এইখানে, এইখানে একদিন
ধানক্ষেত ভেসে যেত জ্যোৎস্নার বানে,
কৃষাণী পাগল হত ফসলের ঘ্রাণে,
সবুজ অন্ধকারে শিশিরের ভারে
কথা হত ধানশিস – পৃথিবীর কানে।
এইখানে, এইখানে সেইদিন
জ্যোৎস্নায় চিকচিক জল চরাচরে,
হাসিখুশি ঝিকমিক মুখ ছিল ঘরে,
ফলে ভরা গাছ আর ভেড়ি ভরা মাছে,
পাথরে খোদাই দেহ ঘামে স্নান করে।
এইখানে, এইখানে আজ
হ্যালোজেন মুছে দেয় চাঁদের প্লাবন,
হেমা মালিনীর গালে গতি উচাটন…
নাগরিক জাঁকে ভেসে চাষি আর জেলে,
রাজা ছিলে, আছ আজ কোথায় কেমন?
ছবি সৌজন্য – pexels
জয়দীপ ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৭২ সালে, মুর্শিদাবাদ জেলার আমতলা গ্রামে। আমতলা হাইস্কুল থেকে উচ্চমাধ্যমিক, নীলরতন সরকার ও রিজিওন্যাল ইনস্টিটিউট অফ অপথ্যালমোলজি মেডিক্যাল কলেজ কলকাতা থেকে ডাক্তারির স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠ। পেশায় চক্ষুরেগ বিশেষজ্ঞ। শেওড়াফুলিতে গত ১৪ বছর ধরে কর্মরত। নেশা বলতে দেশবিদেশের ফুটবল খেলা, নাটক, গান, বাংলা সাহিত্যচর্চা, ছাদের ফুলবাগান, লেখালেখি এবং পরিবারের সঙ্গে সময় কাটানো। এবং আজন্ম আমৃত্যু কোহলবর্জন।
জয়দীপকে বরাবর সুরসিক ছড়াকার হিসেবেই দেখেছি। আর সুন্দর কিছু পুরোন স্মৃতি উত্তলিত সরল অতি মেধহীন হৃদয় ছোঁয়া নাতিবৃহৎ কাহিনি পড়েছি। আজ আরেক দীগন্তের উন্মেষ পেলাম। ভাল লাগল।
অসাধারণ!
এইখানে, এইখানেই আপনার অবসর কাটুক।
আরোও ছন্দ,আরো সূষ্টি,আরোও অনুভুতি,
আরো আরোও মন ছোঁয়া ফুলেরা ফুটুক।
দারুণ ❤❤❤❤
স্বচ্ছ সরল সাবলীল !
এই হলো জয়দীপ !
শেষ স্তবকেই মাত করে দিয়েছেন।