমি রাতে থাকব না ,দুপুরেও খাব না শুনে বললেন, তাহলে এখন একটু লুচি তরকারি বানিয়ে দিই। বাড়িটা ঘুরে দেখলাম। বেশ সেকেলে চেহারার ঘরদোর, খাট-আলমারি, লাল মেঝে। কিন্তু পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন। শহুরে পরিবেশ থেকে এসে দু’দিন থাকলে অবশ্যই একটু স্বাদবদল হবার কথা। বিড়ির কারখানাটা ওখান থেকে একটু এগোলেই। রাস্তার ধারে কয়েক বিঘে জমির ওপর পেল্লায় দোতলা বাড়ি, মস্ত সব খিলান, কাঠের কারুকাজ, মাথায় চিমনি, এখন প্রায় ভগ্নদশা। দোতলার যাবতীয় বারান্দা, দরজা, জানালা, আপাদমস্তক ইঁটের গাঁথনি দিয়ে বন্ধ। ফলে এক কিম্ভূত,কদর্য চেহারা নিয়েছে। বিড়ি কারখানা এর ভেতরেই।
আঁকতে বসব, তার আগে ক্যামেরা বার করে পুট পুট ছবি নিচ্ছি, খেয়াল করিনি একতলায় একটাই খোলা ঘর রয়েছে। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে আমার ওপর চড়াও হল একটা শুঁটকো, বুড়োটে লোক। রীতিমতো হুমকি দিল, যাবতীয় ছবি ডিলিট করে মানে মানে ওখান থেকে কেটে পড়ার জন্য। বাড়িটা নিয়ে নাকি জোর মামলা-মকদ্দমা চলছে স্থানীয় দু’দল মাফিয়ার মধ্যে। এটা অবশ্য জেনেই এসেছি। বুঝলাম লোকটা কারখানার কেয়ারটেকার, আর আমাকে ভেবেছে শত্রুপক্ষের হয়ে কোনও প্রমাণ সংগ্রহ করছি। ব্যাপারটা বুঝে নিয়ে কেয়ারটেকার সাত্তারবাবুকে ম্যানেজ করা গেল। নেহাতই বেড়াতে এসে ছবি আঁকছি শুনেটুনে নিশ্চিন্ত হয়ে আমাকে উনি এবার এই থেরেসা হাউস-এর ইতিহাস বলতে বসলেন। এক ইংরেজ সাহেবের বানানো এই বাড়িটি এক সময় বিপিনবিহারী গঙ্গোপাধ্যায়ের ভাই কেনেন এবং পরবর্তীকালে তাঁর বংশধরেরা ৫২ বিঘে জমি-সমেত বাড়িটা বেচে দেন। হাতবদল হতে হতে আপাতত এক মারোয়াড়ি এর মালিক, যিনি আবার একতলাটা ভাড়া দিয়েছেন বিড়ির কারখানাকে আর তারপর লেগে গেছে জোর আইনি কাজিয়া। আগাছাভরা বিশাল বাগানের এককোণে সাহেবের বউয়ের কবরটিও দেখালেন সাত্তার। বললেন, ওর মধ্যে নাকি বাসা বেঁধেছে এক অজগর সাপ। শেষমেষ শুধু যে খুশিমতো আঁকার আর ছবি তোলার দরাজ ছাড়পত্র পাওয়া গেল তা-ই নয়, নিজের ঘরে বসিয়ে সাত্তার আমার জন্য রীতিমতো পোজ-ও দিলেন।
ফেরার পথে বেশি খুঁজতে হল না, বড় রাস্তার দু’ধারেই একের পর এক ভিক্টোরিয়ান স্থাপত্যসমৃদ্ধ সব বাগানবাড়ি, গেটের ফলকে ঝাপসা লেখা ‘বৈজয়ন্ত’, ‘মুখার্জি ভিলা’ কিংবা ‘অন্নপূর্ণা আশ্রম’। কিছু রয়েছে বন্ধ অবস্থায়, কিছু হয়েছে সরকারি দফতর আর বাকি সব স্থানীয় লোকেদের দখলে। অচিরেই খৈনি বা গুটকার গুদাম হয়ে উঠলে আশ্চর্য হবার কিছু নেই। দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, শীতের ছুটিতে বাঙালিরা তাদের বিশাল পরিবার নিয়ে এসে বাড়িগুলো সরগরম করে তুলত, এ বাড়ি ও বাড়ি যাতায়াত, খাওয়াদাওয়া, হইহুল্লোড় চলত। হঠাৎ মনে পড়ে গেল ১৯৭০-এর দশকে শ্রাবন্তী মজুমদারের গলায় সেই গান… ‘মধুপুরে পাশের বাড়িতে তুমি থাকতে…’। সেই রোম্যান্স যেন আজ শুধু ইতিহাস হয়ে এই পশ্চিমের আকাশে বাতাসে ভেসে বেড়াচ্ছে।

চিত্তরঞ্জন থেকে সরাসরি মাইথন যাবার বাস খুব কম। আমার হোস্ট সঞ্জয় বলে দিল, আসানসোলের বাসে চেপে দেন্দুয়া মোড়ে নেমে অটো ধরে কল্যাণেশ্বরী যেতে। ওখান থেকে মাইথন হেঁটেই যাওয়া যায়। কল্যাণেশ্বরী মন্দিরের নামডাক খুব, তবে আমার জায়গাটা নিয়ে অন্য কৌতূহলও ছিল। এখানকার অনেক বাসিন্দা মিলে নাকি অভিনেতা অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে একে অজিতেশনগর বানিয়ে দিয়েছেন। ছোট থেকেই আমি এই দাপুটে অভিনেতার বিরাট ভক্ত, পাশেই মানভূম জেলায় ছিল ওঁর বাড়ি। ফলে এ অঞ্চলে যাতায়াত আর বন্ধুবান্ধব ছিল বিস্তর। শুনেছিলাম ওঁর মৃত্যুর পর বন্ধুরা মিলে এখানে ওঁর একটা মূর্তিও বসিয়েছিলেন। মন্দিরের সামনে দিয়ে শ্মশানে যাবার রাস্তার দু’ধারে প্রচুর দোকানপাট, অনেক সাইনবোর্ডে সত্যি দেখলাম অজিতেশনগর কথাটা লেখা। একটা শাড়ির দোকানে ঢুকে মালিক ভোলানাথবাবুর সঙ্গে কথা বলে জানলাম, পেডেস্টালের ওপর আবক্ষ মূর্তি একটা রাস্তার ধারে বসানো ছিল ঠিকই, তবে বছর কয়েক আগে ট্রাকের ধাক্কায় পেডেস্টালটি ভেঙে যাওয়ায় মূর্তিটি আপাতত শ্মশানে আশ্রয় পেয়েছে। ঢুঁ মারলাম শ্মশানে। ছোট জায়গা। পাশাপাশি কয়েকটা ঘর। তারই একটার কোণায় আবিষ্কার করলাম রং চটে যাওয়া, ঝুলমাখা অবস্থায় কালো ঢালাই মূর্তিখানা। কাজ হিসেবে বেশ ভালই লাগল। ভেবে অবাক হলাম, এতসব নাট্যপ্রেমী থাকা সত্ত্বেও মূর্তিটি কেন তার প্রাপ্য সম্মান পেল না।

ঘরের মাঝখানে তক্তাপোষের ওপর বসে এক সাধুবাবা ধ্যান করছিলেন। পাশে বিদেশি সানগ্লাস রাখা। ভুঁড়িওলা ডোমগোছের কয়েকজন ঘোরাঘুরি করছিল। আমায় ছবি তুলতে দেখেও পাত্তা দিল না। জিজ্ঞেস করাতে মূর্তিটা সম্বন্ধে কিছু বলতেও পারল না। এবার গিয়ে হাজির হলাম মন্দিরে। মাঝখানের চত্বরে দেওয়ালের ধার ঘেঁষে বসলাম আঁকতে। ভক্তদের ভিড় দেখলাম বেশ ভালই। বড় দলবল নিয়ে সব চলেছে পুজো দিতে, তারই মধ্যে থেকে একটি বছর আষ্টেকের মেয়ে ছিটকে বেরিয়ে এল আমার আঁকা দেখবে বলে। হাজার চেষ্টা করেও বাড়ির লোক ওকে নড়াতে পারল না, শেষে আমার জিম্মায় রেখে ওদের দেবীদর্শন সেরে আসতে হল। মেয়েটির নাম টুয়া, ওরা সব বার্নপুর থেকে এসেছে। জানতে চাইলাম, ছবি আঁকা শিখবে? টুয়া অমনি মাথা হেলিয়ে দিল এক দিকে। মন্দিরে ঢোকার মুখে ফুল, পেঁড়া, সিঁদুরের পরপর দোকান। দাঁড়িয়ে একটার ছবি আঁকছি, দোকানদার দেখি পাশের জনকে বলছে ‘তুমি পারবেক লাই’। এক মুহূর্তে ‘হাটে বাজারে’ ছবিতে অজিতেশের সেই বিশেষ ডায়লেক্টে কথা বলার ভঙ্গিটা মনে পড়ে গেল। লোকটারও ছবি এঁকে নাম জিজ্ঞেস করায় মুখের ওপর জানিয়ে দিল, ‘দোকানদার বলবেন, নাম বলি না কাউকে। এখানে শুধু মায়ের নাম নেবেন।’

মাইথনের বাঁধ আর জলাধার পর্যন্ত যাবার রাস্তাটা প্রচুর সবুজে ঘেরা। ভাদ্র মাস, ছুটির মরসুম নয় তাই বেশ ফাঁকা ফাঁকা। আশপাশটা ধীরেসুস্থে ঘুরে বেড়াতে ভালই লাগছিল। চারধারে ছোট ছোট পাহাড়, জলের ওপর ব্রিজ পেরিয়ে দ্বীপ, ওখানে ‘মজুমদার নিবাস’ রয়েছে, টুরিস্টদের ভারী পছন্দের থাকার জায়গা। আমার অবশ্য সরকারি লজটা বেশি ভাল লাগল। পাহাড়ি রাস্তায় কিছুটা উঠে গাছপালার মধ্যে বেশ নির্জন পরিবেশে দোতলা বাড়ি। সামনেই বিশাল ব্যাকওয়াটার বা খাঁড়ি। দোতলার ঘেরা বারান্দায় বসে গুছিয়ে স্কেচ হল। ঘরগুলোতেও উঁকি দিলাম, বেশ আরামদায়ক লাগল। পরে একবার বর্ষায় এসে এখানে বড় আনন্দে দু’দিন কাটিয়েছিলাম।

জলাধারে বোটিং করার ব্যবস্থা আছে। তবে এখন বেড়াতে আসা লোকজন নেই বলে মাঝিরা সব হাওয়া। ঘাট পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা ধরে নেমে গেলাম। একটা ছোট জটলা হচ্ছে, মধ্যমণি হয়ে বসে আছেন বেশ মজার দেখতে টুপি পরা একটা ছোকরা গোছের লোক। কাছে গিয়ে মনে হল ফকির টকির হবে। বাকিরা এঁকে ডাকছে সাঁই বলে এবং সবাই মনে হল স্থানীয়। দেখলাম ফকির প্রায় পাথরের মতো সমাহিত অবস্থায় রয়েছেন। অদ্ভুত ফিসফিসে গলায় শুধু বললেন ‘ম্যায় আশ্রম মেঁ রহতা হুঁ।’

ঘুরে বেড়িয়ে কখন যে বিকেল গড়িয়ে গেছে খেয়াল ছিল না। এবার তো ফিরতে হবে। দেখলাম মোড়ের কাছে একটাই বাস ডেকে ডেকে লোক তুলছে, কী ভাগ্যি চিত্তরঞ্জনেই যাবে। কিন্তু বাস তো এদিকে টইটম্বুর। ভিড়ের ঠেলায় জানলা দিয়ে পর্যন্ত তিন ভাগ শরীর বার করে ঝুলছে সবাই। ড্রাইভার নিজে চড়ে বসেছে আর একজনের কোলে। দেখে মনে পড়ল, বহুকাল আগে ‘দ্য টেলিগ্রাফ’ কাগজের জন্য করা আমার সেই কার্টুনটার কথা যেখানে কন্ডাক্টরকেও শেষ পর্যন্ত বাসের ছাদে উঠতে হয়েছিল। কিন্তু আমাকে এই বাসেই যেতে হবে। না হলে ফেরা খুব ঝামেলা। একমাত্র উপায় ছাদে চড়া। ওখানে এখনও হাউসফুল হয়নি। নিজেকে দেহাতি লোক ভেবে নিয়ে পিছনের সরু সিঁড়ি বেয়ে উঠে পড়লাম। বয়স হয়েছে, তা বলে বুড়ো তো আর হইনি! ছাদও, আলী সাহেবের ভাষায় যাকে বলে, জান-মালে বোঝাই। এক্ষেত্রে অবশ্য মালটাই বেশি। বড় বড় বাক্স, বস্তা, ঝুড়ির ফাঁকে ফোকরে পা মুড়ে বসে কিছু মরিয়া গোছের লোক।
আমিও পিঠের বোঁচকা সমেত ওদের দলে ভিড়ে গেলাম। বাস চলতে শুরু করতেই, হলুদ সিল্কের পাঞ্জাবি গায়ে পাশের লোকটি গুছিয়ে একটা বিড়ি ধরাল। আমি ওর গাঁঠরি আঁকড়েই বসেছি। ওতে এক লট ধনেখালি শাড়ি আছে, সদরে চালান দিতে চলেছে। আমি কলকাতার বাবু শুনে ওইখানেই গাঁঠরি প্রায় খুলে ফেলে আর কী। ঝাঁকুনি খেতে খেতে কলকাতায় গিন্নিকে মোবাইলে ধরলাম। সামনের পুজোয় একটা ধনেখালি শাড়ি হবে নাকি গো? আমি বাসের ছাদে শুনে গিন্নি মোটেই চমকালেন না। আমার ডানপিটেমি দেখতে উনি অভ্যস্ত। এতক্ষণে পশ্চিম আকাশের দিকে চোখ গেল। মিশকালো রঙের মেঘ যেন বিরাট দৈত্যের মতো আমাদের গিলে খেতে আসছে। ভাগ্য ভাল, ওই অবস্থায় বৃষ্টি নামেনি। তাহলে স্রেফ বসে বসে কাকভেজা হতাম। চিত্তরঞ্জন পৌঁছে বাস থেকে নেমে এক দৌড়ে সঞ্জয়ের ফ্ল্যাটে যেই ঢুকলাম, তার প্রায় পরমুহূর্তেই হুড়মুড়িয়ে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেল।
স্বনামধন্য এই অঙ্কনশিল্পী নিজেই এক সম্পূর্ন প্রতিষ্ঠান | তাঁর হাত ধরে নতুন করে প্রাণ পেয়েছে বাংলার কার্টুন শিল্প | সিগনেচার বেড়াল আর স্ব-নেচারটি কোমল, আত্মবিশ্বাসী, রসিক | বেড়ানো তাঁর নেশা | তাই ঝুলিতে রয়েছে বহু গল্প, সঙ্গে অসাধারণ সব স্কেচ | সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিরলস সাধনার অমর ফসল ‘রঙ তুলির সত্যজিৎ’ |
অসাধারণ লেখা ও ছবি। প্রণাম দেবাশীষবাবুকে।
চিত্তরঞ্জন আমার ছোটবেলার চেনা জায়গা। প্রতি শীতের ছুটিতে বাঁধাধরা ছিল সেখানে যাওয়া। কী সুন্দর শহর। মাইথন, কল্যাণেশ্বরীর মন্দির সব আমার বড্ড পরিচিত, বড্ড প্রিয়। খুব ভালো লাগল পড়ে। স্কেচগুলি দারুণ।