চঞ্চলচন্দ্র চন্দ্র, সংক্ষেপে সিসিসি, আমাদের পাড়ায় নতুন এসেছেন। খুব শান্ত মানুষ। নিজেকে নিয়েই থাকেন। আমাদের পাড়াটিও শান্ত। এ এক অদ্ভুত এলাকা। দীর্ঘ যে রাস্তা বিটি রোডকে সংযুক্ত করেছে, তার ডানদিকে টালা পার্ক খণ্ড খণ্ড। একটি সার্কাস ময়দান। এখনও সার্কাস আসে, চলে যায়, কিন্তু বাঘ সিংহের গর্জন না থাকায়, সার্কাসের সেই আমোদের অনেকটাই চলে গেছে। সার্কাস ময়দানের পর টালার জলাধার। তা শেষ হলে একটি তালাবন্ধ উদ্যান। উদ্যানের ওপারের রাস্তায় লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। আরও পরপর বাড়ি। এই এলাকায় গত চল্লিশ-পঞ্চাশ বছরে তেমন কিছু পরিবর্তন হয়নি। জমি নেই, তাই বহুতলের বসতি কম। 

শহরের দক্ষিণপ্রান্ত যেভাবে বহু আবাসন কমপ্লেক্স এবং মল-জ্বলজ্বলে দোকানদানিতে ভর্তি হয়ে যাচ্ছে ক্রমশ, সবুজ উধাও হয়ে যাচ্ছে, এই অঞ্চল তেমন নয়। এখানে প্রচুর গাছ, প্রচুর পাখি, প্রচুর বাতাস, সকালে প্রচুর মানুষ পথে নেমে এসে স্বাস্থ্যচর্চা করেন। আমিও করি। আমি অনুতোষ মজুমদার। এই পাড়াতেই বড় হয়েছি। এখানেই আমার সব।

আমি এখানেই ফ্ল্যাটের মালিক হয়েছি। জীবনে এই একটি অর্জন। গাড়ি নেই। আমার তেমন বিলাস-ব্যসন নেই। বছরে একবার পুরী যাই কিংবা দিঘা, বকখালিও যাই। উত্তরবঙ্গে যাই সপরিবার। সপরিবার মানে স্বামী স্ত্রী। কন্যার বিবাহ হয়ে গেছে। সে থাকে অনেক দূরে। আমি পেনশন পাই খুব বেশি না। তবে কমও না। বড় চাকরি করিনি। প্রমোশনে প্রমোশনে যতটা উঠেছিলাম, ততটা মাত্র। পেনশন ছাড়াও সুদ আছে জমা টাকার।

আমাদের এই পাড়ার কিছু একতলা, দোতলা বাড়ি ভেঙে জি প্লাস ফোর উঠছে। ‘কাকলি’ নামের একটি বাড়ি ছিল। গানের ইস্কুল। সেই ইস্কুলে একটি শ্যামলবরণী  কিশোরী গান শিখতে আসত। আমি অনেকদিন তার নাম জানতাম না, কিন্তু প্রেমে পড়েছিলাম। তার মুখ দেখলেই বুক ভার হয়ে যেত। কতরকম কল্পনা করেছি তাকে নিয়ে। আমাদের দেখা হয়েছে নিঝুম রাস্তায়। তাকিয়ে আছি, কথা বলতে পারছি না। পরে জানলাম সে শ্যামাশ্রী।

আমি তাদের বাড়ি থেকে ভেসে আসা গান শুনতাম ভোরবেলায়। তখন ‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল কর মলিন মর্ম মুছায়ে গান’ বাতাসে ঢেউ দিত। তারপর সন্ধ্যার সময়, ‘এই লভিনু সঙ্গ তব, সুন্দর হে সুন্দর’। সেই সময় ছুটি সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। শ্যামাশ্রী হয়তো দেখেছিল। রবীন্দ্রনাথের গান তুলেছিল নিজের গলায়। একদিন দেখা হয়েছিল। একদিন কথা হয়েছিল। বলেছিলাম, তোমার গান শুনতে ভোরে বেরিয়ে পড়ি। তোমার গান শুনতে সন্ধ্যার সময় ঐ রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকি। সে মাথা নামিয়ে  বলেছিল,
– জানি। তোমার নাম কী? নাম বলতে সে বলেছিল,
– আমি শ্যামাশ্রী। এইভাবে দাঁড়াবে না, আমাদের দেখা হবেই। 
দেখা আর কোথায় হত? সে বলেছিল, চিঠি দিও।
-তুমি দেবে? আমি শিহরিত হয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম।
উত্তর দেব। মৃদু গলায় সে বলেছিল।

 

আরও পড়ুন: ধ্রুবজ্যোতি নন্দীর ধারাবাহিক উপন্যাস: গোলকিপার পর্ব ১

 

একটি চিঠিই দিয়েছিলাম। জবাব এই আসে, জবাব এই আসে, আসেই না। তাকেও কাকলি গানের বাড়ি যেতে দেখছি না। আচমকা শুনলাম, তার বাবা হঠাৎ মারা গেছেন। তারা গ্রামের বাড়িতে ফিরে যাবে। তার নাকি অপূর্ব গানের গলা, মোহিনী স্যার বলতেন, ও মেয়ে অনেক দূর যাবে। আমার বন্ধু সুমিত  বলল, একেবারে গীতা দত্ত। নিশি রাত বাঁকা চাঁদ আকাশে…। শ্যামাশ্রী আমাকে বলেছিল, কলকাতায় ফিরে এলে দেখা হবে। 

– চিঠি দিলে না? আমি বিষণ্ণ গলায় বলেছিলাম। সে বলেছিল,
– একটাই চিঠি দেব, দিয়ে যাব।
– তোমাদের গ্রামের ঠিকানা দাও। আমি বলেছিলাম। সে বলেছিল,
– না, আমি যদি গান নিয়ে ফিরে আসি দেখা হবে অনুতোষ।
গ্রামের নামটি বল। সে মাথা নেড়েছিল সে বিষণ্ণ মুখে।
– না। কী করবে, জানি না গান আর হবে কি না।  

আমি বারবার জিজ্ঞেস করেছিলাম গ্রামের নাম। কোন জেলা, কোন মহকুমা, কোন ব্লক। ব্লক, মহকুমার ধারণাই ছিল না তখন। গ্রামের নাম জানলেই যেন হয়ে যেত। গ্রামের নাম ধারাগোল, সেখানে চলে গেছে শ্যামাশ্রী। গ্রামের নাম কুসুমপুর, সেখানে চলে গেছে শ্যামাশ্রী। গ্রামের নাম হাঁসচরা, সেখানেও ফিরে যেতে পারে তারা। গ্রামের নাম নদীর কূলও হতে পারে। সেখানে গেছে  শ্যামাশ্রী সরকার। এই পর্যন্ত মনে আছে। তার শ্রীময়ী মুখখানি মনে পড়ে এখনও। চোখে বিন্দু বিন্দু জল– মনে আছে। মনে আছে সবুজের ভিতর শাদা বুটির ফ্রকটির কথা। সেই কিশোরী এখন পঞ্চাশ পার, কি তারও বেশি। আমি অনুতোষ, আমার বয়স ৬৫ হলো। এই পাড়া ছেড়ে আমি কোথাও যাইনি। তা কি শ্যামাশ্রীর জন্য? জানি না। যে ফ্ল্যাটে ভাড়ায় ছিলাম ছোটবেলা থেকে, সেই ফ্ল্যাটই কিনে নিয়ে আছি। 

আমি তাদের বাড়ি থেকে ভেসে আসা গান শুনতাম ভোরবেলায়। তখন ‘তুমি নির্মল কর মঙ্গল কর মলিন মর্ম মুছায়ে গান’ বাতাসে ঢেউ দিত। তারপর সন্ধ্যার সময়, ‘এই লভিনু সঙ্গ তব, সুন্দর হে সুন্দর’। সেই সময় ছুটি সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছিল। শ্যামাশ্রী হয়তো দেখেছিল।

আমাদের কত বন্ধু চলে গেছে এই অঞ্চল ছেড়ে। সুবীর শুনেছি অস্ট্রেলিয়া থাকে। সিডনি কিংবা মেলবোর্ন। ক্রিকেট থেকে নামগুলো জানা। কাকলি গানের ইস্কুলের কথাও মনে আছে আমার। স্পষ্ট। গানের ইস্কুলের ভিতরেই ঢুকে যেত শ্যামাশ্রী। গানের ইস্কুল থেকেই বেরিয়ে আসত শ্যামাশ্রী। সবুজের উপর সাদা বুটির ফ্রক। শনিবার বিকেল আর রোববার সকাল। সেই ইস্কুল হত বাড়িটির সামনের অংশে, বড় একটি ঘরে।

ভিতরের দিকে বাড়ির মালিক থাকতেন। গানের ইস্কুল ছিল ভাড়ায়। সাইনবোর্ডে তবলা, হারমোনিয়মের ছবি আঁকা ছিল। আর ছিল এলাহাবাদের সঙ্গীত নিকেতনের সঙ্গে নিবন্ধনের নং। কাকলি গানের ইস্কুল কবে উঠে গেল খেয়াল নেই। আমিও তো কতদিন কলকাতায় থাকিনি। চাকরি করেছি মফসসলে। মনে হত এই আমি শ্যামাশ্রীদের গ্রামের খুব কাছে এসে গেছি। নদিয়া, বর্ধমান, মেদিনীপুর, বাঁকুড়া… কত গ্রাম, কত গঞ্জ…।

কাকলি গানের বাড়িটিকে নিয়েই যত কথা। আমার যখন ছয়-সাত, আমি দেখেছি মেমসায়েব একটি লাল টুকটুকে বাচ্চার হাত ধরে এই রাস্তা দিয়ে চলেছেন। তাঁরাই নাকি ওই বাড়ির মালিক ছিলেন। কাকলি গানের ইস্কুলে নাকি পিয়ানো ছিল। মেমসায়েব শেখাতেন। তখন নাম ছিল হ্যারিয়েট মিউজ়িক স্কুল। হ্যারিয়েট কি ওই মেমসায়েবের নাম ছিল? তাঁরা চলে যেতে হল কাকলি গানের বাড়ি। চলে গেলেন কবে জানি না। কলকাতা থেকে লাল পাগড়ি পুলিশও চলে গেল। মেমসায়েবের পর ওই বাড়ি কিনেছিলেন যাঁরা, তাঁদের পরিবারের একটি ছেলে ক’দিনের জ্বরে মারা গেলে তাঁরাও বাড়ি বিক্রি করে চলে যান। 

শেষে ওই বাড়ি কিনেছিলেন নীলমাধব পালোধীর বাবা নীলাম্বর পালোধী। গত শতাব্দীর একাত্তর সাল হবে । বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে ১৯৭১-এর নভেম্বর মাসে ফরিদপুরের মধুতলা থেকে উচ্ছিন্ন  হয়ে এদেশে এসে কোনও উদ্বাস্তু শিবিরে না গিয়ে অনন্ত বিশ্বাস লেনের কুণ্ডু বাড়িতে ভাড়ায় ওঠেন পালোধী মশায় সপরিবার। তারপরই  ওই বাড়ি কিনে নেন। তাহলে উদ্বাস্তু বলা যাবে না। সব কিছু নিয়েই এসেছিলেন। বরং কিছু বেশিই নিয়ে এসেছিলেন। 

 

আরও পড়ুন: ধ্রুবজ্যোতি নন্দীর ধারাবাহিক উপন্যাস: গোলকিপার: পর্ব ২

 

এ পাড়ায় একটা কথা তখন ভেসে বেড়াত, পালোধীরা লুটের সোনাদানা শস্তায় পেয়েছিল অনেক। তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষে ছিল। শান্তি কমিটির লোক ছিল। হিন্দু কিন্তু পাক সেনাদের বিশ্বাসভাজন। এ নিয়ে আরও চর্চা আছে। জুড়ান রায় ওই সব কথার স্রষ্টা। বলত, ওরা ওদেশে মুসলমান হয়ে শান্তি কমিটির হোমরা-চোমরা হয়ে গিয়েছিল। জুড়ান রায়রা যশোরের লোক। ওরা মুক্তিযুদ্ধের দু’বছর আগেই ইন্ডিয়ায়  চলে এসেছিল। কিন্তু চিনত পালোধীদের। খবর রাখত অনেক। মধুতলা ছিল যশোরের কাছাকাছি। নীলাম্বর পালোধী ছিল জমি কেনাবেচার দালাল এবং মুহুরিও। যশোর সাবরেজিস্ট্রি অফিসে তাকে কে না চিনত! এক নম্বরের জালিয়াত। কত লোকের সব্বোনাশ করেছে জাল দলিলের কেনাবেচায়। তার অবস্থা এমন ছিল না যে খাস কলকাতা শহরে, টালা পার্কের সমুখে অতখানি জমি-সমেত বাড়ি কিনবে। 

জুড়ান রায় এই কথা কাউকে কাউকে বললেও তা নিয়ে কেউ মাথা ঘামায়নি কিংবা মাথা ঘামানোর সাহসই পায়নি। কেন ঘামাবে? লোকটা মানে পালোধী মশায়ের কত টাকা। ক্রিকেট ক্লাবে ডোনেশন দিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট হয়ে গেল, শাসক দলের নেতার সঙ্গে তাঁর ঘোরাফেরা। বাড়ি তো শুধু নয়, একটা মরিস মাইনর গাড়িও কিনেছিলেন পালোধী মশায়। সেই গাড়িতে কে না চেপেছে ?

তখন আমি মানে এই অনুতোষ মজুমদার স্কটিশ চার্চ কলেজে প্রথম বর্ষ। আমাকেও একদিন লিফট দিয়েছিলেন নীলমাধবের বাবা নীলাম্বর পাল। হ্যাঁ, পালোধীর ধী বাদ গিয়েছিল ক’দিন বাদেই। তখন তিনি কট্টর পাকিস্তান বিরোধী লোক। কী সব গরম গরম কথা বল্তেন বাজারে দাঁড়িয়ে। মুক্তিযুদ্ধ করেছেন। তিনি ছিলেন সেক্টর কম্যান্ডার। কিন্তু রাজাকার ও শান্তি কমিটির হাতে পরিবার খুন হয়ে যেতেন। মেয়েকেও বাঁচাতে পারতেন না। মেয়ে লুট হয়ে যেত। তাই পার হয়ে আসতে হল। আর ওদেশে ফিরবেন না। ইন্ডিয়া ভাল।  

ভিআইপি রোড, সল্টলেক সিটি তখন হয়নি। পূর্ব কলকাতা মানে মাছের ভেড়ি আর অগম্য গ্রাম সব। নতুন নগর গড়তে ভেড়ি বুজিয়ে বালির মাঠ পড়েছিল এখনকার সল্টলেক সিটিতে। সেখানে বড় উদ্বাস্তু শিবির হয়েছিল। যশোর, খুলনা, বরিশাল, ফরিদপুরের মানুষ সেই শিবিরে ছিল। জুড়ান রায় ছিল সেই শিবিরের ভল্যান্টিয়ার। সকালে সাইকেলে যেত শিবিরে, সন্ধেয় ফিরত। সেখান থেকেই খবর পেয়েছিল সে। এক রাত্তিরে কলমা পড়ে মুসলমান হয়ে পাকিদের পক্ষে কাজ করছিল নীলাম মোল্লা। পরে যখন বুঝল পাকিস্তান শেষ, মুক্তিযোদ্ধারা ফিরছে জয়ী হতে হতে, সে আবার হিন্দু হয়ে ভারতে ঢুকল। 

মুক্তিযোদ্ধারা কিন্তু নীলাম মোল্লাকে ছাড়ত না। যদিও কালের প্রবাহে এসব কথা ভেসে গেছে। মুক্তিযোদ্ধারা যখন দখল নিচ্ছে সব, পাক সেনা পালাচ্ছে, ইন্ডিয়ান আর্মি ঢুকছে একটু একটু করে, তখন না পালিয়ে উপায় ছিল না নীলাম মোল্লার। মানে ঐ নীলাম্বর পালোধীর। নীলমাধবের বাবার। কথাটা জুড়ান জানে। আর কেউ না। জানলেও কেউ বলে না। আবার জুড়ান যা জানে, তা সত্যি কিনা তা জুড়ানই জানে। এত বছর ধরে জেনে তো কিছু করতে পারেনি। বলতে বলতে সে বুড়ো হয়ে গেল। রাজাকার নীলাম্বর পালোধী মারা গেল। মারা গেলে তো অপরাধীর অপরাধ থাকে না। কিন্তু অপরাধ তো অপরাধই থাকে। যা ঘটেছিল তা মিথ্যে হয়ে যায় না।  (চলবে)

Amar Mitra

অমর মিত্রের জন্ম ১৯৫১ সালে বসিরহাটে। তবে বহুদিনযাবৎ কলকাতাবাসী। ১৯৭৪ সালে 'মেলার দিকে ঘর' গল্প দিয়ে সাহিত্যিক হিসেবে আত্মপ্রকাশ। প্রথম উপন্যাস 'নদীর মানুষ' ১৯৭৮ সালে প্রকাশিত হয় অমৃত পত্রিকায়। প্রথম গল্পের বই 'মাঠ ভাঙে কালপুরুষ'-ও ১৯৭৮ সালেই। রাজ্য সরকারি চাকরি করেও আজীবন সাহিত্যসাধনায় ব্রতী। ২০০৬ সালে 'ধ্রুবপুত্র' উপন্যাসের জন্য পেয়েছেন সাহিত্য অকাদেমি পুরস্কার। ২০০১ সালে বঙ্কিম পুরস্কার পেয়েছেন 'অশ্বচরিত' উপন্যাসের জন্য। এছাড়াও ২০০৪ সালে শরৎ পুরস্কার ও ২০১০ সালে গজেন্দ্রকুমার মিত্র সম্মান পেয়েছেন তিনি।

4 Responses

  1. শ্যামশ্রী আর অনুতোষকে চিনতাম বোধহয়। বহুদিন পর তাদের কথা আবার শুরু হল। বেশ রোমাঞ্চিত হলাম প্রথম কিস্তিতে। তারা চলুক। আমি তাদের অনুসরণ করব।

  2. পড়লাম প্রথম পর্ব।ভালো লাগছে।অনুতোষের স্মৃতিচারণায় অনেক টুকরো টুকরো ঘটনা এসে হাজির হচ্ছে।এখন দেখা যাক কাহিনী কোনদিকে মোড় নেয়।অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।পড়লাম প্রথম পর্ব।ভালো লাগছে।অনুতোষের স্মৃতিচারণায় অনেক টুকরো টুকরো ঘটনা এসে হাজির হচ্ছে।এখন দেখা যাক কাহিনী কোনদিকে মোড় নেয়।অপেক্ষায় রইলাম পরবর্তী পর্বের জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *