রচনার সময়কাল: ৬ই মে, ২০২০ – ১১ই মে, ২০২০।
চরিত্ররা (প্রবেশানুসারে): শিবকুমার খান্না (মরদেহ), অরুণা আরোরা, প্রমোদ ঠাকরে, কিছু আত্মীয়স্বজন, ভৃত্য, পুনম পাতিল, ভরত ভোঁসলে, ভরত ভোঁসলের পারিষদবর্গ, বিক্রম(ভিকি) খান্না, দিব্যা খান্না, রাস্তার কিছু জনতা, মহেশ খুরানা, নবনীত পুরী, ইন্দীবর খুরানা, কোকনদ খুরানা, জাফর খান, অর্জুন মেহরোত্রা, প্রণব ফড়নবিশ, টিকলি, সাগির হুসেন, গঙ্গাধর চাপেকর, দেহরক্ষীরা, বিনায়ক শিন্ডে, সুরেশ মোরে, শান্তা ওয়াদেকর, জয়দেব দেশমুখ, শাহাদাত শরাফ।
[পর্দা সরার আগে আবহ আসে। ফাঁকা রাস্তায় কিছু গাড়ি চলে যাওয়ার শব্দ আসে। তারপর ভোরের এফ.এম-এর বিজ্ঞাপনের শব্দ, আর.জে–র গলা আসে। রেডিওতে খবর হয়। খবর থেকে আমরা জানতে পারি অভিনেতা–রাজনীতিবিদ বর্ষীয়ান শিবকুমার খান্নার মৃত্যু হয়েছে। আবহ বাড়ে। পর্দা সরে। পর্দা সরে গেলে দেখা যায় মুম্বইয়ের বান্দ্রাতে সদ্য প্রয়াত বিখ্যাত চিত্রতারকা শিবকুমার খান্নার বাড়ি। মিডল স্টেজে পরপর তিনটি ঘরের আদল, যার একটির ভেতর থেকে অপরটিতে যাতায়াত করা যায়। তার পাশে একটি স্টোররুম, যার মাথায় কোনো আচ্ছাদন নেই। ওই তিনটি ঘরে সোফা, বসার বিভিন্ন আসবাব, টেবিল, ট্রফির্যাক ইত্যাদি রাখা। আপ স্টেজ থেকে একটি সিঁড়ি দেখা যায় যেটি তিনটি ঘরের যে মূল প্ল্যাটফর্ম তার পেছন থেকে ওপরে উঠেছে। প্ল্যাটফর্মের ওপরে, শিবকুমার খান্নার মরদেহ শোয়ানো। মরদেহের সামনে সাদা পোশাকে তাঁর বিধবা স্ত্রী অরুণা অরোরা (বয়স ৫০) বসে। তাঁর পাশে উকিল প্রমোদ ঠাকরে (৪৮) দাঁড়িয়ে। আরও দু -একজন আত্মীয়স্বজন বসা। মঞ্চের ডাউনে আরও বেশ কিছু লোক বসে আছেন দেখা যাচ্ছে। তারও পেছনে মুম্বইয়ের সমুদ্র ও বান্দ্রা-ওরলি ব্রিজের আদল দেখা যাচ্ছ। হালকা সুরে গম্ভীর জলতরঙ্গ বাজছে। ডাউন স্টেজে অর্থাৎ বাংলোর সামনে রাস্তায় সাংবাদিক পুনম পাতিল (বয়স ২৫) কথা বলছে। তার সঙ্গে একজন ক্যামেরাম্যান। তার নাম রাজু খোটে। দু-একজন উৎসুক জনতাও তাদের সঙ্গে আছে।]
পুনম: আজ ভোররাতে ভারতীয় সিনেমার ষাট ও সত্তর দশকের বিখ্যাত সুপারস্টার চিত্রাভিনেতা শিবকুমার খান্না প্রয়াত হয়েছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭। আপনারা জানেন এই সুপারস্টার কাম পলিটিশিয়ান গত এক বছর ধরেই দুরারোগ্য ক্যানসার রোগে ভুগছিলেন। গতবছর তিনি প্রায় তিনমাস আমেরিকার ক্যালিফোর্নিয়াতে শরীর নিরাময় করতে গিয়ে ছিলেন। পাঁচমাস আগে তিনি ভারতে ফেরেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছিলেন শিবকুমার খান্না সঙ্কটমুক্ত হয়ে গেছেন। কিন্তু গত দু’দিন তিনি হঠাৎই অসুস্থ বোধ করেন ও তাঁকে যশলোক হসপিটালে ভর্তি করা হয়। কাল রাতেই এই অভিনেতাকে হসপিটাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয় এবং তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। কিন্তু আজ শেষরাতে ভোর ৪.২০ মিনিটে এক গুরুতর কার্ডিয়াক অ্যাটাকে এই বর্ষীয়ান অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদের মৃত্যু হয়। ডাক্তার এসে যখন বাড়িতে পৌঁছন, তখন সব শেষ।
আমরা এখন তাঁর বান্দ্রার বাংলো ‘কোহিনূর’-এর সামনে দাঁড়িয়ে আছি। আপনাদের আবার বলি, আজ ভোররাতে ষাট ও সত্তর দশকের প্রখ্যাত সুপারস্টার চিত্রাভিনেতা ও রাজনীতিবিদ শিবকুমার খান্না পরলোকগমন করেছেন। তাঁর অভিনীত সুপারহিট সিনেমা ‘সওগাত’, ‘হর হর চুড়িয়া’, ‘শরারৎ’, ‘বাপু আউর ম্যায়’, ‘খানদানি রাজকুমার’ প্রভৃতি ছবি ভারতীয় দর্শকের মনে আজও গেঁথে আছে। তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী, বিরোধী দলনেতা ও বিধানসভার স্পিকার। দেশের প্রধানমন্ত্রী সকালেই টুইট করে জানিয়েছেন, ‘‘সুপারস্টার অভিনেতা রাজনীতিবিদ শিবকুমার খান্নার মৃত্যুতে আমি গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর পরিবার-পরিজনদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা। অসংখ্য ভারতীয় চলচ্চিত্রানুরাগীর মনে প্রয়াত শিবকুমার খান্নার প্রভাব থাকবে আজীবন অমলিন। এই সদাহাস্যরত মানুষটির প্রয়াণ ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ব্যথিত করেছে।’’ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও এক শোকবার্তায় জানিয়েছেন, ‘‘ভারতবর্ষে আরেক ইন্দ্রপতন। সত্তর দশকের সুপারস্টার শিব খান্নার প্রয়াণে আমি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছি। শিব খান্না অভিনীত ‘সওগাত’, ‘বেচ্যান বেচারা’, ‘বাপু আউর ম্যায়’, ‘মিলন কা সফর’ ‘গাঁওয়ার আনজানা’ প্রভৃতি ছবি মহারাষ্ট্র ও ভারতবর্ষে বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিল। ব্যক্তিগতভাবেও এই অভিনেতা ছিলেন মাধুর্যপূর্ণ, স্বল্পভাষী ও নম্র। অভিনয়জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি কিছুদিন মানবসেবায় ব্রতী হয়েছিলেন একথাও আমরা ভুলতে পারি না। আমি শিব-জির আত্মার শান্তি কামনা করছি। তাঁর সমস্ত আত্মজনদের প্রতি রইল আমার আন্তরিক সমবেদনা ও শ্রদ্ধা।’’ এইমুহূর্তে মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর হয়ে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী মাননীয় শ্রীভরত ভোঁসলে প্রয়াত সুপারস্টার শিবকুমার খান্নার মরদেহে মাল্যদান করতে এসেছেন। ওই যে তিনি বাংলো থেকে বেরিয়ে আসছেন। আমরা মাননীয় মন্ত্রী শ্রীভোঁসলের মুখে দু-চার কথা শুনে নেব।
[সপার্ষদ ভরত ভোঁসলে ভেতর থেকে বেরিয়ে আসেন। পুনম গিয়ে তার সামনে টেলিভিশন বুম ধরে।]
পুনম: গুড মর্নিং স্যার। আপনার প্রতিক্রিয়া—
ভরত: অত্যন্ত দুঃখের খবর। শিব-জি হয়তো আমাদের পার্টির লোক ছিলেন না, কিন্তু অভিনেতা হিসেবে তিনি ছিলেন প্রাতঃস্মরণীয়। আমি নিজে কলেজে পড়তে ওনার সিনেমা ‘বেচ্যান বেচারা’ যে কতবার দেখেছি তার ইয়ত্তা নেই। বিশেষত সুরেন্দ্র কাপুরের গাওয়া ওই বিখ্যাত গান ‘যমুনা কে পার মে বিতি হুয়ি গোপিয়া’ তখন আমাদর প্রজন্মের সবার মুখে মুখে ঘুরত। আমি তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।
পুনম: স্যার, আপনি কি সরকারের তরফ থেকে এসেছিলেন?
ভরত: অবশ্যই। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী সকালে খবর পেয়েই আমাকে ফোন করে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে বলেছেন।
পুনম: স্যার, মুখ্যমন্ত্রী নিজে কি আসবেন?
ভরত: আমি বলতে পারব না। আসতেও পারেন। তবে আজ তাইওয়ানের এক ডেলিগেট টিমের আসার কথা। মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর পুরো কর্মসূচী আমি জানি না, তবে আমি জানি সকালে উনি খুবই দুঃখ প্রকাশ করছিলেন। চলে আসতেও পারেন। কিন্তু এ ব্যাপারে আমি ঠিক বলতে পারব না।
পুনম: স্যার, শিব খান্নার কি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টি সৎকার হবে?
ভরত: এত কথা এই মুহূর্তে আমি বলতে পারি না। এটা সর্বোচ্চ প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত। আপনারা বরং কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন না। সবই জানতে পারবেন।
পুনম: থ্যাঙ্কিউ স্যার। আমরা এতক্ষণ কথা বলছিলাম রাজ্যের মাননীয় পর্যটনমন্ত্রী শ্রীভরত ভোঁসলের সঙ্গে। আপনারা দেখলেন প্রয়াত অভিনেতা শ্রীশিব খান্নার মরদেহে উনি সরকারি মাল্যদান করতে এসে গভীরভাবে শোক প্রকাশ করে গেলেন। আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকুন, আমরা একটু পরেই ফেরৎ আসছি। ক্যামেরায় রাজু খোটের সঙ্গে পুনম পাতিল, সমাচার টি.ভি। (ভরতকে পুনম বলে) ধন্যবাদ স্যার। অনেক ধন্যবাদ।
ভরত: ক্যামেরা বন্ধ তো ভাই?
পুনম: হ্যাঁ স্যার। এখন আমাদের বিজ্ঞাপনের ব্রেক চলছে।
ভরত: মাসে পঁচিশটা অমন সুপারস্টার মুম্বইতে মরে। সবার জন্য রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বা গান স্যালুট দেওয়া যায় নাকি? এ কি মেহবুব ব্যান্ডের বাজনা পেয়েছ?
পুনম: ঠিক স্যার। তবু আমাদের তো প্রশ্ন করতেই হয়। রুটিন প্রশ্ন। নইলে আবার ঝাড় খাব।
ভরত: হ্যাঁ, সে আমি জানি। (থামেন, তাকান) তুমি সমাচার টিভি? এন্টারটেনমেন্ট না পলিটিক্যাল?
পুনম: ওই ঝালে ঝোলে অম্বলে সবই করি স্যার।
ভরত: হুঁ। এই যে আমার কার্ড। তোমাদের চ্যানেলের কাছেই আমার একটা ছোট পার্টি অফিস আছে। একদিন ফোন করে এস। কফি খেতে খেতে আড্ডা দেওয়া যাবে। জানো তো, পার্টি আমাকে সামনের বার এম.পি নমিনেশন দিচ্ছে।
পুনম: (কার্ড নেয়) জি স্যার। অবশ্যই যাব। আগে আপনাকে টেক্সট করে নেব স্যার।
ভরত: ওই সেকেন্ডটা আমার ওয়াটসআপ নম্বর।
পুনম: (কার্ড দেখে) ঠিক স্যার। অনেক ধন্যবাদ স্যার।
[ভরত ভোঁসলে চলে যায়। পুনম একটু ব্যাঙ্গাত্মক হাসে।]
পুনম: শালা ক্যাবিনেট থেকে যে কোনো দিন বাদ পড়তে পারে, বলে কিনা এম.পি নমিনেশন পাবে। মোরগা পেয়েছে আমায়!
ক্যামেরাম্যান রাজু: (হি হি করে হাসে) তোমাকে পছন্দ হয়েছে বোধহয়।
পুনম: লাথ মারি শালা ওই পছন্দের (সচকিত হয়) দাঁড়া দাঁড়া, ভিকি খান্না আসছে মনে হচ্ছে।
(রাজু ক্যামেরা তাক করে। বাইরে থেকে শিব খান্নার ছেলে সিনেমার হিরো বিক্রম খান্না ওরফে ভিকি খান্না ও তাঁর স্ত্রী দিব্যা আসেন)
পুনম: স্যার, স্যার একটা বাইট।
ভিকি: না না হবে না এখন। পিতাজি ভোরবেলা মারা গেছেন, আমি জেনেছি দেরিতে। কাল রাতে আমার মোবাইলের চার্জ চলে গেছিল। আমি কাল রাত দশটাতেও পিতাজির সঙ্গে ফোনে কথা বলেছি। হি ওয়াস অ্যাবসোলিউটলি অলরাইট। ইটস আ শকিং নিউজ ফর মি। বোল্ট ফ্রম দ্য ব্লু। (চোখে রুমাল দেয়) আমার একমাত্র অবলম্বন, আমার জীবনের সবথেকে বড় সাহারা আমার পিতাজি। না বলে চলে গেলেন।
(ভেতরে ঢুকে যায়। পুনম দৌড়তে দৌড়তে যায়)।
পুনম: স্যার। স্যার। মোবাইলটা বন্ধ ছিল, তো খবরটা কি করে পেলেন?
দিব্যা: (যেতে যেতে বলে) আমার ফোন চালু ছিল তো। আমার শাশুড়িমা ওকে না পেয়ে আমার ফোনে কল করেন।
[ভিকি আর দিব্যা ভেতরে ঢুকে যায়। পুনম দাঁড়িয়ে পড়ে। একজন জনতা ওকে জিজ্ঞেস করে]
১নং জনতা: আচ্ছা দিদি, ওই মেয়েটা কি ভিকি খান্নার বউ?
[পুনম উত্তর দেয় না। সে রাজুকে ক্যামেরা অন করতে ইশারা করে। রাজু ক্যামেরা অন করে। পুনম স্টুডিওতে যোগাযোগ করে।]
পুনম: হ্যাঁ, কিরণ বলো। হ্যাঁ, শুনতে পাচ্ছি, ঠিক। ঠিক, না তুমি দেখলে প্রয়াত অভিনেতা শিব খান্নার একমাত্র পুত্র ফিল্মস্টার ভিকি খান্না এইমাত্র তাঁর পৈতৃক বাড়ি ‘কোহিনুর’-এ এসে পৌঁছলেন। ভিকি খান্না জানালেন যে, কাল রাতেও তাঁর সঙ্গে তাঁর প্রয়াত পিতা শিবকুমার খান্নার টেলিফোনে কথাবার্তা হয়েছিল। ভিকি খান্নার মনে হয়েছে যে, প্রয়াত শিব খান্না কাল রাতেও বেশ সুস্থ ছিলেন। ভিকি খান্নার সঙ্গে তাঁর স্ত্রী দিব্যা খান্নাও ছিলেন। তিনি আমাদের জানিয়েছেন, কাল রাতেও শিব খান্না খুব হাল্কা ডিনার করেছিলেন। দু পিস্ টোষ্ট আর একটু স্টু। বউমা দিব্যা আমাদের এও জানিয়েছেন যে, তাঁর শাশুড়ি অর্থাৎ অভিনেত্রী অরুণা অরোরা নিজের হাতে খাবার তৈরি করে শিব খান্নাকে পরিবেশন করেন। তখনও নাকি এই বর্ষীয়ান অভিনেতা খুব হাসিখুশিই ছিলেন। যাই হোক, কিরণ, নিশ্চয়ই আজ গোটা বলিউড ইন্ডাষ্ট্রির নজর কোহিনুরের উপরে পড়বে। আমি যেমন যেমন খবর পাব, দর্শকবন্ধুদের দেখাতে থাকব। আবার বলি, আজ ভোররাতে ষাট ও সত্তর দশকের প্রখ্যাত সুপারস্টার বিশিষ্ট অভিনেতা-রাজনীতিবিদ শিবকুমার খান্নার মৃত্যু ঘটেছে। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭। বান্দ্রায় তাঁর নিজস্ব বাংলো কোহিনুরেই এই বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যু হয়। শিব খান্নার মৃত্যুতে গোটা বলিউড জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁর মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন….
[আরেকটি চ্যানেলের সাংবাদিক মহেশ খুরানা ঢোকে। তার সঙ্গেও ক্যামেরাম্যান। পুনম বলে যায়, অন্ধকার হয়।]
*ছবি সৌজন্য Pinterest
পরবর্তী পর্ব প্রকাশিত হবে ৮ জানুয়ারি ২০২১
জন্ম ১৯৬৯, ২৫ সেপ্টেম্বর, মেদিনীপুর। পূর্বতন প্রেসিডেন্সি কলেজ ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী। পরবর্তীতে সিটি কলেজে অধ্যাপনা। নাটককার, পরিচালক, অভিনেতা, চলচ্চিত্র পরিচালক, চলচ্চিত্রাভিনেতা, প্রাবন্ধিক, অনুবাদক, গীতিকার সম্পাদক। 'কালিন্দী ব্রাত্যজন' নাট্যগোষ্ঠীর কর্ণধার ও 'ব্রাত্যজন নাট্যপত্রের' প্রধান সম্পাদক। বর্তমান পশ্চিমবঙ্গ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের মন্ত্রী। পেয়েছেন বহু পুরস্কার ও স্বীকৃতি। উল্লেখ্য সত্যেন মিত্র পুরস্কার, শ্যামল সেন স্মৃতি পুরস্কার, দিশারী পুরস্কার, রমাপ্রসাদ বণিক স্মৃতি পুরস্কার, খালেদ চৌধুরী স্মারক সম্মান, অন্য থিয়েটারের শ্রেষ্ঠ নাট্য নির্মাণ সম্মান। বাংলা সাহিত্যে অবদানের জন্য পেয়েছেন গজেন্দ্র কুমার মিত্র-সুমথনাথ ঘোষ স্মৃতি সম্মান। তাঁর সম্পাদনায় 'গিরিশ কথা' ও 'শিশির কথা' দু'টি বই তথ্য ও সংস্কৃতি বিভাগ, প: ব: সরকার কর্তৃক প্রকাশিত হয়েছে। পেয়েছেন এবিপি আনন্দ 'সেরা বাঙালি ২০১৯' সম্মান। পেয়েছেন বাংলার নাট্যশিল্প জগতের সর্বোচ্চ সম্মান 'দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার'।
সুপ্রভাত। খুব সুন্দর ভাবে আরম্ভটা হলো। মগর, শো তো অভি বাকি হ্যায় ……….