জাপান দেশটার সঙ্গে আমার প্রথম পরিচয় করিয়ে দিয়েছিলেন জয় মুখার্জি। সেই ছোট্টবেলায় সাদা কালো টেলিভিশন, আর তাতে চিত্রহার বা রঙ্গোলির সময় আশা পারেখের পেছন পেছন টোকিওর রাস্তায় খুনসুটিতে মত্ত অভিনেতা জয় মুখার্জি! না, তখন আমার ভীষণ প্রিয় মুভি ইয়াসুজিরো ওজুর ‘টোকিও স্টোরি’র নাম শুনিনি। রবীন্দ্রনাথের জাপানযাত্রী পড়িনি। আর দেশের বাইরে কোথাও যাওয়ার কথা তখন কল্পনা ও সামর্থের বাইরে ছিল। বরং আকাশে সাদা দাগ কেটে চলে যাওয়া প্লেনের আওয়াজে ঘর থেকে দৌড়ে বেরিয়ে ছাদে বা উঠোনে গিয়ে, তাকে ঘাড় উল্টিয়ে দু’চোখ ভরে দেখে নেওয়াটাই ছিল শিহরণ!

অনেক বছর, অনেক দশক পেরিয়ে হঠাৎ করেই গতবছর জুন মাসে জাপান যাওয়ার সুযোগ ও সৌভাগ্য হল। জাপান বলা যদিও ঠিক হবে না। টোকিও এবং তার আশপাশের কিছু ঐতিহাসিক জায়গাতেই আবদ্ধ ছিলো আমাদের দশদিনের বেড়ানো। কী খেয়ে, কটার সময় হোটেল থেকে বেরিয়ে, কিসে চড়ে কোন কোন জায়গা দেখতে গেলাম, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ পড়তে ও দিতে কোনও দিনই আমার তেমন ভালো লাগে না। বরং কোথাও বেড়াতে গিয়ে সামগ্রিকভাবে কী দেখলাম এবং তার চেয়েও বেশি করে, কী অনুভব করলাম, তার গল্প শোনা-বলাতেই আমার বেশি উৎসাহ।

জাপানের ভালোমন্দের তুল্যমূল্য বিচার করতে হলে নানান দেশ দেখার যে বিশাল অভিজ্ঞতা থাকা দরকার, তা আমার একেবারেই নেই। তবু যে সামান্য দু’চারটি দেশ দেখার সৌভাগ্য হয়েছে, তা থেকে বলতে পারি জাপান অনন্য। টোকিওর রাজপথ থেকে গলি সর্বত্র ঘুরে ঘুরে মনে হত, এত আধুনিকতা, এত প্রাচুর্য্য বুকে নিয়েও একটা শহর এতো শান্ত এবং শিষ্ট হয় কী করে? শান্ত হতে গিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত আনন্দের ব্যঘাত ঘটেনি কোথাও। চলমান স্বপ্নের বুকে হাঁটছি মনে হত। এয়ারপোর্ট এবং সর্বত্র নিরাপত্তায় চোখ আছে – ত্রাস নেই, ব্যস্ততা আছে। ঠেলে এগিয়ে যাওয়া নেই, বাক্যালাপ আছে, হয়তো চাপা বিরক্তিও আছে কোথাও কোথাও- কিন্তু উঁচুগলা নেই। নেই মানে নেইই!
রাস্তায়, হাইস্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রীর ঢল আছে, স্বভাবসিদ্ধ চপলতা আছে, কিন্তু অশ্রদ্ধ উশৃঙ্খলতা নেই। ঠিক একশো বছর আগে জাপান ভ্রমণ প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন “জাপানি বাজে চেঁচামেচি ঝগড়াঝাঁটি করে নিজের বলক্ষয় করে না।” কাঁটায় কাঁটায় একশো বছর পরেও জাপান সেই পরিচয় ও অবস্থান থেকে যে সরে আসেনি, সেটাই উপলব্ধি করলাম।

দিন শুরু হয় একটু দেরিতে, আড়মোড়া ভেঙে। সামনের রাস্তা ঝাঁটপাট দিয়ে ধীরেসুস্থে খোলে দোকান। ঠিক যেন আমার নিজের পাড়ার চেনা মণিহারী দোকানটি! পরিপাটি সাইকেলের সামনের ঝাঁপিতে ফুল আর বাচ্চা নিয়ে মা বেরোন তাকে স্কুলে পৌঁছে দিতে। ছোট্ট কুকুর হাতে নিয়ে দাদু বেরোন দুধের বোতল আনতে। আবার স্কুলফেরত একটু বড় ছেলেমেয়েদের হৈ হৈ করে স্ট্রিটফুড খাওয়ার হিড়িক। মনে হত, উঁকি মারলে তাদের মাঝখানে বোধহয় কোনও ফুচকাওয়ালাকে দেখতে পাব!
অচেনা ভাষার আড়ালে এইসব চেনা দৃশ্য বুঝিয়ে দিত, রাজনীতি, ভৌগোলিক সীমানার কাঁটাতারের পেছনে, সব দেশের প্রাণভোমরা আসলে সহজ সরল এক নাগরিক জীবনের গল্প। দোকানে বাজারে ক্যাশ টাকার চল বেশি। তবে ক্রেডিট বা ডেবিট কার্ড ব্যবহারের সময় ক্রেতার হাত থেকে তা নেওয়া ও ফেরৎ দেওয়ার কায়দায়, ক্রেতার প্রতি যে সম্ভ্রম দেখানো হয়, তা তুলনাহীন। শুধুমাত্র জাপানের রেস্টুরেন্টগুলো নিয়েই আলাদা একটা গল্প লেখা যায়। বিদেশি পর্যটক হলে ভাষা আপনি বুঝবেন না, সেটা ধরে নিয়েই, রেস্তোরাঁগুলোর বাইরে কাচের শোকেসে রাখা থাকে প্রতিটি খাবারের নাম-সহ, প্লাস্টিক দিয়ে তৈরি তার হুবহু মডেল।

সেসব দেখে-বুঝে আপনি নিজেই টেবিলে বসে অর্ডার করতে পারবেন সামনে রাখা ট্যাবলেটে। প্রত্যেক টেবিল পিছু এক বা একাধিক ট্যাবলেট বা আইপ্যাড। তাতে সব খাবারের ছবি ও দাম-সহ আর এক দফা পুঙ্খ্যানুপুঙ্খ বিবরণ। ক্লিক করুন, খাবার সটান টেবিলে এসে যাবে। জাপানি, ইংরিজি কোনও ভাষা না বললেও চলে যাবে। তার আগে, রেস্টুরেন্টে ঢুকতেই একসঙ্গে সমস্ত কর্মী এক বিশেষ হৈহৈ সুরে অতিথিকে স্বাগত জানান।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জুতোচটি রেস্টুরেন্টের দরজার গোড়ায় খুলে বা ছোট টেবিলের পাশে ছেড়ে পা মুড়ে বসতে হবে। মনে পড়ল জাপানে এসে রবীন্দ্রনাথ ঠিক এই প্রসঙ্গে বলেছিলেন “বুঝলুম, জুতো জোড়াটা রাস্তার, পা জিনিসটাই ঘরের।” জাপানি বাড়ির মতোই রেস্টুরেন্টগুলোতেও অন্দরসজ্জা বলতে মাদুর ও কাঠের ছিমছাম ব্যবহার এবং অনেক হাউজ়প্ল্যান্টের আধিক্য। লক্ষ করতাম, প্রত্যেকবার কাঠের বাটিতে হাত ধোওয়ার জল আর লেবু দিয়ে যাওয়া হচ্ছে। সে দৃশ্য তৎক্ষণাৎ বহু যুগ আগের ছোট বেলার বিয়েবাড়ি মনে পড়াত! খাওয়ার আগে, পরে, মাঝে রেস্টরুম ব্যবহার করতে হলে কমপক্ষে দু’বার চটি বদল মাস্ট। পরিচ্ছন্নতা ব্যাপারটা জাপানে অন্য মাত্রায় মেনে চলা হয়।

মাউন্ট ফুজি যাওয়ার জন্য বাসে ওঠার পর বারবার পর্যটকদের মনে করানো হচ্ছিল যেন কোনওভাবেই খাবারের টুকরো বা জলের বোতল বাসের মধ্যে পড়ে না থাকে। প্রতিটি স্টপে ট্যুর গাইড নিজে এসে, সামান্যতম আবর্জনা জমলেও বায়োডিগ্রেডেবল প্লাস্টিক ব্যাগ এনে যাত্রীদের হাত থেকে নিয়ে যাচ্ছিলেন! লক্ষ করার মতো ব্যাপার হল, টোকিও ও তার আশপাশে যেখানেই গিয়েছি, রাস্তায়, বিশেষ করে স্টেশনে পাবলিক ট্র্যাশ প্রায় চোখে পড়ত না বললেই চলে! আমাদের আমেরিকায় তো ডাইনে বাঁয়ে ট্র্যাশবিন থাকে কোথাও বেরোলেই। সে অভ্যেস নিয়ে জাপান গিয়ে কী বিপদ! কোথাও হাতের ট্র্যাশ ফেলার কোনও জায়গা নেই! কেন? এ প্রশ্নের উত্তরে জেনেছিলাম, একটা কারণ, ১৯৯৫ সালের সারিন গ্যাস অ্যাটাক… যাতে প্রাণ হারিয়েছিলেন প্রায় বারোজন সাবওয়ে যাত্রী। সেই ঘটনা থেকে সাবধান হয়ে ব্যাপক মাত্রায় কমানো হয়েছিল পাবলিক ট্র্যাশক্যানের সংখ্যা। কোনওরকম গোপন অস্ত্র যেন কেউ ট্র্যাশক্যানের ভেতরে লুকিয়ে না রাখতে পারে, তাই ছিল উদ্দেশ্য।

দ্বিতীয় কারণ, রাস্তাঘাটে ট্র্যাশক্যানের সংখ্যা খুব কম, সেটা আগে থেকেই জানা থাকলে মানুষজন সচেতন হয়েই বাড়ির বাইরে বেরোবেন। প্লাস্টিকের বদলে এমন কিছু পাত্রে জল নিয়ে বেরোবেন যাতে সেটা বাড়ি ফিরিয়ে আনতে পারেন। হাতের কাপ, প্লাস্টিকের স্ট্র ছুড়ে ছুড়ে ফেলতে পারবেন না যত্রতত্র। এই ভাবে আপনা থেকেই বর্জ্যের ভাগ কিছুটা কমবে। একদিন টোকিওর বিখ্যাত উনো পার্কের সামনে গিয়ে দেখি, সেখানে বিভিন্ন পেশার অবসরপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষের দল পার্কের সামনে রাস্তা ঝাড় দিচ্ছেন। তাঁরা নাকি স্বেচ্ছাসেবী! মোটমাট জাপানের পরিচ্ছন্নতা, নিয়মশৃঙ্খলা, ভদ্রতাবোধের যে গল্প আমরা বরাবর শুনে অভ্যস্ত, তা যেন চাক্ষুষ করেও বিশ্বাস হয় না।
মাউন্ট ফুজি যাওয়ার রাস্তা, মাঝখানে লাঞ্চ ব্রেক ও ঘুরে দেখার জন্য টুরিস্ট স্পট ‘হাকোনে’র দৃশ্যাবলি একেবারে স্বপ্নের মতো! বাস থেকে চোখে পড়েছিল মাউন্ট ফুজির খুব কাছে, নিরিবিলি নরম সবুজের কোলে ছোটদের খোলামেলা স্কুল। তাতে ছুটোছুটি করে প্রজাপতির মতো খেলতে থাকা বাচ্চাদের দেখে মনে হয়েছিল কত ভাগ্যবান হলে কোনও শিশু এমন পরিবেশে পড়াশোনার সুযোগ পায়! সে যেন আর এক শান্তিনিকেতন।

আর ভূগোল বইয়ের পাতার বাইরে চোখের সামনে মাউন্ট ফুজিকে দাঁড়িয়ে থাকলে দেখলে গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠে একেবারে! ট্যুরগাইড গল্পে গল্পে জানালেন, তিনি নিজে এককালে ইংরাজি সাহিত্য নিয়ে পড়তে এসেছিলেন আমেরিকায়। ফিরে গিয়ে দেশে অধ্যাপনা করতেন। অবসর নিয়ে এখন গাইডের কাজ করেন ভালোবেসে, নানান দেশের মানুষের সঙ্গে জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত মিশতে চান বলে। আরও জানালেন, টোকিওর উপকণ্ঠে তাঁর বাড়ির আশপাশে বেশিরভাগ বয়স্ক মানুষের বয়স নাকি প্রায় একশো বা তারও উপরে!! সেঞ্চুরি করা নাকি কোনও ব্যাপারই না তাঁদের কাছে!
জাপানে আমরা মূলত ঘাঁটি গেড়েছিলাম টোকিওর উপকণ্ঠে আসাকুসা শহরে। সেখানে হোটেল থেকে বেরিয়েই গড়িয়াহাটের মতো বাজার, কিমোনোর দোকান, কিমোনো ভাড়া নিয়ে ছবি তোলার ব্যবস্থা। হোটেল থেকে কয়েক পা দূরেই বিখ্যাত সেনসোজি শ্রাইন। একসঙ্গে একটা জায়গায় এত ইতিহাস, ঐতিহ্য আবার এত আধুনিকতা, এত নাগরিক প্রাণচঞ্চলতা, স্থানীয় মানুষজন এবং পর্যটক সব্বাই মিলে এত ফুর্তি, অথচ একইসঙ্গে কী করে এত শান্তি বিরাজ করতে পারে, তা যেন বুঝেই ওঠা যায় না!

কামাকুরায় গ্রেট বুদ্ধ বা নিক্কো ন্যাশনাল পার্কের ঘন সবুজে ঢাকা তোশগু শ্রাইনের একদম ভেতরে গেলে, ঠিক আমাদের দেশের মতো হাতে বাঁধার ডোর, প্রসাদ জাতীয় কিছু পাওয়ার ব্যবস্থা রয়েছে টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাতে কোনওরকম জোরজুলুম নেই।
টোকিও শহরের প্রাণকেন্দ্রে নানা দ্রষ্টব্য স্থানের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখ্য ইডো মিউজিয়াম। শহরের ইতিহাস তুলে ধরতে টোকিওর প্রথম মিউজিয়াম। এটা না দেখলে টোকিও বেড়ানো অসম্পূর্ণ থেকে যাবে! যদিও আমার সবচেয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল, মিউজিয়ামের ভিতরে ঢোকার জন্য প্রায় আকাশছোঁয়া লাল রঙের এস্ক্যালেটর আর মিউজিয়ামের ভেতরে রাখা হাতে টানা রিকশা! ঠিক যেন পুরনো কলকাতার কোনও গলি থেকে নিয়ে আসা! টোকিও ঘুরতে ফিরতে ট্যুরিস্ট বাসের জানলা দিয়ে চোখ টানত শহরের বুক ফুঁড়ে ওঠা টোকিও টাওয়ার! লাল সাদা সে টাওয়ারও হুবহু দেখেছিলাম সেই জয় মুখার্জির গানেই!

রবীন্দ্রনাথ বলেছিলেন “হপ্তাখানেক জাপানে আছি কিন্তু মনে হচ্ছে, যেন অনেক দিন আছি।” একশো বছর পরে জাপান বেড়াতে গিয়েও সেই একই কথা ঘুরপাক খেল আমার মনে। জাপানযাত্রী-তেই আর এক জায়গায় লিখেছেন, “জাপানের যে-সৌন্দর্যবোধ সে তার একটা সাধনা, একটা প্রবল শক্তি।” যে দেশ গোটা বিশ্বকে নিত্যনতুন টেকনোলজি ও বুলেট ট্রেনের হদিশ দেয়, সে দেশ একশো বছর পর, এই গ্লোবালাইজেশনের যুগেও যে নিজের স্বাতন্ত্র হারাল না, তার মূলে বোধহয় সেই সাধনারই শক্তি।
টোকিও মেট্রোতে প্রতিদিন গড়ে যাতায়াত করেন ষাট লক্ষেরও বেশি মানুষ। কিন্তু প্রতিটি স্টেশনে ট্রেন ঢোকার মুখেই তৈরি হয়ে যায় অপেক্ষারত যাত্রীদের অতি সুভদ্র এক লাইন। ধাক্কাধাক্কি করে, ঠেলে ফেলে ট্রেনে ওঠানামা জাপানের জানা নেই। যে কথা না-বলে শেষ করা যাবে না, জাপানের ট্রেনে বাসে রাস্তায় দেখতাম, বেশিরভাগ অফিস ও স্কুলফেরতা ছেলেমেয়েদের মুখে মাস্ক পরা। করোনা-ত্রাস ছিল না কিন্তু তখন! তবুও সকলে মাস্ক পরে থাকতেন। স্বাস্থ্যসচেতনতা।

আমাদের জাপান যাত্রা অবশ্য শেষ হয়েছিল একটা ছোটখাটো ভূমিকম্পের অভিজ্ঞতায়, যাতে আমরা ভয় পেয়ে হোটেল ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে এসে দেখেছিলাম পথচলতি মানুষের বিন্দুমাত্র কোনও হেলদোল নেই! প্রায় প্রতিদিনই ছোটখাটো ভূমিকম্পে দুলে ওঠা ওঁদের কাছে নাকি কোনও ব্যাপারই নয়! চলে আসার আগের দিন গাঢ় সন্ধ্যেয় ফুরফুরে হাওয়ায় দাঁড়িয়েছিলাম টোকিও রেলস্টেশন চত্বরে। স্টেশনের অপূর্ব স্থাপত্যশৈলি, আলোআঁধারি, চারদিকে আলগোছে ছড়িয়ে পড়া জাপানি গানের সুর, সব মিলিয়ে আচ্ছন্ন হয়ে নিজেও গুনগুন করে উঠেছিলাম ….. “ইয়ে তো শহর মস্তানা, ইসকা অন্দাজ় মাশুকানা, জাপাআআআন, লাভ ইন টোকিও!”
টেক্সাসের হিউস্টনের বাসিন্দা! লেখালেখি ছোটবেলা থেকেই। গত দশ বছরে প্রবন্ধ , ছোট গল্প, কবিতা, রম্যরচনা প্রকাশিত হয়েছে দেশে বিদেশের বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকায়। এছাড়াও লিখেছেন নানান দৈনিক সংবাদপত্রে। লেখালিখির পাশাপাশি পড়তে, শুনতে, ভাবতে, জানতে, বেড়াতে ভালোবাসেন।
দারুন লেখা , টোকিও যেতাম একসময়। আবার চোখের সামনে ভেসে উঠল যেন
Thank you so much! 🙂