যখন জন্ম নেওয়ার ইচ্ছা বাড়তে বাড়তে আকাশ ছুঁচ্ছে,
যখন চাইছি মা-ডাক ডাকতে, গলার বিদ্যা সেই মুহূর্তে
খঞ্জ হচ্ছে, পঙ্গু হচ্ছে। অন্ধ গর্ভে আমায় তোমরা
খোঁজার জন্য পথ বানাচ্ছ। বাইরে সূর্য, বাইরে মৃত্যু,
অথচ আজ বের না হলে, জন্ম নেওয়ার ইচ্ছা কিন্তু
আকাশ থেকে প্রবল শব্দে নামতে নামতে ধুলোয় ভাঙবে!

জন্ম হচ্ছে; মায়ের শ্রীমুখ তীক্ষ্ণ ব্যথায় কাতরে উঠল।
একটা নাড়ি ছিন্ন হতেই স্বতন্ত্র হই রক্তপুতুল।
আমায় এবার দুধের ভাণ্ডে গরল দে গো কাত্যায়নী!
হাজার জন্মে দুধ পেয়েছি, এবার একটু গরল গিলে
এ শৈশবেই আত্মহনন ঘটুক। জন্ম নেওয়ার ইচ্ছা
পূর্ণ হল; অধিক জীবন ত্রাসের মতো, রোগের ভাঁড়ার।
যে পথ কেটে আমায় তোমরা এই নরকে আনলে আবার
সেই পথে ফের ফেরাও। আমি ভাসতে ভাসতে জলের মধ্যে

দেখি আমার মতন আরও অনেকগুলো বুভুক্ষু প্রাণ
মায়ের নাড়ি চুষতে চুষতে বৃক্ষ হওয়ার স্বপ্ন দেখছে।

 

*ছবি সৌজন্য: Pixabay

তমোঘ্নর জন্ম ১৯৯৮ সালে হুগলির আরামবাগে। বর্তমানে তারকেশ্বরের স্থায়ী বাসিন্দা। রবীন্দ্র মহাবিদ্যালয়ে ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে স্নাতক পাঠরত। শখ বলতে গান শোনা আর বই পড়া। 'মাসিক কবিতাপত্র', 'কবিতা আশ্রম', 'যাপনচিত্র', 'শুধু বিঘে দুই', 'তবুও প্রয়াস', 'বাক্'-সহ বিভিন্ন ওয়েবজিন ও লিটল ম্যাগাজিনে কবিতা প্রকাশিত হয়েছে।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *