এখন চিঠি মানেই নস্টালজিয়া। অফিশিয়াল লেটার ছাড়া আমরা চিঠি লিখি না আর। তাও সেই চিঠি চলে ইমেলে। হাতে লেখা চিঠি পাওয়ার যে সুখ, চিঠি লেখার যে সুখ, সেই সুখকে আমরা স্রেফ সময়ের অভাবে বা যুগের তৎপরতায় হারিয়ে ফেলেছি। মেসেঞ্জার বা হোয়াটসঅ্যাপে ছোট ছোট মেসেজেই আমরা এখন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছি। আত্মীয়, বন্ধুর সঙ্গে দেখা করতে কবে যাব, বা নিজেদের ব্যক্তিগত কথাবার্তা চালাচালি বা প্রেম… সেও এখন ইন্সট্যান্ট কফির মতো হাতে গরম। কে, কবে, কার চিঠি আসবে বলে অপেক্ষা করে বসে আছে আর! ফলে চিঠি, তোমার দিন গিয়াছে। তোমাকে আমরা ইতিহাস বানিয়ে দিলাম। তোমাকে নিয়ে মাখোমাখো আবেগভরা কিছু শব্দ অবশিষ্ট রইল শুধু।

এই তো সেদিন হর্ষ নেটিয়ার এক টুইট ভাইরাল হল। ১৯৭৩ সালের ৫ জুলাই তৎকালীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী চিঠিটি লেখেন শিল্পপতি জামশেদজি টাটাকে। টাটার তরফ থেকে সুগন্ধী উপহার পেয়ে ইন্দিরা ধন্যবাদ জানিয়ে তাঁকে লেখেন, বর্তমানে তিনি শখশৌখিনতা থেকে দূরে থাকেন। তবুও তিনি এই সুগন্ধী ব্যবহার করবেন। যে কোনও সময়ে সাক্ষাতের আমন্ত্রণ রইল টাটার, সেই সময়ে আলাপ আলোচনা নিশ্চই হবে। এই সূত্রে অবধারিতভাবে মনে পড়ে জহরলাল নেহেরুর এক গুচ্ছ চিঠির কথা, যা বই আকারে প্রকাশিত হয়েছিল “লেটারস ফ্রম এ ফাদার টু হিজ ডটার” নামে। ১৯২৮ সালে, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের সময়ে, জওহরলাল নেহেরুকে এলাহাবাদ কারাগারে পাঠানো হয়। তাঁর মেয়ে ইন্দিরার বয়স ছিল তখন দশ বছর। ইন্দিরা তখন মুসুরি নামের একটি ছোট শহরে দিন কাটাচ্ছিলেন। দূরত্বের কারণে এক পিতা তাঁর মেয়ের সঙ্গে আত্মিক যোগাযোগ বজায় রেখেছিলেন এই চিঠির মাধ্যমেই। নেহেরুর লেখা চিঠিগুলো শুধু উত্তম লেখনীই ছিল না! তা ছিল বিশ্বের কার্যাবলীর বিবরণ, যার মাধ্যমে শত মাইলের দূরত্বে থেকেও তিনি হয়ে উঠেছেন একজন শ্রেষ্ঠ পিতা। একটি চিঠিতে নেহেরু তার মেয়ে ইন্দিরার তেরোতম জন্মদিনে লিখেছেন- “নাইনির জেল থেকে আমি তোমাকে কিইবা উপহার দিতে পারি? কোনও জিনিসপত্র তো আমি উপহার হিসেবে দিতে পারছি না। তাই আমার উপহার হবে মনন এবং আত্মার।”
সময়কাল ধরে আর একটু এগিয়ে আসি বরং এবার। ১৯৪৩ সালে ব্রিটিশ বাহিনীর হাতে বন্দি হলেন মহাত্মা গান্ধী। সেই সময়ে মুক্তির দাবি জানিয়ে ভারত সরকারের অতিরিক্ত সচিবকে উদ্দেশ করে আত্মপক্ষ সমর্থন ও তাঁর অনুগামীদের সমর্থনে একটি চিঠি লেখেন গান্ধী। এই চিঠির স্বত্বাধিকারী অর্থের প্রয়োজনে চিঠিটি নিলামে তোলেন। স্রোপশায়ার শহরের মালোকসের নিলামকারী রিচার্ড ওয়েস্টউড ব্রুকস বিশ্বাস করেন, ভারতীয় নেতার এই চিঠি বিক্রির দাম একটি বিশ্বরেকর্ড। এই চিঠিটি লাডলোতে এক ভারতীয় সর্বোচ্চ মূল্যে কিনে নিয়েছেন। এই ব্যক্তি গান্ধীর সঙ্গে ভারতীয় স্বাধীনতাযুদ্ধে অংশগ্রগণ করেছিলেন বলে জানা যায়। গান্ধীর প্রসঙ্গে বলি, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু না-করার আহ্বান জানিয়ে মহাত্মা গান্ধী ১৯৩৯ ও ১৯৪০ সালে তৎকালীন জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাডলফ হিটলারকে একগুচ্ছ চিঠি লিখেছিলেন। যদিও সেই চিঠিগুলির অবস্থান ছিল ভস্মে ঘি ঢালার মতোই।
চিঠির শুরুতে হিটলারকে প্রিয় বন্ধু বলে সম্বোধন করে গান্ধী লিখেছিলেন, ‘আমি আপনাকে সৌজন্যের খাতিরে বন্ধু সম্বোধন করছি না। আমি আপনার শত্রু নই।’ হিটলারকে যেমন যুদ্ধ শুরু না করে শান্তিপূর্ণ সমাধান খোঁজার জন্য আহ্বান জানান তিনি, তেমন একইসঙ্গে ব্রিটিশ জনগণের প্রতি আহ্বান রাখেন অহিংস পন্থায় জার্মানি ও ইতালির বিরুদ্ধে আন্দোলন চালানোর জন্য! তিনি এও বলেন, যদি জার্মানি আক্রমণ করে তবুও যেন তারা অহিংস পন্থা ত্যাগ না করে।

হিটলারের উদ্দেশে মহাত্মা গান্ধী বলেন, ‘অহিংস পন্থা এমনই একটি পন্থা যেখানে হেরে যাওয়ার কোনও আশঙ্কা নেই, সে যদি আপনি আপনার দাবি আদায় না করতে পারেন, তবুও! কিন্তু সহিংস পন্থায় ‘হয় মারো নয় মরো’! আপনি এখানে অর্থব্যয় করবেন, বিজ্ঞানের কলাকৌশল ব্যবহার করবেন ধবংস করার উদ্দেশ্যে! আজ যদি এই যুদ্ধে ব্রিটেন হেরেও যায়, তবুও কোনও একজন আপনার প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়াবে এবং আপনার আবিষ্কৃত অস্ত্র আপনার বিরুদ্ধেই ব্যবহার করবে। মানুষ হত্যা করে আপনি আপনার জাতির জন্য এমন কোনও উদাহরণ সৃষ্টি করছেন না, যাতে পরের প্রজন্ম আপনাকে নিয়ে গর্ব করতে পারে। বরং আপনি তাদের মাথা নিচু করে দিচ্ছেন।’
স্বাধীনতা আন্দোলনে বাঙালির অবদান কিছু কম ছিল না। তেমনই এক চিরস্মণীয় বিপ্লবী মাস্টারদা সূর্য সেন। তাঁকে ১৯৩৪ সালের ১২ জানুয়ারি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার। মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগে মাস্টারদা সহযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তিনি লিখেছিলেন-
‘ফাঁসির রজ্জু আমার মাথার উপর ঝুলছে। মৃত্যু আমার দরজায় করাঘাত করছে। মন আমার অসীমের পানে ছুটে চলছে। এই তো আমার সাধনার সময়। এই তো আমার বন্ধু রূপে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করার সময়, হারানো দিনগুলোকে নতুন করে স্মরণ করার এই তো সময়। আমার বন্ধুরা– এগিয়ে চল, এগিয়ে চল– কখনও পিছিয়ে যেও না। পরাধীনতার অন্ধকার দূরে সরে যাচ্ছে। ওই দেখা যাচ্ছে স্বাধীনতার নবারুণ। আমাদের সংগঠনে বিভেদ না আসে– এই আমার একান্ত আবেদন। যারা কারাগারের ভেতরে ও বাইরে রয়েছে, তাদের সকলকে জানাই আমার আশীর্বাদ। বিদায় নিলাম তোমাদের কাছ থেকে।’

আর দীনেশ গুপ্ত— মাত্র ১৯ বছর বয়সে যাঁর ফাঁসি হয়, তিনি মৃত্যুর আগে মাকে লিখছেন আবেগমথিত এক চিঠি- ‘মৃত্যুটাকে আমরা এত বড় করিয়া দেখি বলিয়াই সে আমাদিগকে ভয় দেখাইতে পারে। এ যেন ছোট ছেলের মিথ্যা জুজুবুড়ির ভয়। যে মরণকে একদিন সকলেরই বরণ করিয়া লইতে হইবে, সে আমাদের হিসাবে দুই দিন আগে আসিল বলিয়াই কি আমাদের এত বিক্ষোভ, এত চাঞ্চল্য? যে খবর না দিয়া আসিত, সে খবর দিয়া আসিল বলিয়াই কি আমরা তাহাকে পরম শত্রু মনে করিব? ভুল, ভুল। মৃত্যু ‘মিত্র’ রূপেই আমার কাছে দেখা দিয়াছে। আমার ভালোবাসা ও প্রণাম জানিবে।’
ভারতের গণ্ডি ছাড়িয়ে এবার বিশ্বের দরবারে চোখ রাখি। ১৯৬৩ সালের ১৬ এপ্রিল বার্মিংহামের জেলে বসে একটি চিঠি লেখেন মার্টিন লুথার কিং।
‘…আমি বার্মিংহামে আছি কারণ এখানে অবিচার রয়েছে। ঠিক যেমন খ্রিস্টপূর্ব অষ্টম শতাব্দীর ভাববাদীরা তাদের গ্রাম ছেড়ে, শহর ছেড়ে অনেক দূরে চলে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, যেভাবে পল টারসাসের গ্রাম ছেড়ে যিশুর বাণী প্রচার করেছেন গ্রিক-রোমান পৃথিবীতে, সেভাবে আমি পলের মতো ম্যাসিডোনিয়ান আর্তি বহন করছি। আটলান্টায় আমি অলসভাবে বসে থাকতে পারি না এবং বার্মিংহামে কী ঘটে যায় তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হতে পারি না। আমরা আর কখনও সংকীর্ণ, প্রাদেশিক “বাইরের আন্দোলনকারী” ধারণা নিয়ে বেঁচে থাকতে পারি না। আমেরিকার অভ্যন্তরে যাঁরা বাস করেন তাঁদের কখনই এর সীমানার বাইরের লোক হিসাবে বিবেচনা করা যায় না।…’

১৯৪০ সালে বারো বছরের বালক ফিদেল কাস্ত্রো রেডিওতে সদ্য নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্র্যাংকলিন রুজেভেল্টের ভাষণ শুনে একটি চিঠি লেখেন। সম্বোধনে ‘আমার প্রিয় বন্ধু রুজভেল্ট’ দিয়ে শুরু করেন, এরপর তিনি লেখেন যে তাঁর ইংরেজি তত ভাল নয়, তবে তিনি বালক হলেও চিন্তা করতে পারেন। এহেন বালক কাস্ত্রোর চিঠিটি যদিও প্রেসিডেন্টের হাতে পৌঁছয়নি, তবে পরবর্তীকালে তাঁকে লেখা চে গুয়েভারার একটি চিঠি বিশ্ববন্দিত হয়ে থেকে যায়। ১৯৬৫ সালের ৩ অক্টোবর সদ্যোজাত কিউবার কমিউনিস্ট পার্টির পরিচিতিমূলক এক গণসমাবেশে কাস্ত্রো এই চিঠিটি পড়ে শোনান। চের স্ত্রী ও সন্তানদের উপস্থতিতে কাস্ত্রো ঘোষণা করেন, ‘আমি এমন একটি চিঠি পাঠ করতে যাচ্ছি, যে হাতে লেখা চিঠিটি আমি পেয়েছি এর্নেস্তো গুয়েভারার কাছ থেকে এবং পরে এটিকে টাইপ করা হয়েছে এবং চিঠিটি স্বব্যাখ্যাত… চিঠিটিতে কোনও তারিখ নেই, কারণ চিঠিটি পড়ার কথা সবচেয়ে সুবিধাজনক কোনও সময়ে। চিঠিটি প্রকৃতপক্ষে প্রেরিত হয়েছিল এ বছরের পয়লা এপ্রিল।’ এই পত্রপাঠই কিউবা থেকে গেভারার অন্তর্ধান-রহস্যের প্রথম সরকারি ব্যাখ্যা।

ফিদেল,
এই মুহূর্তে অনেক কিছুই মনে পড়ছে আমার− মারিয়া অ্যান্তোনিওর বাসায় যেদিন প্রথম আপনার সঙ্গে দেখা হল, যখন আপনি আহ্বান জানালেন বিপ্লবের প্রস্তুতির সঙ্গে জড়িত সকল উত্তেজনায় আমিও যেন অংশ নিই। একদিন কারা যেন জানতে চাইল আমাদের মৃত্যুর সংবাদ কাকে আগে অবহিত করতে হবে, এবং ঘটনাটার বাস্তবিক সম্ভাবনা আমাদের সবাইকে বিচলিত করে তুলল। পরে আমরা জেনেছি, বিপ্লবের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সত্য হল কেউ হয় জিতবে অথবা মৃত্যুবরণ করবে (যদি তা হয় প্রকৃত বিপ্লব), এভাবেই বিজয়ের যাত্রাপথে শহিদ হন অগণিত কমরেড।
আমি আনুষ্ঠানিকভাবে পার্টির নেতৃত্ব, মন্ত্রীর পদ, কমান্ডারের পদমর্যাদা এবং কিউবার নাগরিকত্ব থেকে নিজেকে বিযুক্ত করছি। আইনগত কোনও কিছুই আর কিউবার সঙ্গে আমাকে সম্পর্কযুক্ত করবে না। অতীতের দিকে তাকিয়ে আমি বিশ্বাস করি, বৈপ্লবিক বিজয়কে সংহত করার জন্য প্রয়োজনীয় সততা এবং যথাযথ নিষ্ঠা নিয়েই আমি কাজ করেছি। আমার একমাত্র ব্যর্থতা সিয়েরা মিস্ত্রার প্রথম সময়গুলোয় আপনার প্রতি আমার আস্থার অভাব, এবং নেতা ও বিপ্লবী হিসেবে আপনার যোগ্যতাকে দ্রুত উপলব্ধি করতে পারার অক্ষমতা। পৃথিবীর অন্য জাতিগুলো আমার ঐকান্তিক সংগ্রামের পথ চেয়ে আছে। তাদের ডাকেই আমি সাড়া দিচ্ছি, যদিও কিউবার রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার কারণে এ কাজে অংশ নেওয়া আপনার পক্ষে এ মুহুর্তে সম্ভব নয়। আমাদের বিচ্ছিন্ন হওয়ার সময় তাই এসে গেছে।
এ কথা আমি জানাতে চাই, এই বিচ্ছেদ আমার জন্য একই সঙ্গে আনন্দ ও বিষাদের। একজন নির্মাতা হিসেবে এই রাষ্ট্রের প্রতি আমি রেখে যাচ্ছি আমার বিশুদ্ধতম প্রত্যাশা এবং আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষদের কয়েকজনকে। আমি লড়ব সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে, যেখানেই থাকি না কেন। এ বিষয়ে আমার তিলমাত্র লজ্জা নেই, যে আমার স্ত্রী এবং সন্তানদের জন্য বৈষয়িক কোনও কিছুই রেখে যেতে পারলাম না; আমি সুখী, এটাই সে রাস্তা। তাদের জন্য অতিরিক্ত কিছুই আমি চাই না, কারণ জীবনধারণ আর শিক্ষাগ্রহণের জন্য রাষ্ট্রই যথেষ্ট দেবে তাদের। আপনাকে এবং আমাদের জনগণকে অনেক কিছুই আমি বলতে পারতাম, কিন্তু আমার মনে হচ্ছে তার কোনও প্রয়োজন নেই। শব্দের কাছে আমি যা প্রত্যাশা করি তা প্রকাশের সামর্থ্য তার নেই, এবং এও আমার মনে হয় না যে লিখে, পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা ভরিয়ে তোলার কোনও মানে আছে।
আমার সমস্ত বিপ্লবী স্পৃহা দিয়ে আপনাদের আলিঙ্গন করছি।
চে
এবার মধুরেণ সমাপয়েতের পালা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আইসেনহাওয়ারকে রানি এলিজাবেথ ১৯৫৯ সালে স্কটল্যান্ডে এক ভোজে আমন্ত্রণ করেন। সেই ভোজসভায় রানির ড্রপ স্কোনস-এর স্বাদ প্রেসিডেন্ট ভুলতে পারেননি। এই ভোজের পাঁচ মাস পরে ১৯৬০-এর ২৪ জানুয়ারি রানি প্রেসিডেন্টকে ড্রপ স্কোনসের রেসিপি নিয়ে একটি চিঠি লেখেন। ১৬ জনের খাবার মতো রেসিপিটি ছিল। কম পরিমাণ করতে গেলে ময়দা আর দুধের পরিমাণ কমাতে হবে— এও উল্লেখ করেছিলেন রানি।
ফলে নানাভাবে, নানা আবেগে, রাষ্ট্রবিপ্লবে, এইরকমভাবেই আজও চিঠি জড়িয়ে রয়েছে আমাদের জীবনের অঙ্গ হয়ে, শেষ হয়েও যা হইল না শেষ…। নস্টালজিয়াই হোক বা ইতিহাস, চিঠি এক গুরুত্বপূর্ণ দলিল হয়ে রয়ে যাবে, এ কথা অস্বীকারের আজ কোনও উপায় নেই।
ছবি সৌজন্য: Amazon, Facebook, Youtube
তুষ্টি হুগলি জেলার শেওড়াফুলির বাসিন্দা এবং বোটানিতে স্নাতক। গদ্য ও কবিতা লেখায় সমান আগ্রহ। প্রকাশিত কবিতার বইয়ের সংখ্যা তিন - ভিজে যাওয়া গাছ, ব্ল্যাক ফরেস্ট ও এরিসেডের আয়না। গদ্যের বইয়ের নাম পদাবলি।
ভালো লাগল।
ভালবাসা নিও বিতস্তা