একদিকে প্রায় ৭৫ ডিগ্রি খাড়া পাহাড়,  অন্য দিকে খাদ। গভীরতা বোঝা যায় না। ঘন জঙ্গলে ঢাকা। মাঝে ফুটখানেক চওড়া একটা পায়ে চলা পথ।

সাবির বার বার সাবধান করছিল রাস্তা থেকে চোখ না সরাতে। কিন্তু  সাবিরের বাবা সকালেই জানিয়েছিলেন ডানদিকের ওই খাদ থেকেই কয়েকটা দিন আগে উপরে উঠে এসেছিল একটা ব্ল্যাক প্যান্থার। তাই  না চাইলেও একবার খাদের দিকে আর পরক্ষণেই সাবিরের কোমরে ঝোলানো কুকরির দিকে চোখ চলে যাচ্ছিল। ১০ ইঞ্চি চওড়া এবড়ো খেবড়ো খাঁজে দাঁড়িয়ে ওই কুকরি দিয়ে কি ব্ল্যাক প্যান্থারের মোকাবিলা করতে পারবে আমার গুর্খা বন্ধু? অঘটন কিছু ঘটলে কিন্তু ওপরওয়ালাকে দোষ দেওয়া যাবে না।

ভগবান আর কাউকে সতর্কবার্তা পাঠান কি না জানি না,  আমাকে কিন্তু পাঠিয়েছিলেন। একবার নয়,  দু’তিনবার। এর বেশি পাঠাতে পারেননি। ব্যস্ত মানুষ, একা আমার দিকটাই দেখলে চলবে কেন। প্রথমবার সতর্কবার্তা এসেছিল পরশুরাম ওরফে রাজশেখর বসুর রূপ ধরে। আমার বাড়ি চন্দননগরে। মফস্বল এলাকা। গরমের বা শীতের ছুটিতে দুপুরগুলো যেন কাটতে চায় না। বাড়িতে অজস্র বই। পড়ার ওপর কোনও বিধিনিষেধও নেই। এবং ছোট থেকেই অত্যন্ত ডেঁপো আর এঁচোড়ে পাকা হওয়ার কারণে সবরকম বই-ই পড়তাম। এমনই এক মাহেন্দ্রক্ষণে হাতে এল রাজশেখর বসুর প্রবন্ধাবলী। বইয়ের ভূমিকায় দেখলুম অনবদ্য একটা কবিতা।

গাদা গাদা ফটোগ্রাফ
গুচ্ছের অটোগ্রাফ
কেষ্ট বিষ্টুর সার্টিফিকিট
দেশ বিদেশের ডাকটিকিট
ছিন্ন পাদুকা বস্ত্র ছত্র
পুরাতন টাইমটেবিল, তামাদি প্রেমপত্র
শুকনো ফুল, মরা প্রজাপতি
এ সব সংগ্রহ বদভ্যাস অতি

কান ঘেঁষে গিয়েছিল। উনি মরা প্রজাপতি পর্যন্ত গিয়েছিলেন। কিছুদিন পর ইস্কুলে বাংলার মাস্টারমশাই ঋষিবাবু জলদ গম্ভীর গলায় জানালেন,  মহাপুরুষের পথকেই ‘পন্থা’ বলে। এত বড় দু’খান সতর্কবার্তাও মোটা মাথায় ঢুকল না। টিনটিনের গল্পে যেমন কুট্টুসকে তার শয়তান রূপটা পরিচালনা করে,  আমাকেও তেমনি লোভ দেখালেন সত্যজিৎ রায়।

বৃহচ্চঞ্চু গল্প দিয়ে শুরু। রাক্ষুসে পাখিটার বৈজ্ঞানিক নাম ছিল অন্ডাল গ্যালর্নিস। উচ্চারণে ভুল হচ্ছিল। দাদু শুধরে দিয়ে বলেছিলেন, “অরনিস একটা গ্রিক শব্দ। এর মানে হল, পাখি। বৃহচ্চঞ্চুকে নিয়ে তুলসিবাবুর অ্যাডভেঞ্চার শেষ হতে না হতেই প্রফেসর শঙ্কু একবার ম্যাকাওয়ের পাল্লায় পড়লেন,  তার পর তাঁর প্রতিভাবান কাক কর্ভাসকে নিয়ে চিলির জাদুকর অর্গাসের সঙ্গে টক্কর। আরেকটু বড় হতেই সেই সত্যজিতেরই ‘কাঞ্চনজঙ্ঘা’  সিনেমার পাখি দেখার নেশায় আসক্ত পাহাড়ি সান্যাল, থুড়ি জগদীশবাবু। পয়েন্ট অফ নো রিটার্নটা ক্রমশ এগিয়ে এল। চাকরি করতে গিয়ে যেটুকু সর্বনাশ হতে বাকি ছিল,  সেটাও হয়ে গেল। পড়লুম সায়নের পাল্লায়। ফোনে পাখির বর্ণনা শুনেই সেটা কোন প্রজাতির পাখি তা অবলীলায় বলে দিতে পারে সায়ন।

পাশের বাড়ির বুবাইদা গাড়ি কিনলে একবারও হিংসে হয়নি। কিন্তু সায়নের এই পাখি চেনার ক্ষমতা দেখে গা রি রি করে উঠল। ওটা আমাকেও পেতে হবে। এবার শুরু হল নানা ধরনের পাখি দেখিয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব। অবশ্য এটাও সায়নের সৌজন্যেই। এই জগতে সে খুবই পরিচিত এবং বেশ কিছুটা সম্মানিতও বটে। পাখি চেনার জন্য অতি প্রয়োজনীয় কিছু ফিল্ড গাইড এবং একটি বুশনেল বাইনোকুলারও জোগাড় হল। কাছাকাছির মধ্যে কয়েকটা ছোটখাটো ট্রিপও হল। কিন্তু দরকার ছিল লালমোহনবাবুর ভাষায়, ‘একটা আসল বার্ডওয়াচারের সঙ্গে একটা আসল অ্যাডভেঞ্চার।’

তত দিনে ভগবান হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। তাই নতুন নতুন সূত্র আসায় কমতি হয় না আর। তেমনই এক বন্ধু কুমারজিৎ দেববর্মণ। কার্শিয়ংয়ে লাটপাঞ্চোর নামের আপাত অখ্যাত গ্রামটার হদিশ দিল কুমার। হোটেলের বালাই নেই। গুটিকতক হোমস্টে। তার মধ্যে একটা হোমস্টে চালান সুব্বা পরিবার। কুমার জানিয়ে দিল সাবির সুব্বা একজন ওস্তাদ গাইড আর বার্ড ওয়াচার। আর পায় কে! সোজা ফোন সাবিরের স্ত্রী সঙ্গীতাকে। হোমস্টের দায়িত্বে উনিই।

সব ব্যবস্থা পাকা করে সঙ্গে সালিম আলি আর গ্রিমেট সায়েবের দু’খান ফিল্ড গাইড সঙ্গে নিয়ে,  গলায় বাইনোকুলার ঝুলিয়ে মহা উৎসাহী বউয়ের হাত ধরে ভর সন্ধেয় বাগডোগরা থেকে বেরিয়ে এলুম দু’জনে। শুধু জানতুম উত্তম নামের এক ড্রাইভার আমাদের নিতে আসবে। গাড়ির কাছে গিয়ে দেখি সদ্য কৈশোর পেরোন এক ফচকে ছেলে অপেক্ষা করছে। শিলিগুড়ি শহরের সীমানা ছাড়ানোর পর ঘোর অন্ধকারের মধ্যে দিয়ে প্রায় দু’ঘণ্টা গাড়ি করে যাওয়া বহুকাল মনে থাকবে। একটা জায়গায় এসে উত্তম বলল,  ‘এটা বিরিক ফরেস্ট। পরশু দিন একটা হরিণ এখানে গাড়িতে ধাক্কা মেরে প্রায় খাদে ফেলে দিচ্ছিল।’  দু’পাশে ঘন আদিম পাইনের জঙ্গল। গাড়ির কাচ পুরো তোলা। মোবাইল ফোনে দেখাল ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ভয়ে না শীতে জানি না,  কেঁপে উঠলাম দু’জনেই।

পরদিন সকালে সঙ্গীতা আর সাবিরের সঙ্গে বসে পরিকল্পনাটা পাকা করা গেল। বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি। একদিন ওইখানে যাব। বাড়ির পেছনেই কালিঝোরা ফরেস্ট — যেখানে ব্ল্যাক প্যান্থার বেরিয়েছিল। একদিন সেখানে যাব। আর কিছুটা দূরে কালিঝোরারই অন্য একটা অংশ আছে। একদিন সেখানে যাব। এখানেই বলে রাখি,  রুফাস নেকড হর্ণবিল বা লালগলা ধনেশ পাখির জন্য প্রতি বছর লাটপাঞ্চোরে আসেন কয়েকশো বার্ডওয়াচার। এ পাখিটা তখনই ছিল দুর্লভ। এতদিনে বিপন্ন তকমা পেয়ে গিয়েছে। ফেব্রুয়ারির শেষ থেকে মে-জুন মাস পর্যন্ত তবুও এদের দেখা মেলে কিছুটা। পুজোর পর থেকে নো চান্স। কারণ তখন তাদের বাসা বাঁধবার, ডিম পাড়বার সময়। সেই নিয়ে পরে একটা মজার গল্প শুনেছিলাম সাবিরের স্ত্রী সঙ্গীতার কাছে। সে কথায় পরে আসা যাবে। আপাতত ফেরা যাক মহানন্দায়।

পরদিন ভোরে যখন মহানন্দা ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারিতে আমরা ঢুকলাম,  তখনও আকাশ ভালো করে ফরসা হয়নি। কনকনে ঠান্ডায় গাড়ি থেকে নেমে কিছুটা যেতে যেতেই ভোর হয়ে গেল। বিশাল উড স্পাইডারের জালটা পাশ কাটিয়ে একটু এগোতেই সামনে ফার্নের সমুদ্র। প্রায় এক কোমর উঁচু ওই ফার্নের জঙ্গল পেরিয়ে কিছুটা যেতেই চাপা কাশির মতো একটা ‘খক খক’  আওয়াজ কানে এল অনেকটা দূর থেকে। কিছু একটা বলতে যাচ্ছিলাম। সাবির সাঁড়াশির মতো কঠিন হাতে কাঁধটা খামচে ধরে ফিস ফিস করে চিৎকার করে উঠল, ‘রুফাস নেকড হর্নবিলের ডাক। এই সময় ওরা বেরোয় না। হয়তো আজ কপালে আছে।’

না। সে যাত্রা ওদের দেখা হয়ে ওঠেনি।ডাক শুনেই ক্ষান্ত থাকতে হয়েছিল।কিন্তু ওই পাখির ডাক ধাওয়া করে দেখা হয়েছিল অনেকের সঙ্গেই। এদের অন্যতম স্কার্লেট মিনিভেট। এখানে বলে রাখা ভালো, বার্ড ওয়াচারদের রং নিয়ে বিস্তর সমস্যা আছে। সাধারণ মানুষ যাকে নিছক ‘লাল’ বলে থাকেন,  বার্ড ওয়াচাররা তাকেই ‘ফ্লেম কালার্ড’, ‘রুবি’, ‘রোজেট’, ‘রোজ’, ‘ভার্মিলিয়ন’, ‘স্কারলেট’ এবং ‘রেড’ — এই এতগুলো ভাগে ভাগ করেন। প্রতিটা শেডই কিন্তু অন্যটার চেয়ে আলাদা। সবুজ বা নীলের ক্ষেত্রেও ব্যাপারটা একই।

সে যাই হোক, গাছের মগডালে বসে থাকা একঝাঁক স্কার্লেট মিনিভেটের ওপর নজর রাখতে গিয়ে সাবির শেখাল, জঙ্গলের পাখিদের একটা বড় অংশ এই মিনিভেটদের অনুসরণ করে। সত্যিই তাই। যেখানে যেখানে ওই মিনিভেটের দল উড়ে গেল, তার পিছন পিছন উড়ে গেল অন্যরা। এই পাখিরা কেউই কিন্তু সাধারণ পরিযায়ী নয়। এদের বলা হয় লোকাল মাইগ্র্যান্ট বা স্থানীয় পরিযায়ি। কারণ, নির্দিষ্ট সময়ে হিমালয়ের প্রবল শীতল অঞ্চল থেকে নিচের দিকে নেমে আসে এরা। শীত ফুরলে ফের হিমালয়। মিনিভেটের দল এই গোত্রেই পড়ে। আমি এই সময় আনমনেই সাবিরের থেকে কিছুটা এগিয়ে গিয়েছিলাম। হঠাৎ শুনলাম ঝোপের মধ্যে থেকে একটা ডাক টরররর টররর করে ডাক আসছে। অতি সাবধানে পায়ের শব্দ বাঁচিয়ে একটু কাছে গিয়ে দেখি এক জোড়া শর্ট বিল্ড মিনিভেট। অদ্ভুত একটা হলদে রং। চোখ জুড়নো। বেলা দশটা নাগাদ যখন ওখান থেকে বেরিয়ে আসছি, তখন অভিজ্ঞতার ঝুলিতে জমেছে অনেকগুলো নাম।

পরদিনের অভিজ্ঞতা আরও জমাটি। ওই দিন সাবির আমাদের নিয়ে গেল ওর বাড়ির পিছনের জঙ্গলটায়। প্রাণ হাতে করে বেশ কিছুটা এগনো এবং তার মধ্যেই গ্রে-চিনড মিনিভেট, নেপালি ফুলভেট্টা, হিউমস লিফ ওয়ার্বলার, ফায়ার টেলড সানবার্ড ইত্যাদি আরও অনেককে। তবে, সব পরিশ্রম সার্থক করে দিল একটা নেড়া গাছের ডালে একা বসে থাকা একটা কমন গ্রিন ম্যাগপাই। সাধারণত এই পাখি মানুষের সাড়া শব্দ পেলে এলাকায় থাকে না। আশ্চর্য রূপের বাহার। টুকটুকে সবুজ আর চোখের পাশ দিয়ে কালো কাজল-টানা। বার্ড ওয়াচার মহলে প্রচলিত, এই সবুজ রং নাকি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায়। অর্থাৎ আজ আপনি কমন গ্রিন ম্যাগপাইয়ের গায়ের রং যেমনটি দেখলেন, পরশুদিন যে দেখবে, হুবহু এক রং দেখবে না! এ বিষয়টা মনে পড়তেই রোমাঞ্চ হল। দুপুর তখন ২ টো। তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অথচ আমার জ্যাকেট ঘামে ভিজে সপসপ করছে। ৫০ ফুট দূরে থেকে ওই কমন গ্রিন ম্যাগপাই দেখে কেমন একটা হয়ে গেলাম। একবার নিজেকে শাম্মি কাপুর মনে হল। ভাবলুম, লাফ দিয়ে পড়ব? পরের মুহূর্তেই মনে হল আমিই সেলিম আলির নতুন রূপ।

প্রায় অজানা, অপরিচিত এই জগতে একেবারে হাত ধরে নিয়ে যাওয়ার জন্য সাবির সুব্বাকে কোনও দিন ভুলব না। আর ভুলব না সঙ্গীতার রান্না। হর্নবিল পাখি ডিম পাড়ার সময় হলে স্ত্রী পাখি গাছের কোটরে ঢুকে পড়ে। পুরুষরা ওই কোটর মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়। শুধু স্ত্রী পাখির ঠোঁটটুকু বেরিয়ে থাকে। পুরুষ তাকে খাবার খাইয়ে যায়। কিন্তু স্ত্রী নজর রাখে, পুরুষ যে পথ ধরে গেল, সেই পথেই ফিরল কি না। না হলে স্ত্রী কিছুতেই খায় না। হর্নবিলের এই অবাক করা ঘটনা সঙ্গীতাই শুনিয়েছিল। জানতে চেয়েছিলাম, এমন কেন? সাবির মুচকি হেসে বলল, “মহিলাদের কাজই উটকো ঝামেলা করা। পাখিই হোক বা …” এইটুকু বলেই আমার হাত ধরে বাইরে নিয়ে চলে গেল। সিঁড়ি দিয়ে নামতে নামতে শুনতে পেলুম, দুই মহিলা মিলে আমাদের নামে খুব শাপশাপান্ত করছেন।

সিঁড়ির পাশে এসে (জানি না আগে থেকে ওদের বলা কওয়া ছিল কি না) সাবির বলল, ওই দ্যাখো, পাশের গাছে কলার্ড ফ্যাকনেট। মন দিয়ে ওকে দেখা শেষ করেছি আর পাখিটা ফুড়ুৎ করে উড়ে গেল। দুই মহিলা সবেমাত্র তখন সেখানে এসেছেন। আবার নতুন করে ঝগড়া শুরু হল। সাবির হেসে বলল, ওটা একেবারে কপাল না হলে এত কাছে আসে না। এ যাত্রা তাই কপালটা আশ্চর্য রকমের ভালো ছিল বলতেই হচ্ছে। যদিও ধনেশ অধরাই রইল। ভাগ্যিস! বার বার ফিরে আসবার একবগগা কারণ তো চাই একটা!

আজকাল অনেক টুরিস্টই শুনি দার্জিলিং, তিনচুলে এলাকায় গেলে এই গ্রামে সাইট সিইং করতে যান। জানি না এই খেচর-কলোনি সম্পর্কে তাঁদের আগ্রহ আছে কিনা, বা আদৌ কোনও তথ্য আছে কিনা। যাঁরা এই লেখা পড়ে যাবার পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের উদ্দেশে একটি বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ – এখানে মোবাইল সিগনাল নেই। টিভিও নেই। শুধু জঙ্গল, পাখি আর কিছু একেবারে অন্যরকম মানুষ আছেন, যাঁরা ক্রমশ বিপন্ন প্রজাতিতে পরিণত হচ্ছেন। চরৈবেতি।

পেশাগত ভাবে একটি সংবাদপত্রের চাকুরে। নেশাগত ভাবে অনেক কিছু। লম্বা নাক। তাই সব বিষয়ে নাক গলানোর ভয়ানক বদ অভ্য়াস। ছোটবেলায় ভেবেছিলেন শার্লক বা এ্যরকুল পোয়ারোর মতো গোয়েন্দা হবেন। পারেননি। এমনকি ক্রিকেট খেলাও হয়ে ওঠেনি। এখন তাই টেলিভিশনে খেলা দেখে আর সিধু জ্যাঠার মতো জ্যাঠামি করে দিন কাটে। থ্রিলার ছবি আর বই পড়ার নেশায় আসক্ত।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *