সুদর্শন ঘাতক

সে এক সুদর্শন সুখ,
আমাকে তার বাহুতে বেঁধে নামিয়ে আনে মুখ।
সে এক সুদর্শন সুখ।
ওষ্ঠে তার মধুর হাসি, কণ্ঠে ছিল সুর,
দীর্ঘ ঋজু শরীরে বিভ্রম।
পল্লবিত দেহটি তুলে কটিতে রেখে হাত,
তৃষিত চোখে শুধুই সর্বনাশ।

আমি তখন কৌতূহলী পনেরো বছরের।
আমার ছিল শরীর জুড়ে ভুল।
ত্রস্ত পায়ে কখন যেন ডিঙিয়ে আনমনে
মুগ্ধ দেহে ফুটিয়ে তুলি ফুল।

সুখই ছিল সুদর্শন, মধুর ব্যতিক্রম,
দ্বিখণ্ডিত কিশোরী কৌতুক।
হঠাৎ যেন ঘাতক সেজে রাঙিয়ে দিয়ে যায়,
মুখের মধ্যে নামিয়ে এনে মুখ।

poetry illustration

কবিতাকে ভালবাসতে গেলে

কবিতাকে ভালবাসতে গেলে
কবিতা তোমায় আজও আরও একবার স্পর্শ করি।

ভালবাসা ছিল বুঝি নির্নিমেষ চেয়ে দেখবার,
ভালবাসা ছিল তাই শব্দের অলিন্দে খোঁজা মোহ দুর্নিবার।

তেমনই কি কথা ছিল?

অথচ তা কোনওদিন সেরকম বুঝতে পারিনি।

কবিতা তোমায় আমি ছুঁয়ে দেখব বলে আজ সারাটা রাত
মুখর বর্ষণবিদ্ধ মৃত্যুকে প্রদক্ষিণ করে
জরাগ্রস্ত গণিকার শয্যাপার্শ্বে স্থির হয়ে আছি।

একটু আগেই বুঝি শেষ ট্রেন ছেড়ে গেছে, দৃশ্যপট বদলে যাচ্ছে মুহুর্মুহু— বিলুপ্ত শহর, 
নাকি অলীক শব্দের সিঁড়ি ভেঙে ভেঙে ভ্রাম্যমাণ স্বপ্নের উদ্যান।
কবিতাকে খুঁজে চলছি প্রতি পল, অনুক্ষণ, 

কবিতা তোমায় খুঁজতে কতদূর যেতে হবে?
মধুর, তোমাকে আকাঙ্ক্ষা করে প্রত্যাখ্যাত আজ রাত্রিশেষে

আমি তো তোমারই কাছে নতজানু

ক্রমাগত ছিঁড়ে চলছি যুক্তি তক্কো প্রেম বর্ণময়।

ছবি সৌজন্য: Peakpx, Pixabay

পেশায় অর্থ ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগে কর্মরত। কর্মসুত্রে বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ। কর্মজগতের বাইরে প্রধান শখ ভ্রমণ ও বাংলা কবিতা। এছাড়াও বাংলা ছোটগল্প, উপন্যাস ও প্রবন্ধে বিশেষ আগ্রহ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *