হরিদ্বার থেকে বাসে কুণ্ডে নেমে শেয়ার জিপে উখিমঠ হয়ে সোজা রাশি। রাশিতে রাত্রিবাস। পরদিন সকালে ক্যামেরা, স্যাক কাঁধে হাঁটা শুরু। হাঁটতে হবে প্রায় ১৮ কিলোমিটার পথ। গোন্ডার পেরিয়ে বানতোলিতে এক রাত কাটিয়ে আবার পরদিন পথ চলা। আপার বানতোলি, খাটরা খাল পেরিয়ে নানুতে নিশিযাপন। পরেরদিন সকালে মাইখাম্বা কুনচট্টির চড়াই ভেঙে সোজা দ্বিতীয় কেদার বা মদমহেশ্বরের সামনে। সেদিন মদমহেশ্বর মন্দিরে সন্ধ্যারতি দেখে পাশেই মন্দির কমিটির ধর্মশালায় থাকা। রাত সাড়ে তিনটে থেকে হাঁটা শুরু প্রায় ১২,০০০ ফুট উচ্চতায় বুড়া মদমহেশ্বরের উদ্দেশে। অন্ধকারে হেড টর্চের আলোয় ২ কিলোমিটার খাড়া চড়াই পথ পেরিয়ে একদম বুড়া মদমহেশ্বর মন্দির আর উপত্যকার সামনে। ভোর হল, মাউন্ট চৌখাম্বা আর মাউন্ট মান্দানিকে দেখলাম প্রাণ ভরে। বুড়া মদমহেশ্বর মন্দিরের পাশেই ভৈঁসকুণ্ড। স্বচ্ছ জলে মাউন্ট চৌখাম্বা আর মান্দানির অপূর্ব প্রতিফলন দেখে নেমে এলাম মদমহেশ্বরে। এবার ফেরার পালা, নামতে শুরু করলাম স্বর্গকে পিছনে রেখে। আপার বানতোলিতে এক রাত থেকে সোজা রাশি। রাশি থেকে শেয়ার জিপে রুদ্রপ্রয়াগ হয়ে বাসে হরিদ্বার।

Srabanti Podder

পেশায় স্কুল শিক্ষিকা। নেশা হিমালয়ের পথে পথে হিমালয়ের ছবি তোলা আর দু চার ছত্র লিখে ফেলা। সবটাই হিমালয়কে ভালোবেসে।

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *