চরিত্র

কাচ‘-এর স্বতন্ত্র কয়েকটি বৈশিষ্ট্য আছে,
উত্তাপ পেতে পেতে অবশেষে গলে যায়,
দীর্ঘদিন অব্যবহৃত থাকার ফলে কাচে ধুলো জমে;
আয়নার কাঁচে প্রতিবিম্ব ফুটে ওঠে,
আতস কাচে সূক্ষ্ম বস্তুর গঠন জানা যায়
হঠাৎ বাহ্যিক ঘর্ষণে কাচে দাগ লাগে,
একবার দাগ লেগে গেলে তা আর ওঠে না
মোটা কাচের ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনা অপেক্ষাকৃত কম

একথা অনস্বীকার্য,
হিরের টুকরো ছাড়া কাচ কাটা যায় না।

ইজারা

ভালবাসার শতদল মূর্ছা গেছে,
এখন শুধু কাগজফুলে প্রেম হয়;
যবনিকা পড়ে যৌবনের, জোয়ারে আঁচড় কাটে না,
শুধু তেতো পিন্ডির মতো ঝরে পড়ে ঠোঁটের কিনারে।

রঙিন বাতিঘর শুঁয়োপোকার মতো,
মফসসল থেকে ছুট্টে আসে বাদুড়;
ছাপ্পান্ন ইঞ্চির ছাতি, ছত্রাকের প্রাচীর মৌনস্থবির
মস্তানের দস্তানায় নিষ্পাপের দীর্ঘশ্বাস,
ভ্রষ্টাচারের ইজারায় পিঁপড়ের সফর,
অ্যামিবার দেহে পেরেক ঠুকে হাঙরের ফিস্ট চলছে অহরহ।

উন্নত ফসলের ক্ষেত, বিবর্তন, খাজনার ক্ষুর আঘাত দিয়ে যায়
একান্নবর্তী দাওয়ায় গড়িয়ে পড়ে পিপাসাসিন্ধুর অনুপম ফোঁটাগুলি;
সুদ-কষা, পাটিগণিতের খাতা, শিক্ষিত যুবক শস্যের ছবি আঁকো
নিপাট ভদ্রলোক, পোশাক খুলে নেমে এস তর্কের মাটিতে
এ যুগে কুম্ভকর্ণের প্রয়োজন নেই
সংক্ষিপ্ত বক্তব্য শেষে জেনে নাও সিঁড়ি
কীভাবে পৌঁছে যাওয়া যায় আরোগ্য দর্পণে।

 

*ছবি সৌজন্য: Pixabay

রোনক বন্দ্যোপাধ্যায় লালমাটির সন্তান। তাঁর জন্ম বাঁকুড়ার বিবড়দা গ্ৰামে। বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি নিয়ে কলেজে পাঠরত। পড়াশোনার পাশাপাশি ছোটবেলা থেকে লেখালেখির প্রতি গভীর আগ্ৰহ। এই সময়ের বিভিন্ন লিটল ম্যাগাজিনে নিয়মিত কবিতা ও গল্প প্রকাশিত হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *