পর্বতাভিযান দিন দিন বহুল জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পর্বতপ্রেমীদের কাছে। পাহাড়-পাগল মানুষের কাছে  পাহাড়ে যাওয়াটা অনেকটা নেশার মতো, ভালোলাগা ও ভালবাসার বিষয়। কিন্তু অভিযানের প্রাসঙ্গিকতা হারিয়ে বর্তমানে অনেকটাই যেন খেলায় পর্যবসিত হয়েছে এই শৌখিন পর্বতাভিযান। পর্বতাভিযানের নেশা সবচেয়ে বেশি আকৃষ্ট করেছে বর্তমান যুব-সমাজকে। তারা প্রতি বছর সুযোগের অপেক্ষায় থাকে— কখন হিমালয়ের উদ্দেশ্যে ট্রকিং/এক্সপিডিশনের জন্য বেড়িয়ে পড়বে! আজকাল শীতকালেও পাহাড়ে যাবার প্রস্তুতি চলে। 

এই পর্বতাভিযান প্রায় অসম্ভব শেরপাদের সহযোগিতা ছাড়া। ছোট বড় যে কোনও ধরনের অভিযানে শেরপাদের প্রয়োজনীয়তা প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শুধুমাত্র আমাদের দেশে নয়, বিশ্বের সমস্ত দেশের পর্বতারোহীরাই অভিযানের সঙ্গী হিসাবে শেরপাদের পেতে চায়। প্রয়োজনে শেরপারা নিজের জীবন বিপন্ন করেও পর্বতাভিযাত্রীদের প্রাণ রক্ষা করেছেন।  নিজের জীবন বিপন্ন করে সঙ্গী অভিযাত্রীদের নিরাপত্তা এনে দেন তাঁরা। এই সব কথা শুধুমাত্র কথার কথা নয়, ইতিহাসে আর অনেক প্রমাণ ও নিদর্শন আছে। মাউন্ট এভারেস্ট সহ আট হাজার মিটারেরও বেশি উচ্চতার শিখর আরোহণ করা সম্ভব শুধুমাত্র শেরপাদের সহযোগিতায়। আগে তাঁরা পর্বতারোহণের জন্য রাস্তা খুলে দেয়। তার পর অভিযাত্রিরা তাঁদের পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিখরে আরোহণ করেন। অবশ্য এর ব্যতিক্রমও কিছু আছে।

এখন প্রশ্ন হল এই শেরপা কারা? কোথা থেকে তাঁরা এসেছেন? তাঁদের পরিচয়ই বা কী? এই শেরপা জনজাতি সম্পর্কে কিছুটা কৌতূহল নিবারণের জন্যই আমার এই লেখার অবতারণা।

mountain trekking
মাউন্ট এভারেস্ট সহ আট হাজার মিটারেরও বেশি উচ্চতার শিখর আরোহণ করা সম্ভব শুধুমাত্র শেরপাদের সহযোগিতায়

আমরা জানি শেরপা তেনজিং নোরগে ও এডমন্ড হিলারি প্রথম এভারেস্ট শিখর (২৯,০২৮’) আরোহণ করেছিলেন । তেনজিং নেপালি নাগরিক। এডমন্ড হিলারি নিউজিল্যান্ড নিবাসী। তাঁরা ১৯৫৩ সালে ২৯ মে ব্রিটিশ অভিযাত্রী দলের অংশ হিসাবে এভারেস্টে আরোহণ করেন— এই কথা বিশ্ববাসী জানে। এর পূর্বেও বহুবার এভারেস্ট অভিযান হয়েছে, কিন্তু সফল হয়নি।  ভারতবর্ষ  থেকেও অনেকবার অভিযান হয়েছে।

আরও পড়ুন: মেয়েদের পাহাড় চড়ার সেকাল একাল

তেনজিং নোরগে ছিলেন শেরপা জনগোষ্ঠীর মানুষ। কাঠমাণ্ডু উপত্যকায় তিব্বতীয় মানব-গোষ্ঠীকেই ভোটিয়া বা ভোট বলে উল্লেখ করা হয়। নেপালি ভাষায় তিব্বতের নাম ভোট’। পশ্চিমে কুমায়ুন সীমান্ত থেকে পূর্বে সিকিম পর্যন্ত অঞ্চলের একটি বিশেষ গোষ্ঠীই ‘শেরপা’ নামে পরিচিত। এঁরা বেশি উচ্চতায় নিজেদের মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। পর্বতারোহণের জন্য ইতিমধ্যেই খ্যাতি ও দক্ষতা অর্জন করেছেন এঁরা। নেপালে এভারেস্ট, লোৎসে প্রভৃতি উচ্চ পর্বত-শিখর বেষ্টিত সংকীর্ণ উপত্যকায় এদের বাসভূমি। প্রধানত পালের খুম্বু ফারক ও সোলো অঞ্চলেই করেন এঁরা। এই গ্রামগুলির উচ্চতা প্রায় বারো, তেরো হাজার ফুট। চারণক্ষেত্রগুলির অবস্থান পনেরো হাজার ফুটেরও বেশি। শেরপাদের ভাষায় শা-রং’ হল ঢালু বিস্তৃত উপত্যকা অঞ্চল। এইসব অঞ্চল কৃষিকাজের উপযুক্ত।

এভারেস্টজয়ী শেরপা তেনজিং নোরগে

তিব্বতীয় শার-পাথেকে শেরপাশব্দবন্ধটি উদ্ভূত। শার-পাকথার অর্থ ‘পূর্বঞ্চলবাসী’। এর কারণ বোঝা যায় না, কারণ তিব্বতের দিক থেকে দেখতে গেলে শেরপা গোষ্ঠী বরং দক্ষিণাঞ্চলবাসী। এছাড়া ভোটিয়া জনগোষ্ঠীর শেরপারা পূর্ব ও পশ্চিমে দুদিকেই বসবাস করে। অন্য মতে শেরপা জাতির পূর্বপুরুষেরা এসেছিলেন তিব্বতের আমদোঅঞ্চল থেকে। যাইহোক সমগ্র ভোটিয়া গোষ্ঠীর মধ্যে শেরপাজনগোষ্ঠীই সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র উপজাতি হিসাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছে। তিব্বতি ভাষাভাষী আর কোনও গোষ্ঠীর মধ্যেই শেরপাদের মতো এত দায়িত্বশীল, সচেতন ও উন্নত মানের জীবনযাত্রা-সম্পন্ন নাগরিক লক্ষ্য করা যায় না। এরা বৌদ্ধধর্মের প্রতি নিষ্ঠাবান। সাধারণভাবে আমরা শেরপাদের বাসভূমি বলতে সোল-খুম্ববুঝি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এর মধ্যে ফারকও অন্তর্ভুক্ত। খুম্বু ও ফারকের কঠিন কঠোর প্রাকৃতিক পরিবেশের জন্য শেরপারা কঠোর পরিশ্রমী হয়ে থাকেন।  

আজকাল প্রচুর সংখ্যক শেরপা দার্জিলিং-এ বসবাস করছে। ১৯৫১ সালে নেপালে বিদেশিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যায়। সেই সময় হিমালয়ান অভিযাত্রীরা দার্জিলিং থেকেই শেরপা সংগ্রহ করত। কৃষিকাজ, পশুপালন বিশেষ করে ইয়াকের বংশ বৃদ্ধি করানোর কাজকে শেরপারা সম্মানজনক কাজ বলে মনে করেন। ব্যবসার ক্ষেত্রেও এঁরা অসাধারণ বুদ্ধির পরিচয় দিয়েছেন। বিদেশিদের সংস্পর্শে এসে শেরপাদের জীবনযাত্রার মানেও আমূল পরিবর্তন এসেছে।

সতেরোটি গোষ্ঠীতে শেরপা উপজাতি বিভক্ত। পরবর্তী সময়ে তিব্বত থেকে এসে যারা এ অঞ্চলে স্থায়ীভাবে বাস করছে মূল শেরপা গোষ্ঠী তাদের নিজেদের চেয়ে নিচু শ্রেণীর মানুষ বলে গণ্য করে। শেরপারা তাদের খাম্বাবলে। এদের সাথে একই পাত্রে পানাহারও করে না (যদিও একই সঙ্গে পানাহার করা শেরপাদের সামাজিক প্রথা)। এদের সঙ্গে শেরপারা বিবাহসূত্রে আবদ্ধও হয় না। এই গোষ্ঠী ছাড়া  আর একটি জনগোষ্ঠী আছে যাদের শেরপারা নিকৃষ্টতর বলে গণ্য করে। তারা দাসদের বংশধর। ১৯২৬ সালে নেপালে দাসপ্রথার বিলুপ্তি হয়। তবু আজও শেরপা সমাজে দাসেদের নিম্নস্তরের মানুষ বলে গণ্য করা হয়।

Sherpas in Himalaya
তিব্বতি ভাষাভাষী আর কোনও গোষ্ঠীর মধ্যেই শেরপাদের মতো এত দায়িত্বশীল, সচেতন ও উন্নত মানের জীবনযাত্রা-সম্পন্ন নাগরিক লক্ষ্য করা যায় না

শেরপা সমাজে যৌথ পরিবারের অস্তিত্ব নেই। কেবলমাত্র ছোটছেলে অথবা মা-বাবার একমাত্র ছেলে বিবাহের পর পৈতৃক গৃহে বসবাস করার অধিকার পায়। এদের সমাজে এক পুরুষের একাধিক স্ত্রী এবং একটি নারীর একাধিক স্বামী থাকাটা অস্বাভাবিক নয়। সমাজে স্ত্রী-পুরুষের সমানাধিকার স্বীকৃত। স্ত্রী-পুরুষের স্বাধীনতা মেনেই প্রথাগত বিবাহ হয়ে থাকে। বিবাহ-বিচ্ছেদও একই প্রথায় হয়। বিবাহের পূর্বে ছেলে-মেয়েদের অবাধ মেলামেশায় কোনও বাধা নেই। সাবালক হয়ে যাবার পর এদের সমাজে নিজেদের ইচ্ছাকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়। ছেলে-মেয়ের বিবাহ-বহির্ভূত মেলামেশার ফলে কোনও সন্তানের জন্ম হলেও শেরপা সমাজ সেটাকে গর্হিত কাজ বলে মনে করে না। সেই সন্তানকে থেম্বাবা অবৈধ সন্তান রূপে অবিবাহিত মাতা-পিতা যত্নের সাথে পালন করে থাকে। সামাজিক বা আইনগত ভাবেও সেই সন্তান বঞ্চিত হয় না। অন্যদিকে যদি থেম্বার বাবার সঙ্গে কোনও কারণে কুমারী মায়ের বিবাহ না হয়, তবে সেই ক্ষেত্রে সেই বাবাকে সামান্য জরিমানা দিতে হয় সমাজে নির্দেশিত মাতব্বরের কাছে। তাতেই ব্যাপারটা মিটমাট হয়ে যায়। যৌন জীবন সম্পর্কে শেরপাদের দৃষ্টিভঙ্গি সত্যিই বিস্ময়কর।

শিশুদের বিষয়ে শেরপারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। উষ্ণ স্নেহে খুব যত্নে শিশুদের প্রতিপালন করেন এঁরা। সেই কারণে খুব ছোট থেকেই শিশুরা বড়দের দৃষ্টান্ত অনুসারী হিসাবে অনুকরণ করে, এবং স্বাবলম্বী হতে শেখে। খুব ছোট থেকেই ভেড়া বা ইয়াকের পাল নিয়ে উঁচু চারণভূমিতে পশুদের সাথে সময় কাটায় তারা। পশুদের দেখাশুনা করে। একমাত্র দিনের শেষে রাতে অভিভাবকেরা তাদের সাথে থাকে। এইভাবে দায়িত্ব নিতে নিতেই শেরপা শিশুরা আত্মবিশ্বাসী ও স্বাবলম্বী হতে শেখে।  

Sherpa Children
শেরপা-শিশুরা

শেরপাদের মধ্যে নামের মিল দেখা যায় প্রায়ই। পেম্বা আর পাসাং নামে বেশ কিছু শেরপা আছেন। এর কারণ আর কিছুই নয়। শেরপাদের জন্ম-বার অনুযায়ী প্রত্যেকের নামের সঙ্গে একটা করে শব্দ জুড়ে দেওয়া হয়। যেমন— পেম্বা, ওর আসল নাম ছুটি শেরপাশনিবার জন্মেছে বলে নামের সঙ্গে পেম্বাজুড়ে হয়েছে পেম্বা ছুটি শেরপা। সেভাবে শুক্রবার জন্মেছে বলে পেম্বার দাদা ফুতার’-এর পুরো নাম পাশাং ফুতার শেরপা। এইভাবে যার জন্ম রোববার, তার নামের সঙ্গে জুড়ে যাবে নিমা’ ,সোমবার হলে দাওয়া’, মঙ্গলবার জন্ম হলে মিংমা’, বুধবার হলে লাকপা’, আর বৃহস্পতিবার – ‘ফুরবা। এইভাবেই শেরপাদের নামকরণ হয় ।

শেরপারা নিজেদের নির্বাচিত জন-প্রতিনিধির মাধ্যমেই তাঁদের বিবাদ-মনমালিন্য নিষ্পত্তি করেন। প্রতি বছর নতুনভাবে জন-প্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। এই প্রথা এখনও চলে আসছে। এই জন্য এদের মধ্যে নাগরিক শৃঙ্খলাবোধ ও দায়িত্ব-সচেতনতা কঠোরভাবে প্রকাশিত। সামাজিক কাজের জন্যও প্রতি বছর জন-প্রতিনিধি নির্বাচন করা হয়— যেমন বনভূমি সংরক্ষণ, চারণভূমি, গুম্ফা রক্ষণাবেক্ষণ, উৎসব, ধর্মানুষ্ঠান প্রভৃতির জন্য আলাদভাবে নির্বাচিত প্রতিনিধি নিয়োগ করা হয়। 

এঁরা তিব্বতীদের মতো মহাযান বৌদ্ধধর্মকেই অনুসরণ করেন। মন্ত্র-তন্ত্র, দেবতা, উপদেবতা শেরপাদের ধর্মীয় জীবনের নিত্যসঙ্গী। প্রচণ্ড ধর্মভীরু এঁরা, জন্মান্তরে বিশ্বাসী। মৃত্যুর পর সাধারণত হিন্দুদের মতোই দেহ সৎকার হয়ে থাকে।

sherpa

এভারেস্ট শিখর জয় করার পর দার্জিলিং-এর তেনজিং নোরগে শেরপার নাম সবাই জানে। এর আগে ব্রিটিশরা দার্জিলিং পাহাড়ের রাস্তাঘাট নির্মাণের কাজে এক সময় শেরপাদের কুলির মতো ব্যবহার করেছে। কুলি হিসাবে পরিশ্রম করিয়ে তাঁদের প্রাপ্য মর্যাদা দেওয়া হয়নি। ১৮৮০ সালের পূর্ব থেকেই ব্রিটিশরা দার্জিলিং-এ রেলপথ নির্মাণের জন্য প্রস্তুতি শুরু করে। সেই সময় যে কাজে দুজন শ্রমিক প্রয়োজন সেখানে একজন শেরপাকে দিয়ে সেই পরিমাণ কাজ করানো হত। এছাড়া সেই সময় অর্থাৎ ১৮৬০ সালের দিকে চা বাগানেও শেরপাদের কাজে লাগানো হত। আধুনিক যুগের সঙ্গে তাল মিলিয়ে হিমালয় পাহাড়ে আজকাল শেরপাদের জীবনযাত্রার মানে ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এই শেরপা জনজাতিদের নিয়ে গবেষণার কাজ করে এম ফিল করলেন দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী গবেষক অঞ্জসী সরকার। গত দুই বছরের ২০১৪-২০১৬) মধ্যে তিনি তাঁর গবেষণা শেষ করেছেন। এই কাজের জন্য তাঁকে তিব্বতি ভাষা শিখতে হয়েছে।  তাঁর গবেষণার বিষয়, ‘দ্য হিমালয়ান পোর্টার-আ সোশ্যাল হিস্ট্রি অফ দ্য শেরপা। ২০১১ সালের গণনা অনুযায়ী দার্জিলিং জেলায় শেরপাদের সংখ্যা ১,৫০,০০০ আর ৩,৫০,০০০। তেনজিং নোরগে ১৯৫৩ সালে এডমন্ড হিলারির সঙ্গে এভারেস্ট শৃঙ্গ আরোহণ করেন, এই ঘটনা বিশ্বের দরবারে শেরপাদের স্বীকৃতি নিয়ে এল। এরপর ১৯৫৪ সালে হিমালয়ান মাউন্টেনিয়ারিং ইন্সটিটিউট তৈরি হয়। তখন সেখানে প্রথম ইন্সট্রক্টর হিসাবে ছয় জন শেরপাকে নিয়োগ করা হয়। সেই সময় থেকেই তাঁরা সরকারি স্বীকৃতির পথে এগিয়ে যেতে থাকে। আজ তাঁদের মধ্যে অনেকেই বিভিন্ন স্থানে চাকরি করছে। গবেষক অঞ্জসী সরকারের কথায়, শেরপাদের উচ্চশিক্ষার হার মাত্র ৩ শতাংশ । 

ভারতীয় ইতিহাসবিদের কথায়, ব্রিটিশরা শেরপাদের সভ্য বা শিক্ষিত করেননি। শেরপাদের রক্তের মধ্যে সভ্যতা, বুদ্ধের অহিংস মনোভাব আগে থেকেই ছিল। তাঁদের জীবনের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য- তাঁরা স্বাবলম্বী। ধর্মের প্রতি নিষ্ঠা, গোষ্ঠীর অন্তর্গত, আধুনিক সমাজ থেকেও অনেকটা উদার মনভাবাপন্ন এই শেরপারা।

*তথ্যঋণ: ইন্টারনেট

 

ছবি সৌজন্য: Peakpx, Istock, Pxfuel, Flickr.

Bikash Chandra Sarkar

হাওড়া জেলায় বাসিন্দা। পড়াশুনা লিলুয়া টি. আর. জি. আর খেমকা হাই স্কুল। কলেজ- সিটি কলেজ অফ কমার্স অ্যান্ড বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেসন, মির্জাপুর স্টিট, কলিকাতা। বি. কম গ্র্যাজুয়েট। ছোট থেকে কবিতা লিখতে ভালবাসেন। ট্রেকিং, মাউন্টেনিয়ারিং ভালোবাসেন, লেখালিখির হাতেখড়ি পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ভ্রমণ পত্রিকায়। হিমালয়াস্‌ বেকন-এর একজন অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। ট্রাভেল রাইটার্স ফোরামের সদস্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *