হলুদ নখর জানি, জানালা পেরোলে টিকটিক
শব্দে সান্ত্বনা আসে, আসে চক্রস্নান
প্রান্তে অশনি মাটি, ভ্রূ বেয়ে কে আতসচন্দন?
কী লেগে নখরে? দূর ঘ্রাণময় আদর আকাশ
ওর ছাঁচ হেমন্তের, আশ্চর্য এমন পরবাস!
ঠোঁট ফেলে উড়ে গেলে, কার্নিশের আলাপনে ভেজা
দুপাশে অনন্ত রাতমধ্যে সুতানুটির বিস্তার
বন্দরের কাটাকুটি বাঁশিকোন ছায়া অধিবাস 
সপাটে গিলেছে চিহ্নকোথায় পৌঁছল আয়নারা?

আলেয়া গৃহস্থ মাটি, ডানা তার কিচ্ছুটি জানে না!

অমৃতা ভট্টাচার্য কলকাতায় অ্যামিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজির অধ্যাপক। আনন্দবাজার পত্রিকা, ইন্ডিয়ান রাইটার্স ফোরাম, কবি সম্মেলন, পোয়েট্রি আউট লাউড (লন্ডন)-সহ দেশবিদেশের বহু পত্রপত্রিকায় কবিতা, ছোটগল্প প্রকাশিত হয়েছে। এযাবৎ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের সংখ্যা চার। ‘আমরা সবাই পালক আঁকি’, ‘পাইন, ঘাটসিঁড়ি ও শ্রীঘরের গল্প’, ‘ভর বাড়ছে শ্বেতবামনের’ এবং ‘ও অস্পৃশ্য! ও আশ্চর্য! শখ: গান ও ছবি আঁকা।

One Response

  1. “আলেয়া গৃহস্থ মাটি”…শুধু এই অংশটির জন্যই কবির পদপ্রান্তে ঠাঁই পেতে তীব্র ইচ্ছে জাগে। বাংলা কবিতায় আজ বহুস্রোত, আগেও ছিল, আজ যেন কোলাহলে স্বর হারিয়ে যাচ্ছে। যে ভাষায় অগণিত দিকপালের ত্বরিত অশ্্ব ছুটে গেছে বোধ পার হয়ে, সে ভাষা সৃষ্টির দেখনদারিজাত অস্বচ্ছ কুয়াশায় ঢেকে ফেলল কিছু আগ্রাসী পাটোয়ার…কবিতার উঠোনের এককোণে বেড়ে উঠেছিল মনখারাপ গাছ, বিষাদ ব্রততী…এই সময় প্রাপ্তিযোগ কবি অমৃতা ভট্টাচার্য কবি সোনালী চক্রবর্তী, কবি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়, কবি অভিরূপ মুখোপাধ্যায়, কবি পার্থজিৎ চন্দ, কবি জয়াশীষ ঘোষ প্রমুখ ফুল ফুটে উঠল। আপনার এই কবিতার অন্দরমহলে যে নিবিড় সংবেদ চর্চিত চন্দনের মত সৌম্য সৌরভ ছড়িয়ে যায়, তার কাছে আনত থাকার ঋণ অপরিশোধ্য রয়ে যাক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *