দাবানল 

এ অপচয় তোমাকে মানায় না কবি!
এ নিশ্চেষ্ট সময়…
ঝুরো বালির আরামকেদারায় এ সৈকতবিলাস

জানো না কি হলকা বাতাসে আসা
দাবানলের খবর?
হরিণের ত্রস্ত ছুটে যাওয়া,
সবুজের পোড়া গন্ধ

তোমার অশ্বত্থের পাতা ছাওয়া দিন…
তোমার ফ্লুরোসেন্ট উদ্বায়ী রাত…
তোমার সম্মাননার ছোট বড় স্তম্ভসঙ্কুল পথ…
পার হয়ে, সব খবর আর বুঝি পৌঁছায় না,.. 

নাহলে জানতে পারতে, যে পাখিটাকে নিয়ে
গান লিখেছিলে, পরম মমতায়…

তার ডানাতেও আজ জঙ্গলের আগুন !


 

Theatre

 

থার্ড বেলের পর

ধীরে ধীরে পর্দা সরে গেল,
দেখলাম,
ওপাশেও কোনো দর্শকাসন নেই…
দু’দিকেই মঞ্চ!
মুখোমুখি বসে… আমি আর তুই।

নাট্যকারের পরিহাস?
তা হোক, — এ সময় বয়ে যায় না যেন…
ধরে রাখতে  হবে,
যেমন পদ্মদীঘির জল, টলটলে, স্থির..

সেই সব কবেকার কথা…
দীঘি হয়ে রয়ে গেছে 
পশ্চিম পাড়ে তার জলজ উদ্ভিদ…
অস্পষ্ট মায়ার মতো… জড়ায়  
হাতে পায়ে গলায়… 

তুচ্ছ থেকে অতিতুচ্ছ স্মৃতি
ভেসে আসে,
কতদিন অপেক্ষায় ছিলাম
খড়িমাটির দাগ শুকোলে
সূক্ষ্ম কলকাগুলো সেজে উঠবে
একটা গোটা আল্পনায়।

পর্দা সরে গেছে, সামনে তেপান্তর…
উইংসের পাশে জমাট আকাশে
তারাদের অনন্ত সাক্ষ্য…
তৈরি পক্ষীরাজও!
……. যাবি?

চল…

কর্মক্ষেত্রের দাবি এবং প্রকাশের জড়তা কাটিয়ে প্রথম আত্মপ্রকাশ ২০১৪ সালে। মানসের এযাবৎ প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ দু'টি বিদগ্ধমহলে সমাদৃত। এছাড়া একাধিক পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গেও তিনি যুক্ত। সমকালের সামাজিক, রাজনৈতিক ঘটনার অভিঘাত তাঁকে বিচলিত করে, কবিতায় উঠে আসে তার বেদনা, প্রতিবাদ। বিঘ্নিত হয় কবির নিভৃতযাপন। তারই মাঝে রঙ ছড়ায় হৃদয়ের গভীরে ডুব দিয়ে তুলে আনা মণিমুক্তো।

2 Responses

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *