লাচেনে বসে বরফ দেখার সাধ তো মেটানো গেল। ভাবলাম এবার তাহলে গুরুদোংমার লেকটাও একবার হয়ে আসা যাক। এখান থেকে আরও প্রায় ৬৫ কিলোমিটার উত্তরে পাহাড় ঘেরা এই হ্রদের কথা শুনেছি অনেকবার। সে নাকি অদ্ভুত সুন্দর একটা জায়গা, প্রায় স্বর্গের মতো আশ্চর্য প্রাকৃতিক পরিবেশ। তবে কিনা ১৬০০০ ফিট উঁচুতে বলে একমাত্র ম্যারাথন দৌড়বীরের মতো দমের জোর না থাকলে অক্সিজেনের অভাবে পাঁচ দশ মিনিটের বেশি ওখানে টেঁকা দায়। অতি উৎসাহে ক্যামেরা নিয়ে বেশি লাফঝাঁপ করলে অচিরেই যে চিৎপাত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা আছে, এই সতর্কবাণী স্থানীয় ড্রাইভার বা গাইডরা আগেভাগেই শুনিয়ে রাখেন।

কিন্তু এমন স্থানমাহাত্য যে জায়গার, সেটা সশরীরে না দেখে এলে কী চলে? বিশেষ করে যখন এত কাছে এসে পড়েছি?

কিন্তু মুশকিল হল লাচেন থেকে গুরুদোংমার যাবার কোনও জিপ সার্ভিস নেই। সারা দিনে দু’একটা যা আপডাউন করে সব ৩০ কিলোমিটার দূরে থাঙ্গু অবধি। টুরিস্টের দল গ্যাংটক থেকে গোটা জিপ রিজার্ভ করে এসে ঘুরে টুরে আবার ঘরের ছেলে ঘরে ফিরে যায়। কী আর করি, আবার রিংঝিং-এর শরণাপন্ন হলাম। ও সোজা পিপনের সঙ্গে কথা বলে এসে জানাল গাড়ির ব্যবস্থা হবে এবং ভাড়াও কিছুটা কমসম করে। কিন্তু সেটাও গুনেগেঁথে যা দাঁড়াচ্ছে, একার পকেট থেকে দিতে হলে গুরুদোংমার পৌঁছনোর অনেক আগেই আমার দম আটকে যাবে। সব শুনেটুনে হোটেল মালকিন মিসেস নাংপা অভয় দিলেন… ‘কাল খুব সক্কাল সক্কাল তৈরি থাকবেন। রিজার্ভ গাড়িগুলো এখান দিয়েই তো সব ওঠে। জায়গা থাকলে একটায় আপনাকে তুলে দেবখন। শেয়ারে গেলে টাকাও কম লাগবে।’

Debasis Deb
বিকেলের পড়ন্ত আলোয় ‘লাচেন’। 

আমিও খান তিনেক তুড়িলাফ খেয়ে সে রাত্তিরের মতো ঘুমোতে গেলাম। পরদিন সকালে নিচে নেমে দেখলাম ম্যাডামের সত্যি ‘কী দাপট’। উনি সেজেগুজে হোটেলের সামনে টুল পেতে বসে যত গাড়ি যাচ্ছে একে একে সবাইকে হাত তুলে দাঁড় করাচ্ছেন। ড্রাইভাররা সব ওঁর চেনা এবং সক্কলে সেলাম ঠুকে লজ্জায় আধমরা হয়ে জানাচ্ছে তাদের গুস্তাখি যেন মাফ করা হয়, কারণ গাড়িতে মানুষ তো কোন ছার একটা মাছি গলারও আর ফাঁকফোকর নেই। আমি তো ভাবছি হয়ে গেল। কিন্তু দেখলাম ম্যাডাম সহজে হাল ছাড়ার পাত্রী নন। ওঁর তখন রোখ চেপে গেছে। এই রকম টালবাহানা ঘণ্টাখানেক চলার পর ঈশ্বরপ্রেরিতের মতো একটা প্রায় ফাঁকা জিপ এসে হাজির হল এবং ড্রাইভার ছোকরাটি সিট থেকে তড়াক করে নেমে পড়ে ম্যাডামের সঙ্গে সামান্য বাতচিত সেরে নিয়ে একেবারে কোমর অবধি সামনে ঝুঁকিয়ে অভিবাদনের ভঙ্গিতে আমাকে গাড়িতে ওঠার অনুরোধ জানাল। দেখলাম গাড়িতে সওয়ারি বলতে শুধু অল্পবয়েসি বর আর বউ, এবং দু’জনেরই ধুমসো জ্যাকেট, টুপি আর মাফলার জড়ানো চেহারা যে কোনও অ্যালাস্কাবাসীকেও বোধহয় লজ্জা দেবে। তবে কিনা আমার মতো উটকো একজনকে তুলে নিতে ওঁরা যে আপত্তি করেননি এই ঢের। তাই ড্রাইভারের পাশে বসে পিছনে ঘাড় ঘুরিয়ে ওঁদেরকে প্রথমেই খুব মোলায়েম ভাবে একটা ‘হ্যালো’ জানালাম। ওই ধড়াচুড়োর মধ্যে মুখে হাসি ফুটল, না ভুরু কোঁচকাল ঠিক বোঝা গেল না।

Debasis Deb
জিপের ড্রাইভার তেনজিং। 

গাড়ি চলতে শুরু করে লাচেন ছাড়িয়ে ধীরে ধীরে আরও খাড়াই পথ ধরল আর চারদিকটা কেমন যেন নিঝুম হয়ে আসতে লাগল।গতকালের বরফ প্রায় সবটাই পাহাড়ের গায়ে গাছের ফাঁকে ফাঁকে জমে আছে। আঁকাবাঁকা রাস্তার দু’ধারে গাছগুলো এত উঁচু যে এক এক জায়গায় আকাশও দেখা যায় না প্রায়। এ সব দৃশ্য দেখে চলন্ত গাড়িতে বসেও আমি নিজেকে স্থির রাখতে পারি না। ক্রমাগত ছটফট করতে থাকি। কিন্তু এক্ষেত্রে পিছনে দু’জনের নিভৃতবিলাসে যাতে ব্যঘাত না ঘটে এই ভেবে যথাসম্ভব আড়ষ্ট হয়ে থাকলাম। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই অবশ্য চড়াই পর্ব চুকল। আমরা কিছুটা সমতল জায়গায় এসে পড়লাম, যার দু’দিকেই টানা পাহাড় রয়েছে। তবে একটু দূরে দূরে। সামনে এবার অল্পসল্প ঘরবাড়ি সমেত একটা ছোট্ট লোকালয় দেখতে পেলাম…। ড্রাইভার বলল ‘ও হ্যায় থাঙ্গু। ওঁহাপর নাস্তা কর লেঙ্গে।’

১৩ হাজার ফিট উঁচু এই থাঙ্গুই হল এ অঞ্চলের শেষ জনবসতি। এরপর গুরুদোংমার অবধি ৩০ কিলোমিটার একেবারে খাঁখাঁ পথ। এক জায়গায় জমাট বাঁধা বেশ কিছু দোতলা লজ আর রেস্তোরাঁ ছাড়িয়ে গাড়ি থামল একটা ছোট্ট ঝুপড়ির সামনে। বুঝলাম এখানেই নাস্তা হবে।কানে ঢাউস হেডফোন আর গোড়ালি ঢাকা সাদা বুট পরা ড্রাইভার তেনজিং আগেভাগে নেমে প্রায় ওয়েস্টার্ন ছবির নায়কের মত এগিয়ে গেল। আমরাও ওর পিছু নিলাম। নাস্তা বলতে জ্যাম মাখানো এক ধরনের ফুলো ফুলো বান রুটি আর চা। ঠান্ডায় কাঁপতে কাঁপতে নিমেষে হজম হয়ে গেল। আমার সফরসঙ্গি বর বউ দুজন মধুচন্দ্রিমায় এসেছেন সুদুর মাইসোর থেকে এবং অচেনা লোকের সঙ্গে হুট করে ভাব না জমিয়ে নিজেরাই নিজেদের মতন বেশ জড়িয়ে মড়িয়ে রয়েছেন। কানের কাছে সারাক্ষণ বকবক করার চাইতে এ অবশ্য ঢের ভালো। প্রাকৃতিক পরিবেশে কম কথা বলা একটা প্রাইমারি কন্ডিশন বলে আমার বিশ্বাস।

এবার আসল যাত্রা শুরু। ঘড়িতে তখন প্রায় সাড়ে দশটা। তেনজিং বলল, গুরুদোংমার এখান থেকে খুব জোর ঘণ্টাখানেক। সাদা বরফে ঢাকা ন্যাড়া ,পাথুরে পাহাড় আর ধূ ধূ প্রান্তরের মাঝখান দিয়ে গাড়ি চলেছে। চারদিকে মনে হচ্ছে যেন চকোলেটের ওপর ভ্যানিলার টপিং দেওয়া আইসক্রিম সাজানো। বারবার মনে হচ্ছিল আমার প্রিয় ‘হোয়্যার ঈগলস ডেয়ার’ সিনেমাটার কথা। মাঝে মাঝেই গাড়ি থামিয়ে নেমে গিয়ে ছবি তুলছি আর ভাবছি এসব জায়গার সঠিক বর্ণনা দিতে গেলে একজন উমাপ্রসাদ মুখুজ্জে কিংবা প্রবোধ সান্যাল হয়ে জন্মানো দরকার। এতক্ষণ হালকা বরফের চাদর মাড়িয়ে গাড়ি এগোচ্ছিল ভালোই। কিন্তু শেষে বাদ সাধলো অনেকটা রাস্তা জুড়ে জমে থাকা কাঁচের মতো পিচ্ছিল এক ধরনের জমাট মসৃন বরফ, যার ওপর চাকা পড়লেই গোটা গাড়ি ঘড়ির কাঁটার মতো বোঁ করে ঘুরে যাচ্ছে। আমাদের সামনে দেখলাম আরও গোটা পাঁচেক গাড়িও একই ভাবে থমকে রয়েছে। তেনজিং বলল, এই অবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে এগনো যেতে পারে। তবে গাড়ি একবার বিগড়োলে সমূহ বিপদ।

যাহ! গুরদোংমারের দোরগোড়ায় এসেও শেষরক্ষা হবে না? তেনজিং ছোকরা যদিও লড়ে যেতে রাজি ছিল, কিন্তু মধুচন্দ্রিমাওলারা এমন হইচই শুরু করল যেন ওদের ধরে বেঁধে বাঘের খাঁচায় পুরে দেওয়া হচ্ছে। তাহলে আর কী? ব্যাক টু প্যভিলিয়ন। তেনজিং আশ্বাস দিল… ‘সাব, গর্মি মে আইয়ে,রাস্তা সাফ মিলেগা।’ নাঃ, ও পথ আর মাড়ানো হয়নি এত বছরেও। গুরুদোংমার শেষ পর্যন্ত অধরাই থেকে গেল বোধহয়। দেবস্থানগুলোর মতো এসব জায়গাও আবার টানে কিনা দেখা যাক!

Debasis Deb
থাঙ্গুতে চটজলদি করা একটা স্কেচ।

ফিরতি পথে থাঙ্গুতে কাটানো গেল কিছুটা সময়। পাহাড়ের কোলে কী ছোট্ট আর শান্ত একটা জায়গা। কাঠের দোতলা সব বাড়ি, জানলা-দরজায় তিব্বতি নকশা করা। ওরই মধ্যে অল্পস্বল্প দোকানপাট, হোটেল। ট্যুরিস্টদের জন্য মোমো-থুকপার ব্যবস্থা। রোদ উঠেছে। মহিলারা বাচ্চা কোলে কেউ একবাক্স আলুচিপ, কেউ বা জলের বোতল সাজিয়ে বসে আছে বিক্রির আশায়। থেন্ডুপের সঙ্গে আলাপ হল। সামনেই ওর লজ। আমি ছবি আঁকছি দেখে ভাব জমিয়ে বড়ো আদর করে বলল, ইচ্ছে হলেই আমি ওর অতিথি হতে পারি। এখান থেকে দারুণ সব ট্রেকিং-রুট আছে। চাইলে যাবার ব্যবস্থা করে দেবে। দেখেশুনে আমারও তখন প্রোফেসর শঙ্কুর অভিযানসঙ্গী সেই অবিনাশবাবুর মতো বলতে ইচ্ছে করছিল… ‘এইখানেই থেকে যাই মশাই। আর কলকাতায় গিয়ে কাজ নেই।’

দুপুরের মধ্যেই তেনজিংয়ের জিপ আমাকে লাচেনে নামিয়ে দিয়ে গ্যাংটক ফিরে গেল। এদিকে মিসেস নাংপা সব শুনে টুনে প্রায় ভেঙে পড়লেন। মনে হল জানতে পারলে গিয়ে নিজের হাতে রাস্তার বরফ সরিয়ে সবাইকে লেক অবধি পৌঁছে দিতেন। আমাকে চাঙ্গা করতে রাতে ঢালাও ছাং খাওয়ার দাওয়াত এল। ওঁকে তখন বোঝালাম, যে ওইসব বার্লির জল আমার পেটে ঠিক সহ্য হয় না।

Debasis Deb
রিংঝিংয়ের বড় মেয়ে এলিশা। টিভিতে মগ্ন। ওর অজান্তেই খাতায় তুলে রাখলাম।

এখানে আমার আজই শেষ দিন। তাই বিকেলে গেলাম রিংঝিংকে গুডবাই করতে। ওর বাচ্চারা আমার স্কেচ খাতার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল আর বউ এসে চায়ের সঙ্গে এক বাটি পাঁপড় ভাজার মত গোল গোল কী একটা দিয়ে গেল। বললাম, ‘তোমাদের কলকাতায় যেতে ইচ্ছে করে না?’ শুনলাম ওদের গ্যাংটকে গিয়েই হাঁফ ধরে। দু’দিন থেকেই বাপ বাপ বলে পালিয়ে আসে। রিংঝিংয়ের বড় মেয়ে, বছর বারোর এলিশা চশমা টশমা পরা বেশ পড়ুয়া গোছের। ওর বাবার স্কেচটা দেখে বলল ‘মেরি ড্যাডি ইসসে অউর জাদা হ্যান্ডসম হ্যায়।’ মনে মনে বললাম, শুধু চেহারা কেন, লাচেনের মতো দুর্গম এক চিলতে পাহাড়ি জায়গার পোস্টমাস্টার এই রিংঝিং যে মানুষ হিসেবেও কতখানি সুন্দর, সেটাও কি ছাই ছবি এঁকে বোঝাতে পেরেছি?

সন্ধ্যে হয়ে আসছে। তাও হোটেলে না ফিরে বাড়ি ঘর ছাড়িয়ে একটু ফাঁকা জায়গার দিকে পা বাড়ালাম। পাকদন্ডি বেয়ে কিছুটা পাহাড়ে উঠে লম্বা লম্বা দেওদার গাছের ফাঁক দিয়ে গোধূলির আলোয় দূরে গোটা লাচেন শহরটাকে দেখতে বেশ লাগছিল। নিচে রাস্তাটার বাঁকে ঢালু দিকটায় চোখে পড়ল একসার হতশ্রী দেখতে বস্তিবাড়ি। এখানে পাহাড় কাটা, রাস্তা সারাই ইত্যাদি কাজ চলছে পুরোদমে। যারা এখানে খাটে, এগুলো তাদের বৌ-বাচ্চা নিয়ে মাথা গোঁজার জায়গা। ওই হাড়কাঁপানো ঠান্ডায় বাচ্চাগুলো রাস্তার কলে বাসন মাজছে, মায়েরা অল্প কাঠ জ্বালিয়ে ভাঙা হাঁড়িতে রান্না চাপিয়েছে। দৃশ্যগুলো নতুন কিছু নয়। কিন্তু এই মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের মাঝখানে হঠাৎ কেমন যেন বেমানান লাগল। হোটেলে ঢোকার মুখে সেই বুড়িটার সামনে পড়লাম, রোজ সন্ধ্যের আগে নুয়ে পড়া শরীরে বহুকষ্টে যে একপাল গরুবাছুর তাড়িয়ে নিয়ে যায় অনেক নিচে, প্রায় নদীর কাছাকাছি ওর আস্তানায়। আজ আমায় দেখে বুড়ি ফোকলা মুখে ভারি সুন্দর করে একটা হাসি দিয়ে লাঠি ঠুকঠুক করে পাহাড় বেয়ে নিচে কোথায় যেন অদৃশ্য হল। চুপ করে ওই দিকে তাকিয়ে রইলাম কিছুক্ষণ, মনে হল ওই হাসির মধ্যে দিয়েই বুড়ি যেন তার সব কথা বলে দিয়ে গেল।

Debasis Deb
নায়কোচিত চেহারার সুমন রাই। শেষ রাতে খাওয়াল মুর্গির ঝোল!

কাল খুব ভোরে আমার ফেরার গাড়ি, তাই চটপট স্যাকে যাবতীয় জিনিসপত্র গুছিয়ে ফেললাম। এবার শুধু সুমনের জন্য অপেক্ষা, ও রাত্তিরের খাবার আনবে। রোজই প্রায় আলুকপির তরকারি আসে, বড়ো জোর ডিমের ঝোল। আজ দেখি নাচতে নাচতে এলো বড় একবাটি মুর্গির মাংস নিয়ে, যা লাচেনের পক্ষে অতি মহার্ঘ্য বস্তু বটে। ব্যাপার কী? পেলে কোথায়? আজ নাকি হোটেলে বড় একটা দল এসেছে, নিচের ঘরগুলোতে মোচ্ছব জমেছে। আলাদা কুক আর রসদ সঙ্গে এনে এখানে রান্না করাটাই রেওয়াজ। কুকটা সুমনের বন্ধু, তাই মাংস কিছুটা সরিয়ে এনেছে। বললাম, “কাজটা কিন্তু ভালো করনি, ওরা জেনে গেলে?”
— দারু পিকে সব মস্তি কর রহা হ্যায় সাব। কুছ পতা নহি চলেগা।
বেশ স্মার্ট ছেলে এই সুমন রাই। দেখতেও বেশ হিরো হিরো, সারাক্ষণ ফিটফাট হয়ে থাকে। মজা করে বলেছিলাম এখানে পড়ে না থেকে হিন্দি সিনেমায় চান্স নাও কিংবা মডেলিংয়ে। কলকাতায় ওর এক দেশোয়ালি রেস্তোরাঁ খুলেছে, বলল আপাতত ওখানেই নাকি কাজ জোটাবার চেষ্টায় আছে। সেই ২০০৭-এর পর আর লাচেন যাইনি। সুমন আজ কোথায় জানি না। কলকাতায় ওর কোনও হিল্লে হল কিনা সে হদিশ আর পাইনি। পথের চেনা সুমনেরা চিরকাল এই ভাবে পথেই হারিয়ে যায়। (শেষ)

Debashis Dev

স্বনামধন্য এই অঙ্কনশিল্পী নিজেই এক সম্পূর্ন প্রতিষ্ঠান | তাঁর হাত ধরে নতুন করে প্রাণ পেয়েছে বাংলার কার্টুন শিল্প | সিগনেচার বেড়াল আর স্ব-নেচারটি কোমল, আত্মবিশ্বাসী, রসিক | বেড়ানো তাঁর নেশা | তাই ঝুলিতে রয়েছে বহু গল্প, সঙ্গে অসাধারণ সব স্কেচ | সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে তাঁর নিরলস সাধনার অমর ফসল ‘রঙ তুলির সত্যজিৎ’ |

3 Responses

  1. আমি চিরকালই দেবশীষের আঁকা তো বটেই, লেখারও ভক্ত। ওর ছবির মতো আভিজাত্যের রেখা আর রঙ দিয়ে আঁকা -লেখা। কি সুন্দর অল্প কথায় প্রেক্ষাপট আর চরিত্রগুলি তুলে ধরে। আর ছবিগুলো হচ্ছে পায়েসের ওপর কাজু কিসমিসের মতো। দেবাশীষ সত্যিই ছবি লেখেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *