*আগের পর্বের লিংক: [] [] [] [] []

বর্ষা সংঘ থেকে সুইস পার্ক দূরে নয়। গাড়ি খুঁজে পেতে কোনওই অসুবিধা হল না। বাঁ-দিকে একটা হলুদ ট্যাক্সি ফুটপাথ ঘেঁষে অচল। ড্রাইভার হয় খেতে, নয় বেড়াতে গেছে। উইন্ডস্ক্রিনে যা ধুলো নোংরা, মনে হয় বেশ কিছুদিনের জন্য বেড়াতেই গেছে। ট্যাক্সির সামনে একটা রিকশা আড়াআড়ি দাঁড় করানো, তার পরেই রঞ্জনের ফোর ফোর এইট ফোর।

ড্রাইভিং সিটে বসে রঞ্জন বাঁ-দিকের দরজা খুলে দিল।
– আ যাও…
লছমন লজ্জায় কাঁচুমাচু।
– স্যার হম পয়দল…
কোনও জবাব না দিয়ে রঞ্জন সানগ্লাসটা পরে নিল। বলল,
– বৈঠো…
আর কোনও কথা না বলে সড়সড় করে উঠে এল লছমন।

সুহাসিনীর গলায় ‘কী টেনশন, কী টেনশন’ উচ্চারণ ভুলতে পারছিল না রঞ্জন। তাদের বাড়িতেও এক সময় টেনশনের কাল কেটেছে। ভদ্রমহিলা কিরকম সুর করে বললেন– ভাবতেই পারছি না! আরে মশাই, নন্দিনীর সঙ্গে যে এমন দম আটকানো ঝগড়া হবে, প্রথম-প্রথম কি ভাবা গিয়েছিল? ভাবা যায় না, অনেক কিছুই প্রথমটায় ভাবা যায় না। ভাবতে গিয়ে মনে পড়ল সেই সন্ধের কথা–

তারিখ তো ভোলার নয়। ১৯ জানুয়ারি। রঞ্জনের জন্মদিন। ঠিক ছিল ওইদিন দু’জনে বেরিয়ে চিনেপাড়ায় খেতে যাবে। সেইমতো সব বলে রেখেছিল জানাচেনা এক রেস্তোরাঁয়। এই দোকানে শ্রেডেড ল্যাম্বটা দারুণ বানায়, ফ্রায়েড প্রনটাও ভালো। জন্মদিন জানাতে ওরা স্পেশাল কেকেরও ব্যবস্থা করেছিল। অন্যান্য ড্রিংকস আছে কিন্তু ওয়াইন নেই। অথচ নন্দিনী ভালোবাসে। এইজন্য, ওইদিন অফিস থেকে ফেরবার পথে নিউ মার্কেটে থামল রঞ্জন। বিদেশি ওয়াইন কিনতে হবে। দু’হাজার টাকার মতো দাম, তবু…। নন্দিনী ভালোবাসে যে!

ঘরে ঢুকতেই রঞ্জন দেখল নন্দিনী তৈরি হচ্ছে।
– কি রে! এখনই রেডি?…
টপের বোতাম লাগাতে-লাগাতে নন্দিনী বলল,
– শোন না… তোকে ফোন করতেই যাচ্ছিলাম। আজ যাওয়া যাবে না রে–
– কেন?…
– একটা ডিনারে যেতে হবে… সেমি অফিসিয়াল… 
রঞ্জন চুপ। নন্দিনীই ব্যাখ্যা করল–
– আসলে রাসকিন বন্ড আসছেন। ওঁর সঙ্গে একটা টাইম ম্যানেজ করবার চেষ্টা করছি। যদি পেয়ে যাই তাহলে একটা হাজার দেড়েক শব্দের ফিচার নাবিয়ে দেব– 

 

আরও পড়ুন: অমর মিত্রের উপন্যাস: কাকলি গানের বাড়ি

 

কী আশ্চর্য মেয়ে! যার সঙ্গে সময় ঠিক করা আছে বহুদিন ধরে, তাকে উপেক্ষা করে, তার জন্মদিন পাত্তা না দিয়ে এ ছুটছে এমন একজনের কাছে যার সঙ্গে কোনও অ্যাপয়েন্টমেন্ট-ই করা নেই!, মনে মনে ভাবল রঞ্জন। অভিমানের বাষ্প জমেছিল গলায়। বুকের ভেতরে সাঁইসাঁই ঠান্ডা হাওয়া। জিভ শুকিয়ে শুকনো কাঠ।
– বুঝলি তো কেরিয়ারের ব্যাপার। কিছু মনে করিস না– 
নন্দিনী বেরিয়ে গেল।

সেদিন ঘরের আলো নিবিয়ে গভীর রাত অবধি জেগেছিল রঞ্জন। রাত এগারোটায় উঠে পাশের ঘরে গেল। আলো জ্বালল। নন্দিনী ফেরেনি। ওর বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে ‘হাংরি টাইড।’ তাকে ড্যান ব্রাউন, সলমন রুশদি, পলো কোহেলো। ওয়েবস্টার ডিকশনারিও আছে। কিন্তু রাসকিন বন্ড নেই। এক লাইন না পড়েও মেয়ে গেছে ওর ইন্টারভিউ করতে! জার্নালিস্ট হলে কিছু না জেনেই বুঝি সবজান্তা হতে হয়! অথচ মেয়েটার ঠাকুরদার বাবা না কে যেন রাজকৃষ্ণ রায়চৌধুরী, যিনি রস্কোর কেমিস্ট্রি প্রাইমার অনুবাদ করেছিলেন– সচিত্র রসায়ন শিক্ষা। সে বই এনে দেখিয়েছিল নন্দিনী। ভদ্রলোক ফেরাস সালফেটের বাংলা করেছিলেন চতুরম্ল গন্ধ-লৌহ! সে যুগের তুলনায় অত্যন্ত সাবলীল অনুবাদ। সেই বাংলাও আজ কত পালটে গেছে। যে হারে বাংলা পালটেছে তার থেকে অনেক দ্রুত পালটে গেছে নন্দিনী। সে আজকাল আর সামান্য জিনিসে আনন্দ পায় না, অল্পেতে খুশিও হয় না।

এইভাবেই সে রাতে রঞ্জনের যাবতীয় অভিমান, দুঃখ, ক্রোধ সমস্ত মিলেমিশে এক বত্রিশ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার হয়ে দাঁড়াল। সিলিন্ডারের গায়ে অদৃশ্য কালিতে লেখা– দাহ্যবস্তু।

আবার একদিন দেখা গেল, নন্দিনীর সঙ্গে অভিজ্ঞানের খুব ঘনিষ্ঠতা। মাঝেমধ্যেই ওর সঙ্গে বেরিয়ে যায়, রাত করে ফেরে। ফিরলে স্পষ্ট দেখা যায় ওর মুখে তৃপ্তি লেগে আছে। ও ফোন করলে নন্দিনী ছেলেভোলানো গলায় কথা বলে। রঞ্জন সাবধান করেছিল বহুবার–
– দ্যাখ ওকে আমি চিনি। স্প্যারো-তে আমার কলিগ ছিল, জুনিয়র। ও কিন্তু ভীষণ মিথ্যে কথা বলে, ফাঁসিয়ে দেবে।
– তোর কি হিংসে হচ্ছে? আমি যা করছি বেশ করছি। আমারটা আমি ম্যানেজ করব, তোকে ভাবতে হবে না…
আবার কষ্ট, আবার অভিমান, দুঃখ, ক্রোধ। এবং আবারও গ্যাস সিলিন্ডার।

এতকিছুর পরেও রঞ্জন নিজের দায়িত্ব দেখাতে ভোলেনি। তেইশে মার্চ নন্দিনীর জন্মদিন। ওকে নিয়ে ঘুরে এসেছিল পার্ক স্ট্রিট। কন্টিনেন্টাল খেয়েছিল সেদিন। কেক কাটার অনুষঙ্গ তো ছিলই। আজ বোঝে, ভালোবাসা নয়, দায়িত্ব দেখানোর উদ্দেশ্যেই করেছিল সবটা। তুমি আমার ওপর যত্নবান না থাকতে পারো, কথার খেলাপ তোমার কাছে জলভাত। আমি কিন্তু কথা রাখি। আজ আমারও অফিসের কাজ ছিল জরুরি। হেড অফিস থেকে ন্যাশনাল সেলস হেড এসেছে কলকাতায়। সারাদিন মিটিংয়ের পর রাত্তিরে ডিনার। হেডের কাছাকাছি থাকলে, ওর বোকা-বোকা রসিকতা শুনে হো-হো হাসলে নম্বর বাড়ে। কিন্তু সেই ডিনারে আমি থাকিনি নন্দিনী। কারণ, আমার কথার খেলাপ হবে। 

সেদিন ঘরের আলো নিবিয়ে গভীর রাত অবধি জেগেছিল রঞ্জন। রাত এগারোটায় উঠে পাশের ঘরে গেল। আলো জ্বালল। নন্দিনী ফেরেনি। ওর বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছে ‘হাংরি টাইড।’ তাকে ড্যান ব্রাউন, সলমন রুশদি, পলো কোহেলো। ওয়েবস্টার ডিকশনারিও আছে। কিন্তু রাসকিন বন্ড নেই। এক লাইন না পড়েও মেয়ে গেছে ওর ইন্টারভিউ করতে!

নন্দিনী যখন বেকড ফিশ খাচ্ছে, ফিশ আ লা ডায়না খেতে খেতে নিজের মনে এমন কথাই ভেবেছিল রঞ্জন। অতএব,খাওয়া হল ঠিকই, আনন্দের কথাও হল দু’চার, কিন্তু জমাট অভিমান কমল না, বেড়েই গেল। একবারও তো ভেবে দেখল না মেয়েটা, কতটা ম্যানেজ করে রঞ্জন আজ ওকে নিয়ে খেতে এসেছে। তুমি পারতে কেরিয়ারের জায়গায় এমন স্যাক্রিফাইস করতে?

সমস্ত রাগ-দুঃখ-অভিমানকে তির বানিয়ে নন্দিনীর দিকে ছুড়ে চলল রঞ্জন। যখনই ওর কথা মান্যতা পায় না, কিংবা সে নন্দিনীর তরফ থেকে উপেক্ষা পায়, তিরের ফলায় বিষ মাখিয়ে নেয়। শুধু কেরিয়ার কেরিয়ার কেরিয়ার। শুধু নিজের কথা ভাবা। দেখিস জীবনে তুই কোনও বন্ধু পাবি না। তুই যেমনভাবে প্রত্যেককে কাজে লাগিয়ে সিঁড়ি টপকাচ্ছিস, একদিন পা ফসকাবে। মারা যাবি হুমায়ুনের মতো।

ক্রমশ ওদের দু’কামরার ফ্ল্যাট ভরে উঠল অবিশ্বাসে, অসম্মানে। সম্পর্কে অবিশ্বাস ঢুকে পড়লে, আর কী বাকি থাকে? অসম্মান জমে উঠলে সম্পর্ক সুস্থতা হারায়। তখন সম্পর্কের একশো চার জ্বর। বাড়ির মধ্যে ক্রমশ জমে একশো-দুশো বত্রিশ কেজির গ্যাস সিলিন্ডার, যার গায়ে অদৃশ্য অক্ষরে লেখা দাহ্যবস্তু, সাবধান!

একদিন বিস্ফোরণ ঘটল।

সেদিনও একসঙ্গে বেরবার কথা। নন্দিনীকে নিয়ে বর্ধমান যাবে রঞ্জন। বাবার কাছে। রাত্তিরে থেকে যাবে ওইখানেই। নন্দিনী গেল না। টিভিতে কোনও এক টক শোতে ডাক পড়েছে– রেশন ব্যবস্থা কি তুলে দেওয়া উচিত? পক্ষে বিপক্ষের আলোচনা। রঞ্জনের মাথা গরম হয়ে গেল। কী বোঝে মেয়েটা রেশন ব্যবস্থার, যে কথা বলবে? সব ব্যাপারে থাকা চাই। টিভিতে মুখ না দেখালে কি চলে না? ওপরের মাসিমা ভালো বলে-বলে ওর ল্যাজটা আরও মোটা করে দিয়েছেন। কিছুদিন না মুখ দেখালে মাসিমা জিগগেস করবেন,
– কি গো টিভিতে ডাকছে না আর?
নন্দিনী আদিখ্যেতা জড়ানো গলায় বলবে,
– ডাকছে না আবার… মাঝে-মাঝেই ডাকে, আমিই তো কাজের চাপে যেতে পারি না…

বর্ধমান না-যেতে পারার খবরটা বাবাকে জানিয়ে নিজের ঘরে শুয়েছিল রঞ্জন। মাঝে এক ঝলক টিভি দেখে নিয়েছে। নন্দিনীর কথাও শুনল। ও বলছে, এ ব্যবস্থা তুলে দেওয়া উচিত। যুক্তিহীন কথা। তুই জানিসই না রেশনিং ব্যবস্থা চালু করবার উদ্দেশ্য কী! এখনও এটা কত গরিব মানুষের কাজে লাগে। না জেনেই ফরফর করে যাচ্ছিস। বেশ বাজে। অবশ্য অন্যরা ওর থেকেও খাজা। টিভির আওয়াজ কমিয়ে বই পড়ছিল রঞ্জন। রেজি ডেব্রে-র ‘আনডিজায়ারেবল এলিয়েন।’

তেইশে মার্চ নন্দিনীর জন্মদিন। ওকে নিয়ে ঘুরে এসেছিল পার্ক স্ট্রিট। কন্টিনেন্টাল খেয়েছিল সেদিন। কেক কাটার অনুষঙ্গ তো ছিলই। আজ বোঝে, ভালোবাসা নয়, দায়িত্ব দেখানোর উদ্দেশ্যেই করেছিল সবটা। তুমি আমার ওপর যত্নবান না থাকতে পারো, কথার খেলাপ তোমার কাছে জলভাত। আমি কিন্তু কথা রাখি। আজ আমারও অফিসের কাজ ছিল জরুরি।

নন্দিনী ঢুকল।
– কি রে দেখলি?… কেমন?
– খুব খারাপ। কিছু বুঝিস না, বলতে যাস কেন?
তর্কটা রেশনিং দিয়ে শুরু হলেও অচিরেই সীমানা পেরলো।
– তুই কেরিয়ারিস্ট, ধান্দাবাজ…অত্যন্ত স্বার্থপর…
– তার মানে? কেরিয়ারিস্ট আমরা সবাই। তুই গাড়ি কিনলি কেন? স্ট্যাটাস বাড়াবার জন্যই তো–
– তোর মনে হল না বাবাকে কথা দিয়েছিলাম, যাওয়া উচিত ছিল আজ? তুই নিজেরটা ছাড়া কিচ্ছু বুঝিস না…অপরচুনিস্ট…
– তোর সঙ্গে কথা বললে দম আটকে আসে আমার। তুই আমার সব ব্যাপারে মাথা গলাস। কী খাব তুই ঠিক করবি, কী পরব তুই বলে দিবি, কোথায় যাব, কার সঙ্গে কথা বলব, কী বলব, সব তুই ঠিক করে দিবি? আমার দম আটকে আসে। এ বাড়িতে আমার দম আটকে আসে–
বলতে বলতে নিজের ঘরে চলে গেল নন্দিনী। ধনুকে বিষ মাখানো তির যোজনা করল রঞ্জন।
– যা না, অভিজ্ঞানের সঙ্গে ঘুরে আয়। শরীর মন সব খুশি হয়ে যাবে…
নিজের ঘর থেকেই চিকার করে বলেছিল কথাটা। বলেই নিজের বিছানা গুছোতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছিল। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে নন্দিনী ছুটে এল। পেছন থেকে এসে ধাঁই করে ওয়েবস্টার ডিকশনারিটাই বসিয়ে দিল রঞ্জনের পিঠে। রঞ্জনও ছুড়ে মেরেছিল হাতের বইটা। কিন্তু কোথায় হার্ড বাউন্ড ওয়েবস্টার, নাইনটিন থার্টিফোর এডিশন আর কোথায় কৃশকায় রেজি ডেব্রে!

সে-রাতে সবকটা গ্যাস সিলিন্ডার ফেটেছিল। একের পর এক। এ আগুন এমন, পৃথিবীর কোনও দমকলের সাধ্য নেই তাকে নেবায়। তিনদিনের মধ্যে রঞ্জন অন্য জায়গায় চলে গেল। নন্দিনীকে কিছু না বলেই। এক লাইনের একটা এসএমএস করে দিয়েছিল শুধু– লেটস পার্ট কম্পানি। প্রথমে উঠেছিল সুকিয়া স্ট্রিটের একটা বাড়িতে। খোঁজ পেয়ে নন্দিনী এসেছিল। বলেছিল,
– কোথায় পালাবি? ঠিক তোকে খুঁজে বের করব। চল ফিরে চল…।
তখনও রাগ পড়েনি রঞ্জনের। মাথা নেড়ে ‘না’ বলেছিল।
– কেন? কেন যাবি না?
কোনও উত্তর দেয়নি এ-কথার। কথায় কথা বাড়ে। হয়তো ওর তরফেও কিছু সত্য আছে যা রঞ্জন বুঝতে পারছে না। সুকিয়া স্ট্রিটের বাড়িতে থাকার প্রধান অসুবিধা– জলাভাব। রাত্তিরে ফিরে স্নান করা রঞ্জনের বহুদিনের অভ্যাস। এইখানে তা হচ্ছে না। এমন সময়েই পেয়ে গেল রাজা রাজবল্লভ স্ট্রিটের বাড়িটার সন্ধান…

 

আরও পড়ুন: বিনতা রায়চৌধুরীর গল্প: ভরসা অনেক দূর

 

– স্যার আ গয়া… রুকিয়ে…

রঞ্জন চমকে তাকাল। হ্যাঁ, সেই বটগাছের তলায়! এতক্ষণ অন্যমনস্কভাবে গাড়ি চালিয়েছে। ডানদিক-বাঁদিক করেছে অভ্যাসে, নিশ্চয় ব্রেকও কষতে হয়েছে কয়েকবার, তবু ঠিকঠাক এসে গেল। আশপাশ একইরকম। কিছুক্ষণ আগে যা দেখে গিয়েছিল তার মধ্যে একটাই সংযোজন– ভুট্টাওলা। তোলা উনুনে ঢিমে আঁচে ভুট্টা পোড়াচ্ছে। সামনে দাঁড়িয়ে তিনজন। গাড়ি সোজা করে ফুটপাথ ঘেঁষে দাঁড় করাতে করাতে দরজা খুলে টুক করে নেমে গেল লছমন। যেন ট্রেনিং পাওয়া বাঁদর! রঞ্জনের ভুট্টা খেতে ইচ্ছে করছে। পালিশওলাকেও দেওয়া দরকার।

ওকে ডাকতেই–

লছমন ফিরে তাকাল। আচাভুয়া মুখ। কড়ে আঙুল তুলে বলল,
– স্যার এক মিনট… আভি আ রহে হ্যায়…

প্রাবন্ধিক ঔপন্যাসিক অশোককুমার মুখোপাধ্যায়ের ঝোঁক বিভিন্ন বিষয়ের প্রতি। তাঁর তিনটি তথ্য-উপন্যাস-- অগ্নিপুরুষ, আটটা-ন’টার সূর্য এবং অবিরাম জ্বরের রূপকথা--তিনটি বিভিন্ন সময় নিয়ে। প্রবন্ধের জন্য দু’বার পেয়েছেন আনন্দ-স্নোসেম পুরস্কার। শেষোক্ত উপন্যাসটি ইংরেজিতে অনূদিত হয়ে নামী পুরস্কারের বিচার তালিকায় স্থান পেয়েছিল।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *