[আবহ-র পর পর্দা সরে। সামনের রাস্তায় কেউ নেই। তৃতীয় ঘরে আলো জ্বলে। গঙ্গাধর সোফায় বসে। তার পাশে ভিকি ও নবনীত বসে। উল্টোদিকে বাঁ দিকে সোফায় জাফর, কোকনদ ও সুরেশ বসে। হিমাংশু ও প্রমোদ ঠাকরে দাঁড়িয়ে আছে। আর একটা বসার জায়গায় বিনায়ক শিন্ডে ও শান্তা ওয়াদেকার বসে। অরুণা এক ভৃত্যের সহযোগিতা সকলকে চা ও স্ন্যাকস পরিবেশন করছেন। গঙ্গাধর ‘না’ ‘না’ করেও চা নেন। অরুণা হেসে গঙ্গাধরকে বলেন]

অরুণা: স্যার, আমি ভেতরে গেলাম। ডিনারের তদারকি করতে হবে। রাতে খাবেন অনেকে।

গঙ্গাধর: আপনি পারবেন এ সময় এসব করতে ম্যাডাম?

অরুণা: পারতেই হবে। উনি চলে গেছেন। বাড়ি তো আর থেমে থাকবে না। তাছাড়া বউমা আছে। ও আমাকে হেল্প করবে।

গঙ্গাধর: বউমা বলতে?

ভিকি: আমার স্ত্রী স্যার। আমার স্ত্রী। দিব্যা। মা-জি আর ও-ই তো সকাল থেকে সবকিছু সামলাচ্ছে।

গঙ্গাধর: আর নবনীত তুমি? তুমি ম্যাডামকে হেল্প করছ না?

নবনীত: না স্যার। আমার কাজ হল গেস্ট অ্যাটেন্ড করা। সবাই মিলে কিচেনে ঢুকে গেলে চলবে?

হিমাংশু: কেন, ধোকলা বানানোর সময় তুমি ছিলে তো নবু।

       (নবনীত কড়া চোখে হিমাংশুর দিকে তাকায়। হিমাংশু অপ্রতিভ হেসে     চুপ করে যায়)

গঙ্গাধর: (অরুণার দিকে তাকিয়ে স্মিত হাসেন) আপনি আসুন ম্যাডাম। কিচেনে যান। আমি একটু পরেই উঠব। (ঘড়ি দেখেন) সন্ধ্যেয় চেম্বার্স-এর একটা প্রোগ্রাম আছে ‘লীলা’-য়। আমারই শুরু করার কথা। বিনায়ক, ওদের জানিয়েছ আমার যেতে একটু দেরি হতে পারে?

বিনায়ক: হ্যাঁ ভাউ, জানিয়েছি।

প্রমোদ: আমি অবশ্য একবার অফিস হয়ে যাব। তা-ও সাবধানের মার নেই। (অরুণাকে) ঠিক আছে ম্যাডাম। আপনি যান।

অরুণা: প্রমোদজি একবার শুনবেন? একটা দরকার ছিল। ।

প্রমোদ: আসছি ম্যাডাম। আপনি এগোন।

(অরুণা ও ভৃত্য চলে যায়। গঙ্গাধর প্রমোদের দিকে দৃষ্টি দেন)

গঙ্গাধর: আপনি কে? মি: খান্নার উকিল?

প্রমোদ: স্যার, স্যার। বহুদিনের। উনি আমায় খুবই বিশ্বাস করতেন। আমার নাম প্রমোদ ঠাকরে।

গঙ্গাধর: কোনও সমস্যা নেই তো ঠাকরেভাই? 

নবনীত: না স্যার। কীসের সমস্যা? পিতাজি খুব বিচক্ষণ লোক ছিলেন। সব আটঘাট আগে থেকে বেঁধে রাখা লোক। তাছাড়া আমাদের সবাইকে উনি খুব ভাল বুঝতেন। 

ভিকি: কারেক্ট। কোনও সমস্যা নেই স্যার। আমরা দু’ ভাইবোন আর মা-জি। উকিলসাব সবই জানেন। উনি, উনি খুবই বিশ্বস্ত আমাদের।

গঙ্গাধর: (একবার প্রমোদের দিকে তাকিয়ে বলেন) বেশ। বেশ। সমস্যা না হলেই ভাল। আজকাল চারদিকে যা শুনি। ভাই ভাইয়ের গলা কেটে নিচ্ছে।

নবনীত: না স্যার। ভিকি আমার থেকে কত ছোট! আর আমাদের খুব ভাল আন্ডারস্ট্যান্ডিং।

বিনায়ক: মাঝে কাগজে একটা কী পড়ছিলাম, আপনাদের মধ্যে কী একটা যেন হয়েছে?

প্রমোদ: আরে ওসব কাগজওয়ালাদের কাণ্ড। তিলকে তাল করে তোলে।

বিনায়ক: না, না (নবনীতকে) এম.পি ইলেকশনের সময় আপনি টিকিট পেয়েছেন শুনে বোধহয় ভিকি গুজরাত থেকে লড়তে চেয়েছিল। তাই না?

গঙ্গাধর: আঃ, আজকের দিনে এসব কথা বলছ কেন বিনায়ক? এই শোকের দিনে।

বিনায়ক: সরি ভাউ। 

ভিকি: ওটা কাগজওয়ালাদের কাণ্ড। দিদির টিকিটের সঙ্গে আমার ইলেকশন লড়ার কী সম্পর্ক? দিদি তো জিতলে এটা ওর সেকেন্ড টার্ম হয়ে যেত। তবে আমি ভেবেছিলাম শিবকুমার খান্নার মেয়ে যদি এম.পি হতে পারে, তাহলে তাঁর ছেলে, মানে আমিই বা হব না কেন?

গঙ্গাধর: ঠিক তো। তবে তুমি তো দিদির বিরোধী দলে লড়তে চেয়েছিলে, তাই বোধহয় পত্রকাররা গসিপ করেছিল। ওদের কাজই তাই। আরে ভাই, ভিকি খান্নার পরিচয় কি শুধু শিবকুমার খান্নার ছেলে? এত বড় স্টার তুমি ভিকি। তবে তোমার পলিটিকসে কাজ করার ইচ্ছে থাকলে তুমি একবার তখন আমাদের কাছে আসতে পারতে।

ভিকি: আমিও তাই চেয়েছিলাম স্যার। কিন্তু পিতাজি তখন রাজি হলেন না। বললেন উনি জাতীয়তাবাদী দল করেছেন, তার ছেলে হয়ে কী করে আমি…

(থেমে যায়। ভিকি অপ্রস্তুত হাসে। গঙ্গাধরও হাসেন)

গঙ্গাধর: আঃ বিনায়ক। শোকের দিনে কেন তুমি এইসব কথা তুলছ? ভাইবোন দুই আলাদা পার্টি থেকে লড়তেই পারে। ভুলে যেও না শিবকুমার খান্নাকে অ্যাজ আ পলিটিশিয়ানও সারা দেশ চিনত। তাঁর ছেলেমেয়েদের অন্য কৌলীন্য আছে।

বিনায়ক: হ্যাঁ ভাউ, হ্যাঁ।

গঙ্গাধর: তা নবনীত বেটা, তুমি শুনলাম রাজ্যসভায় এবার নমিনেশন পাচ্ছ? সত্যি নাকি?

নবনীত: স্যার এসব মিডিয়ার গসিপ। আমি এসব ভাবছিই না। আমি এখন দলিতদের ওপর কাজ করছি স্যার। মানে আমার অরগানাইজ়েশন থেকে। কী করে ওদের সামাজিকভাবে আরও সুরক্ষিত রাখা যায়।

গঙ্গাধর: বাঃ। বাঃ। খুব ভাল। তোমাদের পার্টির কোটা তো রাজ্যসভায় বোধহয় তিনটে আছে।

নবনীত: আমি ঠিক বলতে পারব না স্যার। আমি আমার কাজ করে যাচ্ছি। পার্টি যদি মনে করে, আমার কথা ভাববে

হিমাংশু: দিনে কুড়ি ঘণ্টা কাজ করে স্যার। নাওয়া-খাওয়ার সময় নেই। ভাগ্যিস বাচ্চারা দেশে নেই। নইলে কী যে হত আমার। বাড়িতে কেউই টাইম দিতে পারি না।

গঙ্গাধর: (হিমাংশুর দিকে তাকান না। নবনীতকে বলেন) তোমার তো দুই ছেলে, তাই না? ওরা কোথায়?

নবনীত: দুজনেই মেলবোর্নে স্যার। ওখানকার ইউনিভার্সিটিতে পড়ছে।

হিমাংশু: বড়জন বায়োটেক, ছোটজন ম্যানেজমেন্ট। বড়টার ফেরার কথা নেক্সট ইয়ারে। আমার বিজ়নেস আর আমি একা সামহলতে পারছি না।

গঙ্গাধর: (অপরিসীম তাচ্ছিল্যে একবার হিমাংশুর দিকে তাকিয়ে মুখ ঘোরান জাফরের দিকে) তারপর, সুপারস্টার– কী খবর?

জাফর: এই তো স্যার আপনার দয়ায় সব ঠিকই আছে।

গঙ্গাধর: তা তুমি এখানে এতক্ষণ বসে? শ্যুটিং নেই আজ?

জাফর: না স্যার। পরশু আউটডোর যাচ্ছি। শুনলাম আপনি আসবেন, তাই…

ভিকি: কোথায় এবার? মরিশাস?

জাফর: না,না অরুণাচল।

ভিকি: এটা কার ছবি রে?

জাফর: চাড্ডাদের। (গঙ্গাধরকে) আমি চলে যাচ্ছিলাম স্যার। আপনি আসছেন শুনে থেকে গেলাম।

ভিকি: নায়িকা কে তোর?

জাফর: গ্লোরিয়া গঞ্জালভেস। (গঙ্গাধরকে) আপনি আসছেন, আপনাকে প্রণাম না করে কী করে চলে যাই?

ভিকি: ডিরেকটর কে রে এই ছবিটার?

জাফর: ব্রুনো বিশ্বাস। (গঙ্গাধরকে) আমার অনেক ভাল কপাল যে কতদিন পর আপনার চরণ ছুঁতে পারলাম।

(ভিকি আবার কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল। জাফর তার আগে ভিকিকে বলে)

জাফর: না রে। এটায় কোনও সেকেন্ড লিড নেই। সিঙ্গল হিরো। (গঙ্গাধরকে) আপনার শরীর ঠিক আছে তো স্যার? যা পরিশ্রম করেন আপনি দিনরাত।

গঙ্গাধর: (হাসেন) আরে, ওটা তো আমার ফর্জ। কর্তব্য। করতেই হবে। তা জাফর, কিছু খাস কাজ আছে কি আমার সঙ্গে? এতক্ষণ এখানে থেকে গেলে বলে বলছি। 

জাফর: (জিভ কাটে) না না স্যার। কী বলছেন? ব্যাস, আপনার আশীর্বাদ। আর কিছু চাই না

গঙ্গাধর: (কোকনদকে) পাপ্পু বেটা? খবর কী বেটা? সব ঠিক আছে তো? 

কোকনদ: হ্যাঁ, স্যার। আপনার আশীর্বাদে সব ঠিকই আছে।

গঙ্গাধর: ইন্দীবরজি এসেছিলেন তো? অফিসে বসে টিভিতে দেখছিলাম। 

ভিকি: অনেক্ষণ ছিলেন স্যার। পিতাজিকে খুবই রেসপেক্ট করতেন ইন্দীবরজি।

গঙ্গাধর: হ্যাঁ। পুরনো বন্ধু।(কোকনদকে) তা তোমার মাতাজি আসেননি বেটা? ধৃতিজি?

কোকনদ: মা তো দিল্লিতে। হাউস চলছে। সকালেই মা শোকপ্রকাশ করে টুইট করেছেন। টিভিতেও দেখিয়েছে স্যার।

গঙ্গাধর: ও হ্যাঁ, দিল্লিতে তো এখন হাউস চলছে। 

বিনায়ক: (শান্তাকে) ধৃতি খুরানা এখন অনেক চুপচাপ হয়ে গেছে, বুঝেছ শান্তা।

শান্তা: কেন?

বিনায়ক: উনি সেই আমাদের রিজিয়ন নিয়ে কী সব যেন একটা পি.সিতে বলেছিলেন। বিরাট বাওয়াল হয়েছিল। ইন্দীবরজিকে পাবলিকলি ক্ষমা চাইতে হল। কিরে পাপ্পু, ওসব আর কিছু হবে না তো?

গঙ্গাধর: আঃ বিনায়ক। শোকের দিন এইসব কথা তুমি কেন তুলছ? কতবার বারণ করেছি। (কোকনদকে বলেন) ধৃতিজিকে বোল ওটা ক্লোজ়ড চ্যাপটার। এই বিনায়ক শিন্ডেটা মাথামোটা বলে এসব কথা এখানে তুলছে।

শান্তা: কী ব্যাপার আঙ্কল এটা?

গঙ্গাধর: কিছু না বেটা। পরে বলব। (কোকনদকে বলেন) তুমি জানো বাঙালিদের আমরা কত ইজ্জত দিই। বাঙালিরাও আমাদের দেয়। আমাদের আত্মিক যোগাযোগ কত যুগের।

কোকনদ: স্যার, স্যার, মা তো প্রবাসী বাঙালি। অতকিছু না বুঝে বলেছিল। এরকম ঘোটালা হবে, মা বুঝতে পারেনি।

গঙ্গাধর: জানি তো। আসলে কী জানো বেটা, মুখের কথা বন্দুকের গুলির মতো। একবার বেরিয়ে গেলে আর ফেরে না। আমরা কত ইজ্জত দিই তোমার ফ্যামিলিকে জানো? দে আর আওয়ার নেশনস প্রাইড। সবথেকে বড় কথা, তোমা মা বাঙালি। আমরা কখনও কিছু বলেছি বাঙালি নিয়ে? শুনেছ?

বিনায়ক: শুধু ওই বিহারী নিয়েই যা আমাদের…

গঙ্গাধর: আঃ বিনায়ক। তোকে সঙ্গে নিয়ে আসাটাই আমার ভুল হয়েছে। শোকের দিন এইসব কথা কেউ তোলে?  

বিনায়ক: সরি ভাউ। আসলে মারাঠি নিয়ে কেউ কিছু বললে আমি সেটা ভুলতে পারি না। ভেতরে ঢুকে থাকে।

গঙ্গাধর: কী জানিস তুই মুম্বই আর মারাঠিদের সম্পর্ক নিয়ে? কিচ্ছু না। ফিফটিসে মুম্বই গুজরাতে চলেই যেত, যদি না আমরা, মারাঠিরা ওই আন্দোলন করতাম। পোর্ট স্ট্রাইক থেকে টেক্সটাইল মুভমেন্টসব আমরা করেছি। আমরা। আমরাই এই সাতটা আইল্যান্ডের ভূমিপুত্র। কত মানুষ থাকে জানো এই সেভেন আইল্যান্ডসে? লাস্ট সেনসাস রিপোর্ট বলছে, পার স্কোয়্যার কিলোমিটারে পঁচিশ হাজার মানুষ। সেন্ট্রাল মুম্বইয়ের কোনও কোনও জায়গায় বলছে, পার স্কোয়্যার কিলোমিটারে দশ লক্ষ লোকের বসবাস। সারা পৃথিবীতে ১৭৫টা দেশে টোটাল যা মানুষ থাকে, শুধুমাত্র মুম্বইতে তার থেকে বেশি লোক থাকে।   

(গলা তোলেন

এই সেই সর্বোচ্চ শহর যেখানে তাজমহল হোটেলে এক বোতল ফ্রেঞ্চ ওয়াইনের দাম যত, তাই-ই এখানকার অধিকাংশ গড় মানুষের মাসিক রোজগার। তাও এই শহরে কেউ কোনওদিন না-খেতে পেয়ে মরেনি। কোনওদিন না। পৃথিবীর প্রথম দশজন বিত্তবান ভারতীয় থাকে আমার এই শহরেই। মুম্বইতে। ভারতবর্ষের সবচেয়ে বৃহৎ, সবচেয়ে ধনী, সবচেয়ে গতিশীল শহরের নাম মুম্বই। গোটা দেশের ফর্টি পার্সেন্ট ট্যাক্স মেটায় আমার এই শহর। একটা রুটি আর ডালের জন্য যেখানে প্রতিদিন সারা ভারতে গ্যালন গ্যালন ঘাম ঝরে, সেখানে শরীরের ওজন কমানোর সবচেয়ে বেশি ক্লিনিক আমার এই শহরে। এই সেই শহর, যেখানে শ্রেষ্ঠ মডেল আর নায়িকারা না খেয়ে খেয়ে অ্যানোরেক্সিয়ায় ভোগে দেশে সবচেয়ে বেশি। আবার এই সেই শহর, যেখানে গ্ল্যামার, সম্পদ, কমপিটিশান আরব সাগরের তীরে প্রতিটি ঢেউয়ের সঙ্গে প্রতিমুহূর্তে চুঁইয়ে চুঁইয়ে পড়ে। কিন্তু যোগ্যতাকে কোনওদিন অপমা করেছি আমরা? কখনও না। বহিরাগত গুণী মানুষদের সবচেয়ে বেশি কদর করেছি আমরা। (কোকনদের দিকে তাকান) পাপ্পু বেটা, দিলীপকুমার থেকে রাজকাপুর, দেব আনন্দ থেকে সুনীল দত্ত, অমিতাভ বচ্চন থেকে রাজেশ খান্না, ধর্মেন্দ্র থেকে শাহরুখ, সলমন, আমির বা জাফর থেকে তুমি শুধু পাঞ্জাবী আর নর্থ ইন্ডিয়ানরা আমাদের এই পশ্চিম ভারতের শহরের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বছরের পর বছর চালিয়ে গেছে। লোকাল হিরো কোথায়  আমাদের? নেই। তা নিয়ে কখনও কিছু বলেছি আমরা? হ্যাঁ, তিন আলি নিয়ে বলেছি আমরা। শুধু মুসলমানরাই কন্ট্রোল করবে ইন্ডাস্ট্রি? হিন্দু থাকবে না? রোহন বা ভিকির মতো কেউ? বা তোমার মতো? ওরে ভাই সাউথ ইন্ডিয়ান হিরোদের সঙ্গে আমার রিলেশান জানো তোমরা কেউ? বা মিথুনদার সঙ্গে আমার সম্পর্ক কী, তোমরা কল্পনাও করতে পারবে না। ধৃতিজিকে বোল আমি, আমি গঙ্গাধর চাপেকার বলছি, আমি, আমরা সব্বাইকে ইজ্জত দিতে জানি। কিন্তু ইজ্জত নিতেও জানি। আমাদের জাতির সেন্টিমেন্টকে যারা মর্যাদা দেবে না, আমরা তাদের রেয়াৎ করি না। আমি, গঙ্গাধর চাপেকার বলছি একথা।

কোকনদ: স্যার। স্যার। আমাদের ফ্যামিলি আপনাকে, আপনার পার্টিকে খুব রেসপেক্ট করে স্যার।

গঙ্গাধর: জানি রে বেটা জানি। (থামেন) একটু পানি দাও তো ভিকি বেটা, এতক্ষণ বকবক করে গলা শুকিয়ে গেছে।

ভিকি: (জল দেয়) এই যে স্যার। (নবনীত ইশারা করে। ভিকি জাফরকে বলে) তাহলে কি তোরা এবারে

জাফর: হ্যাঁ হ্যাঁ আমরা চলি। চল পাপ্পু। দেবদর্শন হয়ে গেছে, এবার আমরা উঠি।

ভিকি: সেই ভাল।  আমরা একটু নিজেরা স্যারের সঙ্গে কথা বলি।

(জাফর আর কোকনদ গিয়ে গঙ্গাধরের হাঁটু ছোঁয়)

জাফর: স্যার চলি। ভিকি আর চাইছে না আমরা থাকি।

পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২১। 

আগের পর্বের লিঙ্ক [] [] [] [] [] [] [

জন্ম ১৯৬৯, ২৫ সেপ্টেম্বর, মেদিনীপুর। পূর্বতন প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। পরবর্তীতে সিটি কলেজে অধ্যাপনা। নাটককার, পরিচালক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্রাভিনেতা, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, গীতিকার সম্পাদক। 'কালিন্দী ব্রাত্যজন' নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার ও 'ব্রাত্যজন নাট্যপত্রের' প্রধান সম্পাদক। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মন্ত্রী। পেয়েছেন বহু পুরস্কার ও স্বীকৃতি। উল্লেখ্য সত্যেন মিত্র পুরস্কার, শ্যামল সেন স্মৃতি পুরস্কার, দিশারী পুরস্কার, রমাপ্রসাদ বণিক স্মৃতি পুরস্কার, খালেদ চৌধুরী স্মারক সম্মান, অন্য থিয়েটারের শ্রেষ্ঠ নাট্য নির্মাণ সম্মান। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন গজেন্দ্র কুমার মিত্র-সুমথনাথ ঘোষ স্মৃতি সম্মান। তাঁর সম্পাদনায় 'গিরিশ কথা' ও 'শিশির কথা' দু'টি বই তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, প: ব: সরকার কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। পেয়েছেন এবিপি আনন্দ 'সেরা বাঙালি ২০১৯' সম্মান। পেয়েছেন বাংলার নাট্যশিল্প জগতের সর্বোচ্চ সম্মান 'দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার'।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *