উত্তরায়ণের সামনের রাস্তায় এক পথিক। উস্কোখুস্কো চুল, শ্রান্ত চেহারা। হঠাৎই সঙ্গে ছ’জন দেহরক্ষী নিয়ে সেখানে উদিত হলেন শ্বেতশুভ্র কেশ আর পুরুষ্টু গোঁফের গুলপতি। কিছুদিন হল ভুবনভবতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নিজের ঘরের দরজার মাথায় বড় বড় হিন্দি হরফে ‘কুলপতি’ লেখা বোর্ড লাগিয়েছেন। না না, ইনি তিনি নন। দূর থেকে খানিকটা একরকম লাগলেও নয়। কোনও সম্পর্কই নেই। ইনি গুলপতি।
পথিক: মশাই একটু রবিঠাকুর কোথায় পাই বলতে পারেন?
গুলপতি: রবিঠাকুর? রবিঠাকুর এখন কোথায় পাবেন? এ তো রবিঠাকুরের সময় নয়। তাঁকে আমি ‘বহিরাগত’ বানিয়ে দিয়েছি। বাজের গুড়ুম বা বিদ্যুতের ঝলক চান তো দেখাতে পারি।
পথিক: সেসব দেখতে তো শান্তিনিকেতনে আসিনি। এসেছি উদিচী, উদয়ন, কোণার্ক, শ্যামলী, পুনশ্চ দেখতে, ছাতিমতলায় দাঁড়াতে, আম্রকুঞ্জে বসতে, পাঠভবন, কলাভবন, সঙ্গীতভবন ঘুরতে, শ্রীনিকেতনেও যাবার ইচ্ছে ছিল। কিন্তু সব জায়গায় দেখছি দারোয়ান দাঁড়িয়ে। তারা চোখ পাকিয়ে বলছে ‘সব বনধ্ হ্যায়।’ শুনে কেমন ধন্দ লাগে। একি আশ্রম, না কূপিত পাষাণ! ঢুকতে পারছি না, তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে কাচ-মন্দিরের ছবি তুলতে গিয়েছিলুম। দুটো ষণ্ডামতো লোক কোত্থেকে ছুটে এসে আমার ফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে লাগল। তাদের হাত ছাড়িয়ে কোনওমতে পালিয়ে এসে রবিঠাকুরকে খুঁজছি, একটা বিহিত চাইব বলে। তা আপনি বলছেন, রবিঠাকুরকে বহিরাগত করে দিয়েছেন!
গুলপতি: করব না! যে লোক লেখে ‘চিত্ত যেথা ভয়শূন্য, উচ্চ যেথা শির’, সে যে সন্ত্রাসবাদী নয়, বুঝব কী করে? তাকে তো এখুনি ইউএপিএ অ্যাকটে অ্যারেস্ট করে স্ট্যানস্বামী করে দেওয়া উচিত! আমি তো উচ্চশির দেখলেই ‘কুচল দুঙ্গা’ ফরমান দিই। সে তুমি, ছাত্র, অধ্যাপক, গবেষক, ডাক্তার, প্রহরী যে-ই হও। আমার সামনে মাথাটি উঁচু করেছ, কী করবে বলে ভাবছ, ম্যায় কুচল দুঙ্গা। সব মিলিয়ে কতজনকে সাসপেন্ড করেছি জানেন? হাঃ, হাঃ, একশোর কম হবে না। যা কোর্টে যা। পকেটের পয়সা খরচ করে মামলা লড়ে ফতুর হ’। আমি তো উকিলের বিল মেটাব ইউনিভার্সিটি ফান্ড থেকে! উচ্চশির-ফুচ্চশির এখানে একদম চলবে না।
মুশকিল হল, কবি তো আর আমার পে-রোলে নেই। সাসপেন্ড করতে, কি টার্মিনেট করতে একটু অসুবিধে হচ্ছিল। তাই বহিরাগত করে দিয়েছি। ঠ্যালা বোঝ। ওই নাশকতার কবিতায় প্রাচীর, খণ্ড, ক্ষুদ্র নিয়েও কী সব লাইন আছে না? আরে মশাই, সেন্টারের ইউনিভার্সিটি, সেন্টারের টাকায় সেই সম্পত্তিতে পাঁচিল দিচ্ছি, গেট বসাচ্ছি, তাতে কার কী? আসলে আপনাদের মতো এইসব আপদ– আশ্রমিক, প্রাক্তনী, ট্যুরিস্ট– তাদের জন্যেই যত ঝঞ্ঝাট। আমি কাচ-মন্দিরের কর্তা। সেখানে বসে আমি কী বলব না বলব, তার জন্যে কৈফিয়ৎ দিতে হবে নাকি?
দিনের পর দিন উপাসনার সময়ে আমি কী বলছি না বলছি, ফোনে সব রেকর্ড করত। তারপর সেগুলো ফোন থেকে ফোনে ছড়াত, ঘুরত সোশাল মিডিয়ায়। জঘন্য। যেখানে যাচ্ছি, লোকে জিজ্ঞেস করছে, আপনি নাকি মন্দিরের উপাসনায় বসে বোলপুরের ব্যবসায়ীদের গালাগালি করেছেন? অমুক ভাষণে নাকি বলেছেন, সংবিধানে ধর্ম-নিরপেক্ষতা শব্দটা ঢোকানো হয়েছে ভুল করে, ওটা বাদ দিতে হবে? মিছিলে হাঁটতে হাঁটতে নাকি গুন্ডা ডেকেছেন? এসব কথা ছড়াতে ছড়াতে দিল্লি পৌঁছে গেল! ধ্যাত্তেরিকা।

সাফ বতা দিয়া, নো ফোন ইন মন্দির। গোটা জায়গাটাই নো ফটোগ্রাফি জোন। করোনার জুজু দেখিয়ে ছাত্রছাত্রীদের দূরে রেখেছি এক বছরেরও বেশি। অনুষ্ঠান হবে, কিন্তু তাতে থাকবে শুধু আমার দলবল, আর কেউ না। নো অবাধ্য ছাত্র, নো বেয়াড়া অধ্যাপক, নো ত্যাঁদড় আশ্রমিক, নো হাই-প্রোফাইল প্রাক্তনী, নো ফাজিল ট্যুরিস্ট, আর হ্যাঁ, অবশ্যই নো ইন্ট্রুডিং সাংবাদিক। নে, এবার কী করবি কর।
পথিক: সবই তো বুঝলুম। কিন্তু ভাবছিলুম, রবিঠাকুরকে বহিরাগত বানালে শান্তিনিকেতনের কী পড়ে থাকে, আর আপনার ইউনিভার্সিটিরই বা কী বাকি থাকে?
গুলপতি: এত বোঝালাম, এখনও রবিঠাকুর রবিঠাকুর করে যাচ্ছেন! নাঃ, আপনাকেই দেখছি অ্যারেস্ট করাতে হবে। মন্দিরের ছবি তোলার চেষ্টা করছিলেন, এখন উত্তরায়ণের সামনে আমার পথ অবরোধ করছেন! নিজের ভাল চান, তো মাথা নিচু করে এখুনি চলে যান।
পথিক: ঘাট হয়েছে মশাই, আপনার সঙ্গে কথা বলাই আমার অন্যায় হয়েছে।
গুলপতি: অন্যায় তো হয়েছেই। দেখছেন পাইপ-চুরি কমিটির মিটিংয়ে যাচ্ছি। রবিঠাকুর রবিঠাকুর করছেন কেন? রবিঠাকুর কি পাইপ চুরি আটকাতে পারতেন? নোবেল চুরিই ঠেকাতে পারলেন না, তো পাইপ চুরি! হুঁঃ, লোকের সঙ্গে কথা কইতে গেলে একটু বিবেচনা করে বলতে হয়। না পারেন, তো সোনাঝুরির হাটে বসে বাউল গান শুনুন গে যান।
ছ-জন দেহরক্ষী নিয়ে গটমটিয়ে এগিয়ে গেলেন গুলপতি। পথিক হাঁটতে শুরু করলেন আবার। কয়েক পা এগোতেই দেখেন আনমনা এক প্রবীণ আসছেন, কী যেন ভাবতে ভাবতে। তাঁর দৃষ্টি উদাসীন, দেখছেন কিন্তু দেখছেন না। পথিকের একটু চেনা-চেনা লাগল। সামনে গিয়ে জিজ্ঞেস করলেন:
পথিক: মশায়ের নাম কি ভাবুকদাদা?
ভাবুকদাদা: অ্যাঁ! না না। আমি তো রসায়ন শাস্ত্রী।

পথিক: আচ্ছা শাস্ত্রীমশাই, কোথায় একটু রবিঠাকুর পাই বলতে পারেন?
শাস্ত্রীমশাই: অ্যাঁ! বলেন কী! পাইপ ঠাকুর কোম্পানির ছিল? তা আমি কী করে জানব বলুন তো? ডিপার্টমেন্টের টয়লেটে কোন কোম্পানির পাইপ লাগানো, তা কেউ কখনও দেখে? কিন্তু সে পাইপ চুরির পর থেকে কী মুশকিল। গুলপতির হুকুম, ভবনের অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া কেউ ডিপার্টমেন্টে ঢুকতে পারবে না। অনুমতি চাইবেন বিভাগীয় প্রধানরা। তাঁরা প্রথমে অনুমতি নেবেন, তারপর সারাদিন ধরে হিসেব রাখবেন কে ডিপার্টমেন্টে আসছে, কতক্ষণ থাকছে, কখন যাচ্ছে। হেডরা সকলে মিলে বলল, তার জন্যে তো সিকিউরিটি অফিসার আছে। পাইপ চুরি হয়েছে, তো তাকে তলব করা হোক। আমরা ছাত্র পড়াব, না দারোয়ানি করব?
গুলপতি মুখের ওপর বলে দিলেন, পড়াবেন সে যোগ্যতা আছে? আগে দারোয়ানিটা শিখুন ভাল করে। শুনে হেডরা সব দল বেঁধে কান লাল করে বলল, ও কাজটি পারব না। সবাই বরং একসঙ্গে ইস্তফা দেব। কী মুশকিল, সম্পূর্ণ অচলাবস্থা। গুলপতি আজ আবার মিটিং ডেকেছেন। দেখি, নতুন কী বলেন! তার মধ্যে আপনি বলছেন পাইপ ছিল ঠাকুর কোম্পানির। সে পাইপের বুঝি অনেক দাম?
পথিক: পাইপ নয়, পাইপ নয়। জিজ্ঞেস করেছি, কোথায় পাই? একটু রবিঠাকুর পাই কোথায়?
শাস্ত্রীমশাই: পাই কোথায়? কী মুশকিল, পাই খুঁজছেন তো ম্যাথেমেটিক্স ডিপার্টমেন্টে যান। কেমিস্ট্রিতে কেন? দিলে আমার দেরি করিয়ে। ওই তো, আলোকদীপ্ত আসছেন। উনি অর্থনীতির অধ্যাপক, অঙ্কটা ভাল বোঝেন। দেখুন, পাই কোথায় বলতে পারেন কিনা।
স্তম্ভিত পথিককে পিছনে ফেলে হনহনিয়ে এগিয়ে গেলেন রসায়ন শাস্ত্রী। ততক্ষণে কাছে চলে এসেছেন অধ্যাপক আলোকদীপ্ত। এসেই পথিককে জিজ্ঞেস করলেন:
আলোকদীপ্ত: কী বলছিলেন রসায়ন শাস্ত্রী? মাইনে চুরি গেছে তো?
পথিক: সে কী! হল কী করে? এখন তো নগদে কারও মাইনে হয় না!
আলোকদীপ্ত: সবটা বলেননি বুঝি? জানলে তো বলবেন। আমরা কেউই অবিশ্যি জানি না। আমি তো সেই জন্যে আরটিআই করে দিয়েছি। দিল্লি মাইনে পাঠিয়ে দিয়েছে, অথচ সে মাইনে আজ পর্যন্ত কারুর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা পড়ল না! গেল কোথায়, কে চুরি করল?
আরও পড়ুন: অভিজিৎ সেনের কলমে: ও কেন চুরি করে ‘গায়’
পথিক: না না, মাইনে চুরির কথা তো উনি কিছুই বলেননি। উনি বলছিলেন পাইপ চুরির কথা।
আলোকদীপ্ত: গুলপতির আমলে এখানে হরেক কিসিমের চুরিকাহিনি পাবেন। যে লোকটা বলতে পারে যে অমর্ত্য সেন জমি চুরি করেছেন, সে কী না পারে! পাইপ চুরি, মাইনে চুরি থেকে মেলার মাঠ চুরি, খোদ রবিঠাকুর চুরি! আহা, মনোজ বসু বেঁচে থাকলে ‘নিশিকুটুম্ব’-এর নতুন খণ্ড বেরিয়ে যেত।
পথিক: ও! রবিঠাকুর এখান থেকে চুরি গিয়েছেন! তাই তাঁকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না।
আলোকদীপ্ত: হ্যাঁ, চুরি হয়ে গিয়েছেন রবিঠাকুর। কে চুরি করল, তার কাছ থেকে রবিঠাকুরকে উদ্ধার করতে আমরা কী কী করছি, সে অনেক কথা। হাতে সময় থাকলে বুঝিয়ে বলতাম। কিন্তু আমাকে যে এখুনি সাসপেন্ড হওয়া ছাত্রদের ধরনায় একবার ছুটতে হবে। আমাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে ওরা গিয়েছিল প্রতিবাদ জানাতে। গুলপতি ওদের তিন জনকে ধরে তিন মাসের জন্যে সাসপেন্ড করে দিলেন। তিন মাস কেটে গেল, তবু সাসপেনশন ওঠে না। গুলপতি বলে দিলেন, ওরা মাওবাদী। বলে, আরও তিন মাস সাসপেন্ড। এসবের তো একটা বিহিত চাই। ছাত্রদের জন্যে তাঁর দরদ ছিল না, নাকি সেটাও চুরি গেছে, ঠিক বলতে পারব না। তা বলে আমরা তো আর চুপ করে বসে থাকতে পারি না! আমাদের যা যা করার সেগুলো করে যেতে হবে। হাতে সময় থাকলে আপনি বরং তরুমূলের মেলাদির কাছে যান। ওঁকে এখন খোয়াইয়ের দিকে পেতে পারেন। শুনে দেখুন না, তিনি কী বলেন।
আকাশ মেঘলা। পথিক হাঁটতে শুরু করলেন খোয়াইয়ের দিকে। মেলাদিকে খুঁজে পেতে বিশেষ অসুবিধে হল না। খোয়াই যেখানে হঠাৎ অনেকখানি নেমে গেছে, আর নিচে তিরতির করে বইছে জলের ধারা, সেদিকে মুখ করে মোরামের ওপর বসে আপন মনে তিনি গাইছিলেন:
এই দুয়ার-দেওয়া ঘরে
কভু আঁধার নাহি সরে,
তবু আছ তারি ‘পরে ও মোর দরদিয়া।
সেথা আসন হয় নি পাতা,
সেথা মালা হয় নি গাঁথা,
আমার লজ্জাতে হেঁট মাথা ও মোর দরদিয়া ॥
গান শেষ হতে তিনি ঘাড় ঘুরিয়ে পথিকের দিকে তাকালেন। বোঝা গেল, পথিকের পায়ের শব্দ তিনি আগেই টের পেয়েছেন। জিজ্ঞেস করলেন:
তরুমূলের মেলা: কী দরকার? আমার কাছে কেন?
গানের রেশে পথিক তখনও বিহ্বল। কোনো মতে বলতে পারলেন:
পথিক: রবিঠাকুর খুঁজতে খুঁজতে আপনার কাছে এসে পৌঁছেছি। মনে হচ্ছে ঠিক জায়গাতেই পৌঁছেছি।
তরুমূলের মেলা: ঠিক জায়গা কী গো! আমার গান গাওয়া তো বন্ধ করে দিয়েছে গুলপতি। আমরা, যারা ভবনে গান শেখাই, তারা ভবনের বাইরে কোনও অনুষ্ঠানে গাইতে গেলে নাকি কার না কার অনুমতি নিতে হবে। আমি বাপু অনুমতি-টনুমতির তোয়াক্কা করি না! এই তো জল, মাটি, গাছ, আকাশ-বাতাসকে গান শোনাচ্ছি। চিরকাল শুনিয়েছি, এখনও তাই। একটা ভয় অবশ্য হয়। আমরা কেউ যদি ভবনের বাইরে গানই না গাইতে পারি, তাহলে রবিঠাকুরের গান লোকের কাছে পৌঁছে দেওয়ার কাজটা যাদের হাতে ছেড়ে দিতে হয়, তাদের ওপর যে সব সময় ভরসা করা যায় না! কিন্তু কী আর করি বলো! গুলপতির তো ভাল কথা শোনার অভ্যেসই নেই। যাক, এসব কথার তো কোনও শেষ নেই। তা, তুমি আমার কাছে কী জন্যে এসেছ শুনি।

পথিক: ওই যে বললাম, রবিঠাকুর খুঁজতে খুঁজতে। যদি একটা হদিশ দেন।
তরুমূলের মেলা: তাঁকে কোথায় লুকিয়ে ফেলেছে, সে কী ছাই আমিও জানি! তবে কার কাছে যেন শুনছিলাম,
তেঁতুল বটের কোলে
দক্ষিণে যাও চলে॥
ঈশান কোণে ঈশানী,
কহে দিলাম নিশানী।
এর বেশি আর কিছু জানতে চেয়ো না বাপু। মানে মানে বিদায় হও। নইলে কখন আবার গুলপতির পেয়াদারা এসে তোমাকে তো ধরবেই, হেনস্থা করবে আমাকেও। এবার যাও দেখি, আমি আবার একটু গঙ্গাজলে গঙ্গাপুজো করি।
পথিক ফিরে গেলেন, আস্তে আস্তে মিলিয়ে গেলেন অন্ধকারে। দূর থেকে তখনও শোনা যাচ্ছে তরুমূলের মেলা গাইছেন:
‘তোমার কথা হেথা কেহ তো বলে না, করে শুধু মিছে কোলাহল
সুধাসাগরের তীরেতে বসিয়া পান করে শুধু হলাহল।’
*এই নাটিকার সব চরিত্র কাল্পনিক। বাস্তবে কারো সঙ্গে মিল নিতান্তই অনভিপ্রেত।
*ছবিসৌজন্য: cntraveller.in, thefederal.com, Pinterest
আদতে ছিলেন সাংবাদিক, তারপর কর্পোরেট কর্তা। অবসরের পর শান্তিনিকেতনে বসে লেখাজোকায় মন দিয়েছেন। বেশ কিছু প্রবন্ধ আর গল্প লিখেছেন আজকাল, অনুষ্টুপ আর হরপ্পা-য়। প্রথম উপন্যাস 'গোলকিপার' প্রকাশিত হয়েছে বাংলালাইভে। আপাতত ডুবে রয়েছেন ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে। আজকালের রবিবাসর ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত হচ্ছে তাঁর ধারাবাহিক রচনা - সিনেমাতলার বাঙালি।
Sadhu Sadhu
Excellent Description Regarding Current Situation Of World Famous Cultural University.
ধন্যবাদ লেখককে। আজকের শান্তিনিকেতনের প্রকৃত অবস্থা টা তুলে ধরার জন্য।
কি সুন্দর করে বলতে পারেন আপনি । নিম সত্যটাকে কি মজার করেই না লিখলেন। অবাক জলপান এর থেকেও এগিয়ে যায় ।
জুতো দুরকম ভাবে মারা যায়। প্রথমটা পা থেকে জুতোটা খুলে সরাসরি মারা। আর দ্বিতীয়টা হল রসগোল্লা খাওয়াতে খাওয়াতে কথার জুতো মারা। আপনি দ্বিতীয়টিতে সিদ্ধ হস্ত। এই মারাটা খুব দরকার, নিজেদের সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।