‘কীর্তন’ শব্দটি আসলে বিশিষ্ট নরপতি কিংবা দেব-দেবীর গুণ, লীলা এবং কীর্তি প্রভৃতির বর্ণনা প্রসঙ্গে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে ‘কীর্তন’ গান একটি জনপ্রিয় গীতরীতি। বাংলা তথা ভারতবর্ষে এই ধারণাই প্রচলিত যে ‘কীর্তন’ গান বৈষ্ণব ধর্মালম্বীদের গান। কার্যক্ষেত্রে একথা আংশিক সত্য হলেও সম্পূর্ণত নয়। 

প্রাচীন ভারতে বিষ্ণুর পূজারীদের বলা হত বৈষ্ণব। সারা ভারতবর্ষ জুড়ে খ্রিস্টীয় চতুর্থ থেকে পঞ্চদশ শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত বৈষ্ণবীয় অনুষঙ্গবিশিষ্ট প্রচুর প্রত্নলেখার সন্ধান পাওয়া যায়। বাংলা তথা ভারতের পূর্ব দিকের রাজ্যগুলিতেও এর নিদর্শন ভূরি ভূরি ছিল। এই সময়ে বাংলায় একই সঙ্গে সৌর–শৈব–শক্তি–গানপত্য ধর্ম, বৌদ্ধধর্ম ও বৈষ্ণবধর্ম প্রচলিত ছিল এবং সেগুলি যথেষ্ট জনপ্রিয়ও ছিল। সে সময় কিংবা তার পরবর্তী সময়েও বাংলায় বিষ্ণু, শিব, শক্তি, সূর্য ও গণেশ– এই পঞ্চদেবতার উপাসনার প্রাবল্য লক্ষ করা যায়। বাংলা এবং ভারতবর্ষের পূর্বদিকের রাজ্যগুলিতে পঞ্চোপাসনা ঐতিহ্যের মধ্যে বৈষ্ণবধর্মের একটি বিশেষ স্থান ছিল। 

উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, ‘সহজিয়া বৈষ্ণব’–এর ক্ষীণ সূত্রের আভাস পাওয়া যায় ত্রিপুরা জেলার ময়নাপতিতে পাওয়া রণবধমল্লর তাম্রলিপিতে লিখিত ‘সহজ’ শব্দটির মাধ্যমে। খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দী থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর মধ্যে বহু বৈষ্ণব উপপুরাণের হদিশ পাওয়া যায়। সেগুলি হল– ‘আদি পুরাণ’, ‘কল্কি পুরান’ ‘ক্রিয়া যোগসার’ ‘নরসিংহ পুরাণ’, ‘শাম্ব পুরাণ’, ‘ভবিষ্য পুরাণ’, ‘বৃহদ্ধর্ম পুরাণ’, ‘বৃহন্নারদীয় পুরাণ’, ‘বিষ্ণু ধর্মোত্তর’, ‘বিষ্ণু ধর্ম’। এইসব পুরাণে রচনাকারগণ বৈষ্ণবধর্মের সঙ্গে পঞ্চোপাসনার ঐতিহ্যকে মিশিয়ে নতুন বৈষ্ণবধর্মের প্রতিষ্ঠা করতে চেয়েছেন। তাহলে দেখা যাচ্ছে, যে পঞ্চম থেকে পঞ্চদশ শতাব্দীর সময়কালের মধ্যে বিষ্ণুর গুরুত্ব কমে তার স্থলাভিষিক্ত হলেন কৃষ্ণ। আর তখন কীর্তন মানে আমরা জানলাম উচ্চৈস্বরে গুণকথন বা গুণবর্ণনা। 

এই বর্ণনা বেশিরভাগ সময়েই পদ্যাকারে হত। পদ্যের আকারে যা কিছু করা হোক না কেন তাকে ‘পদ’ বলে আখ্যা দেওয়া হত। ‘পদ’ দুই প্রকারের হয়ে থাকে – ‘কাব্যপদ’ ও ‘গেয়পদ’। ‘কাব্যপদ’ পাঠের উপযোগী এবং ‘গেয়পদ’ গানের উপযোগী। সারা ভারতবর্ষে কৃষ্ণের যাবতীয় গানকে ‘ভজন’ বলা হয়ে থাকে। কিন্তু একমাত্র বাংলাদেশেই সেটি হয় না। সেখানে কৃষ্ণের স্তুতিমূলক গানগুলিকে ভজন বলা হলেও কৃষ্ণলীলা সংক্রান্ত পদগুলি বা গানগুলিকে ‘পদ-কীর্তন’ আখ্যা দেওয়া হয়। প্রসঙ্গতঃ উল্লেখযোগ্য যে বাংলায় ভজন গানের প্রাচূর্য ও জনপ্রিয়তা ভারতবর্ষের অন্যান্য প্রদেশের তুলনায় নগণ্যমাত্র। কারণ এখানে সমস্ত জনপ্রিয়তাই ছিল পদাবলী কীর্তনকে ঘিরে। পদাবলী কীর্তনের মূল আকর্ষণ ছিল প্রেম-ভক্তি প্রদর্শনে। এতে ভক্ত শ্রোতা ও কীর্তনীয়া একই সাথে আপ্লুত হতেন ও ভেসে যেতেন। বাংলার বৈষ্ণব পদাবলী কিন্তু কোনও একটি ধারার সংগীত নয়। বস্তুতঃ এর বিভিন্ন শাখাগুলিকে না চিনলে কীর্তনকে সঠিকভাবে জানাই হয় না।

নামকীর্তন:

‘নামকীর্তন’ পদাবলী কীর্তনের একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য শাখা, এবং এটি বৈষ্ণবীয় রীতি অনুসারে ভগবৎসাধনার একটি প্রধান অঙ্গ। অনুসন্ধান করে জানা গেছে যে বেদের সময়ও (খ্রিস্টপূর্ব ৪০০০ – ৩৫০০) নামমাহাত্ম্য সাধারণের মধ্যে প্রচলিত ছিল। সে সময় রুদ্র দেবতাই বেশি জনপ্রিয় ছিলেন। তাই নামমাহাত্ম্য রুদ্র দেবতাকে ঘিরেই তখন প্রচারিত ছিল। সেখানে বলা হয়েছে– ‘গুণমস্থি ত্বেষেং রূদ্রস্য নাম’– অর্থাৎ রুদ্রের জীবন-নাম আমরা গান করি। এটিই বোধ হয় নামগানের সবচেয়ে প্রাচীন এবং এখনও পর্যন্ত প্রাপ্ত নিদর্শন। 

চৈতন্যদেব যখন বাংলায় অবতীর্ণ হলেন তখন বাংলার রাজনৈতিক এবং সামাজিক প্রেক্ষাপট ছিল ভয়াবহ। কয়েক শতাব্দী ধরে বারংবার বিভিন্ন ধর্মের রাজাদের অত্যাচারে বাংলার মানুষ নিজেদের মনোবল একেবারে হারিয়ে এক দিগভ্রষ্ট জাতিতে পরিণত হয়েছিল। বাঙালি জাতির ধ্বংস অবশ্যম্ভাবী ছিল। এহেন বাংলা ও বাঙালিকে উজ্জীবিত করতে চৈতন্যদেব নামকীর্তনকেই হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করলেন। চৈতন্যদেব নিজেই নামকীর্তনের দল তৈরি করে নগর পরিক্রমায় ব্রতী হলেন। এক একটি দলে অন্ততপক্ষে দুইজন শ্রীখোল বাদক, একজন মূল গায়ক ও কমপক্ষে দশ-পনেরো জন সহগায়ককে নিয়ে এক একটি সম্প্রদায় গড়ে তোলা হত। সেই সম্প্রদায়গুলি লোকালয়ে ঘুরে ঘুরে নামকীর্তন পরিবেশন করত। যে কোনও ধর্মের, যে কোনও বয়সের এবং যে কোনও জাতের মানুষ এতে যোগদান করতে পারত। এতে বাঙালিদের মধ্যে একটা সহনাগরিক মানসিকতা গড়ে উঠতে লাগল। দিগভ্রষ্ট বাঙালি যেন একটা দিশা পেল। সেই নামসংকীর্তন আজও বাঙালিদের মধ্যে একইভাবে প্রচলিত এবং জনপ্রিয়। 

Naam Kirtan
শ্রীচৈতন্যের নামসংকীর্তনে দিগভ্রষ্ট বাঙালি যেন একটা দিশা পেল

বেড়াকীর্তন 

বেড়াকীর্তন নামকীর্তনের একটি শাখা। এটি নামকীর্তন থেকে জাত হলেও নামকীর্তনের মতো ব্যাপক উদ্দেশ্যে পরিবেশিত হয় না। এটি একটি বিশেষ বৈষ্ণব ধর্মীয় আচার। মন্দিরে বিগ্রহের আরতির পর বিশেষ একদল বৈষ্ণব সাধক, গায়ক ও বাদক মিলে তুলসিমঞ্চকে ঘিরে ঘিরে উদ্দণ্ড নৃত্য সহকারে এই কীর্তন করে থাকেন। অন্যান্য ভক্তসাধারণ দূর থেকে এটি অবলোকন করেন ও রস আস্বাদন করেন। সমস্ত ভক্তসাধারন মিলে বিগ্রহের সামনে বা নামসংকীর্তনের আসরের শেষে নামকীর্তনের প্রলম্বিত ভাগ হিসেবে বিশেষ কয়েকজন এই কীর্তন পরিবেশন করে থাকেন। 

বন্দনা কীর্তন

বৈষ্ণবীয় নববিধা ভক্তির একটি বিশেষ অঙ্গ হল বন্দনা কীর্তন। প্রাচীনকালে যে কোনও বৈষ্ণব গ্রন্থকারই তাঁর লেখা গ্রন্থের শুরুতে অবশ্যই একটি বন্দনা পদ রচনা করতেন। কীর্তনের ক্ষেত্রে বন্দনা নিজেই একপ্রকার গান যা সহজ সুর, তাল ও লয় সহকারে গাওয়া হয়ে থাকে। বর্তমানে অনেকরকম বন্দনা পদ গীত হয়ে থাকে – গুরুবন্দনা, গৌরবন্দনা, পঞ্চতত্ত্ব বন্দনা, বৈষ্ণববন্দনা, রাধাকৃষ্ণ বন্দনা ইত্যাদি।

বন্দনা কীর্তনের আবার অনেকগুলি শাখা আছে –

প্রার্থনাকীর্তন

বন্দনা কীর্তনের একটি শাখা হল প্রার্থনা কীর্তন। বৈষ্ণবীয় মতে ভক্ত তিল তুলসি দিয়ে যদি নিজেকে দেবতার চরণে সমর্পন করে তবে তাকে বলে নিবেদন। এই নিবেদন বোঝাতে বা নিবেদনকে বিষয়বস্তু করে বৈষ্ণব সাহিত্যে অজস্র পদাবলী আছে। আত্মনিবেদন, দৈন্যবোধ, বৃন্দাবন লালসা, গৌরাঙ্গের চরণে শরণাগতি ইত্যাদি প্রার্থনা কীর্তনের উপজীব্য বিষয়। এই কীর্তন অন্যান্য কীর্তনের মতো দলবদ্ধ ভাবে গাওয়া হয় না। অল্প লোক সমাগমে কীর্তনীয়া একজন শ্রীখোল বাদক এবং একজন করতাল বাদক সহযোগে সংগীত পরিবেশন করতে পারেন। 

Mahasankirtan
কৃষ্ণলীলা সংক্রান্ত পদ বা গানগুলিকে ‘পদ-কীর্তন’ বলা হয়

আরতি কীর্তন

আরতি কীর্তন বন্দনা কীর্তনের একটি শাখা। এটি তিন প্রকারের হয় এবং সেটি একটি দিনের সময় বা কাল অনুযায়ী বিভক্ত। প্রভাতকালে যে আরতি কীর্তন হয় তাকে বলে মঙ্গলারতি কীর্তন। মধ্যাহ্নকালে যে আরতি কীর্তন পরিবেশিত হয় সেটি ভোগারতি কীর্তন ও সন্ধ্যাকালে যে আরতি কীর্তন করা হয় সেটি সন্ধ্যারতি বা তুলসি কীর্তন নামে পরিচিত। এই কীর্তন বৈষ্ণব ঠাকুরবাড়ির একটি অতি অবশ্যকীয় নিত্যকর্ম। এই আরতি বিগ্রহের সন্মুখে খোল করতাল সহযোগে পরিবেশন করা হয়। 

অধিবাস কীর্তন

অধিবাস কীর্তনও বন্দনা কীর্তনের একটি প্রকার। এই কীর্তনের প্রবর্তক স্বয়ং চৈতন্যদেব। পরের দিন যদি অষ্টপ্রহর কীর্তনের সঙ্কল্প থাকে, তাহলে আগের দিন সন্ধ্যায় অধিবাস কীর্তন অবশ্য কর্তব্য। বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান সাঙ্গ হলে অধিবাস কীর্তন শুরু হয়। মোট পাঁচটি কীর্তন অনুষ্ঠানে পরিবেশন করা হয়। তার মধ্যে নামকীর্তন, বৃন্দাবন-লীলা ইত্যাদি স্থান পায়। 

লীলাকীর্তন

পদাবলী কীর্তনের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও প্রচলিত ধারাটি হল লীলাকীর্তন। বৈষ্ণব ভক্তসকল মনে করেন, ঈশ্বরের যত লীলা আছে তার মধ্যে সর্বোত্তম হল নরলীলা- অর্থাৎ শ্রীকৃষ্ণরূপী লীলা। বৃন্দাবন ধাম হল সেই লীলাভূমি, যেখানে আদি অনন্তকাল ধরে শ্রীকৃষ্ণ তাঁর সঙ্গে সম্পর্কিত মা যশোদা, নন্দ মহারাজ, সখা-সখী, গোপ-গোপী, নদী, পশুপাখি ও সর্বোপরি শ্রীরাধার সঙ্গে দিনযাপন করেছেন। সেই সব দিনগুলির বর্ণনাস্বরূপ যে কীর্তন রচিত হয়েছে সেগুলিই লীলা কীর্তন। মনে করা হয় শ্রীকৃষ্ণ বৃন্দাবনে আজও লীলা করে চলেছেন– এর ক্ষয় নেই, অসীম অনন্ত এই লীলা। 

পালাকীর্তন 

পালাকীর্তন হল লীলাকীর্তনের একটি বিশিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রকার। পালাকীর্তনে নাট্য গুণাবলি বর্তমান। বহু বৈষ্ণব কবি বা পদকর্তা লীলার পর্যায়কে অবলম্বন করে রাগ, সুর, তাল, লয় সম্বলিত সহস্রাধিক পদ রচনা করেছেন। নাট্য গুণসম্পন্ন হলেও কিন্তু নাটকের মতো কুশীলব বিশিষ্ট পরিবেশনা এতে হয় না। এতে একজন মূল গায়ক কয়েকজন দোহার, শ্রীখোল বাদক ও করতাল বাদক সহযোগে পালাকীর্তন পরিবেশন করেন। সেখানে তিনি নিজেই সমস্ত চরিত্রাভিনয় করেন। কীর্তন গান ও ব্যাখ্যা সহ। পালা কীর্তন বৈষ্ণবীয় চৌষট্টি রসের গান।

Kirtan Table
শ্রীখোল আর হারমনিয়ম কীর্তনের একনিষ্ঠ সঙ্গত

সূচক কীর্তন

এটিও লীলাকীর্তনের একটি প্রকার। তবে এতে রাধাকৃষ্ণ প্রেম বিষয়ক পদাবলী স্থান পায় না। বস্তুতঃ বৈষ্ণব গুরু, মহাজন – এঁদের মৃত্যু তিথিতে, তাঁদের কার্যকলাপকে মনে রেখে যে সব চরিত পদ পরিবেশিত হয় তাকেই বলে সূচক কীর্তন। এই কীর্তন প্রচার বা প্রসারের কাজে কখনওই ব্যবহৃত হয় না। 

দ্বাদশ শতাব্দীর পরে কবি জয়দেবের ‘গীত-গোবিন্দমের’ দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে বাংলার বৈষ্ণব কবিভক্তরা যে পদাবলী রচনায় ব্রতী হয়েছিলেন, তার ধারা আজও অব্যাহত। এক সময়ে এই সকল পদাবলী কীর্তন জনপ্রিয়তার শিখর ছুঁয়ে বাংলার ভক্তিমূলক সংগীতের একমাত্র নিদর্শনে পর্যবসিত হয়েছিল। এর মধ্যে বন্দনামূলক কীর্তন বৈষ্ণব আচার অনুষ্ঠানের আওতাধীন হয়ে বৈষ্ণব দেব দেউলে পরিবেশিত গান হিসেবে পরিচিতি পেল। অন্যদিকে লীলাকীর্তন শুধুই ভক্তিমূলক সংগীত হিসেবে না থেকে, মনোরনঞ্জনকারী গান বলেও জনসাধারনের মধ্যে জায়গা করে নিল। তাই লীলাকীর্তন জনপ্রিয়তার চরম শিখরে উন্নীত হতে সক্ষম হল। সেই জনপ্রিয়তা আজ হয়তো সামান্য কমেছে বলে মনে হলেও বাঙালি মনে এর আসন কিন্তু অটল রয়েছে, তা নাহলে বাংলা জুড়ে আজও কীর্তনের আসরগুলিতে দর্শক-শ্রোতার এমন সমাগম দেখা যেত না। সেই উৎসকাল থেকে বাংলার পদাবলী কীর্তন বারবার যেভাবে নিজেকে অভিযোজিত, পরিশীলিত ও পরিবর্তিত করে যুগোপযোগী করে তুলেছে– এযুগেও তার অন্যথা হবে না– আমরা আশাবাদী।

তথ্যসূত্র: 

১। চক্রবর্ত্তী জনার্দন; রাধাতত্ত্ব ও চৈতন্য সংস্কৃতি; ১ম সংস্করণ। 
২। চক্রবর্ত্তী মৃগাঙ্ক শেখর; বাংলার কীর্তন গান; প্রথম প্রকাশ।
৩। দাস পিতাম্বর; অষ্টরস ব্যাখ্যা ও রস মঞ্জরী; ২য় সংস্করণ। 
৪। রায় অশোক (সম্পাঃ); মিত্র কঙ্কণা; পুনে বঙ্গদর্পন; কীর্তন গানের সাতকাহন; উৎসব সংখ্যা: ১৪২১।

*ছবি সৌজন্য: Wikiwand, Indian Express, Sikhnet

ডঃ কঙ্কণা মিত্রের পেশা অধ্যাপনা। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কণ্ঠসঙ্গীত বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তিনি। তবে গান তাঁর প্রাণের জিনিস। বাংলার পদাবলী কীর্তন নিয়ে গবেষণা করছেন দীর্ঘদিন ধরে। ইউজিসি-র মেডরে রিসার্চ প্রজেক্ট প্রাপ্ত কঙ্কণা বহু জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক জার্নালে নিয়মিত লেখালিখি করেন। তিনি আকাশবাণী ও দূরদর্শনের পরিচিত শিল্পী।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *