উপকথায় স্বীকারোক্তি
আলগা হয়ে যাওয়া পাতাগুলোর কাছে শেষবেলায়।

 চৌহদ্দির ছাউনির নিচে বৃদ্ধ পাতা তার মৃত্যুর পরেও
আড়াল করে আছে একবয়সী লাল অবিকল পরের জীবনেরে, বেনের তলায়;
যেভাবে মঞ্জরির গর্ভে ছিল লুকানো কাল প্রভাতেও। 

একা মহীরুহ সৃষ্টিরে কাঁধে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে খোয়াবের উঠোনে,
হরিয়ালের সমস্ত খাঁই মেটানোর পর
একফালি শান্ত ছায়ারে নিশ্চিত দাদন দিয়ে;
বাকি সবটুকু ছায়া হারিয়ে আছে, পড়ে আছে নুয়ে!
কেবল কামুক রোদ উঁকি মারে উঠোনের পাড়ে লুকোচুরির উষ্ণতায়।
তাও প্রজন্ম আসবে বলে যায় রোজ বিহানে নীরবে, আবডালে।

আমিও কাছাকাছি অই একফালি ছায়াটির অনেকটা আঁকড়ে আছি
আমার সৃষ্টির ফলনের হয়ে, প্রকাণ্ড একই সব ছায়াগাছের মতন
যে ছায়া শুধু নিজেরেই দেখতে পায় না তার অঙ্গজ ছাড়া;
হয়তো জানতেও চায় না তার অস্তিত্ব নিজের কাছে।

কোনও আলো তারে মুছে দিতে পারেনি কখনও, কোনওভাবে,
শেষের ভরসাটুকুও না।

 

*ছবি সৌজন্য: Pixabay

শাদা কাদামাটি ছদ্মনামে কবিতা লেখেন। জন্ম নদিয়া জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামে। অনেকদিন ধরে চাকরিসূত্রে দিল্লিতে বসবাস। ছোটবেলা থেকেই শুধু কবিতার প্রতি আগ্রহ। কবিতা লেখার শুরু। “মন প্রতিভাস” নামে একটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। নিয়মিত লেখেন ছোট পত্রিকায় এবং পোর্টালে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *