কালী

আমাদের বিপরীত মুদ্রাকালে তোমার উন্মাদ এলোকেশী শীৎকার
নখ বসে যাওয়া রক্তপাতে উল্লাসের স্রোত,
নগ্নিকার এত রূপ!
প্রতিবার প্রলয় সমাধা হলে শবদেহপ্রায় পড়ে থাকি..
তোমার অন্তিম লোহুবর্ণ চোখে তাকাতে পারি না,
যেন মনে হয়- প্রতিটি সম্পর্কশেষে
সংগ্রহ করে রাখছ নরমুণ্ডদল…

 

ছিন্নমস্তা

পিপাসা মেটেনি, এখনো প্রচণ্ড তৃষ্ণায় কাতর আমি
কাম-রতি দাও… তোমার দু’পাশে শুধু আমার শৃঙ্গার
বিপরীতে যাওয়া ধর্ম তোমার, খাদক তুমি
বন্য আহ্বানে প্রকাশ করো সমস্ত মিথুননীতি
সংযোগ স্থাপনকালে তুমিই চালিকাশক্তি- চণ্ডিকা
প্রবল বেগের মুহূর্তে সমস্ত খোলা চুল
ঢেকে দেয় তোমার সারাটা মুখ…
যেন এক মুণ্ডহীন শরীরের ওঠানামা।
নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে পরিতৃপ্ত দেহে
পরবর্তী তৃষ্ণার প্রস্তুতি নাও।

পড়ানোটা জীবিকা হলেও আসল নেশা বই পড়া। প্রথম ভালোবাসা কবিতা। কবিতা লিখতেই বেশি স্বচ্ছন্দ। দু'টি ক্ষীণকায় বই তার সাক্ষ্য বহন করছে - প্রতিপক্ষ হেরে যাচ্ছে এবং টেগোর সাব অথবা ছিন্নপত্র। আড্ডা দেওয়াটাও আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ কাজ বলে মনে করেন। অলমিতি।

One Response

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *