অবসাদ

)
হিঞ্চের বড়া
তেতো লাগেনা জ্বরমুখে
গেরস্তের মত শাকভাত
মাটিতে ছড়িয়ে দেব দুঃসাধ

কানা শালিখটা একপা একপা করে
খুঁটে খাক

)
হাওয়া দিলে
বেলপাতা আর শিউলিপাতায়
আমি মিল খুঁজে পাই
ত্রিপত্র দুগ্ধে তখনও
আসেনি নীলের উপোস
মাতৃগর্ভে ছিলাম আমি
সেইবারও আমার
আকালগ্রাসী খিদের বহর
বাতি নিভে গেলে
শিউলির পাতা ভেজে
ভাতে ভরেছিল মায়ের জঠর


 

Poetry
ছবি সৌজন্য: livewire.com


দূরত্ব


হাত বাড়িয়েছি যতদূর
হাত ধরে তুলে নেবো বলে,
যেন দুঃস্বপ্নের ঘোরে
আমাদের কেউ পিছু টানে!
লক্ষ্মীর প্রসাদ, জমজমের জল
আরো কিছু নিদান, ফতোয়া,
হুজুরের সভা
চোখের ওপর নাচে
ফতেমার ভুরুর নীচে জ্বলজ্বলে চাহনি
ক্রমশ পিছিয়ে যাচ্ছে!
বেঞ্চের সারিবেয়ে জল উঠে এল
ছেঁড়া ছেঁড়া ছায়াচিত্র,
বন্দিক্যাম্পের দেওয়াল
আর সেই মুখ জেগে থাকে বোরখায়,
সেই চোখের কাতর আহ্বান
সাবিনা খাতুন, আমার মেয়ের নাম

নন্দিনী সঞ্চারী পেশায় স্কুলশিক্ষিকা। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তরের পড়াশোনা। কবিতা লিখছেন কলেজে পড়ার সময় থেকে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় ও অনলাইন ম্যাগাজিনে নিয়মিত কবিতা লেখেন। প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ ‘শুভাশিস চেয়েছি কখনও?’ (সপ্তর্ষি প্রকাশন)।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *