ছিলেন বাংলা নাটকের অভিনয়ের জগতে। কোনও বাসনাই ছিল না ফটোগ্রাফার হওয়ার। হঠাৎই একদিন, বন্ধু মারফত হাতে আসে ক্যামেরা। আর তাই নিয়ে বেড়াতে গেলেন রামপুরহাট। সেখানে তখন ‘গুপি গাইন বাঘা বাইন’-এর শ্যুটিং করছেন সত্যজিৎ রায়। সুযোগ পেয়ে তুলে ফেললেন বেশ কিছু ফিল্ম শুটের দৃশ্য! জীবনের প্রথম তোলা সেই আলোকচিত্র দেখেই স্বয়ং সত্যজিৎ রায় তাঁকে ফিল্ম ইউনিটের সদস্য করে নেন। আর উৎসাহ দিয়ে বলেন -‘আপনি তো মশাই আমার angle মেরে দিয়েছেন!’

বাকি টা ইতিহাস…
ইনি পদ্মশ্রী নিমাই ঘোষ.

২৫ বছর ছায়াসঙ্গীর মতন থেকে ক্যামেরাবন্দি করেছেন সত্যজিৎ রায়ের চলচ্চিত্র এবং ব্যক্তিগত জীবনের অসংখ্য, দুর্লভ মুহূর্ত। সেই সব অসামান্য আলোকচিত্র নিয়ে প্রকাশ হয়েছে অগণিত বই, হয়েছে দেশে বিদেশে বহু প্রদর্শনী, পেয়েছেন অসংখ্য সম্মান এবং পুরস্কার। সত্যজিৎ রায় ছাড়াও ওঁর শিল্পীসত্ত্বা সৃষ্টি করেছে আরও অনেক বিষয় নিয়ে অসাধারণ সব আলোকচিত্র। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত কাজ করে গিয়েছেন… সুদীর্ঘ ৫০ বছর।

নিমাই ঘোষের শিল্পী জীবনের কাহিনি, নানা ব্যঞ্জনা এবং সত্যজিৎ রায়ের সঙ্গে ওঁর ঘনিষ্ঠ সান্নিধ্য নিয়ে ছবি করেছেন ফটোগ্রাফার অনির্বাণ মিত্র এবং তীর্থ দাশগুপ্ত। ৪৮ মিনিটের এই তথ্যচিত্রে নিমাইবাবু এবং বিষয় সত্যজিৎ ছাড়াও ফুটে উঠেছে সাদা কালো ফটোগ্রাফির আভিজাত্য এবং কলকাতার পটভূমি… যা ছিল ওঁদের দু’জনেরই কর্মক্ষেত্র এবং ভালোবাসার শহর। ‘নিমাই ঘোষ – আ রে অফ লাইট’ ছবিটি দেশে বিদেশে সমাদৃত হয়েছে। ছ’টি দেশের ১৪টি ফিল্ম-ফেস্টিভ্যাল ঘুরে, চারটি পুরস্কার প্রাপ্তির পর এ বার মুক্তি পেল ইউটিউবে। 

আলোকচিত্র-শিল্পী অনির্বাণ মিত্র ক্যামেরায় ধরেছেন বনেদি বাড়ির অন্দরমহল, রাজভবন, বিভিন্ন পোর্ট্রেট এবং ইংরেজ আমলের কলকাতা। দেশে বিদেশে করেছেন একাধিক প্রদর্শনী। প্রকাশিত হয়েছে ছবির বইও। নিমাই ঘোষ ও সত্যজিৎ রায়কে নিয়ে তথ্যচিত্রের মাধ্যমে ফিল্মের যাত্রা শুরু। এখানে তাঁর সঙ্গী তীর্থ দাশগুপ্ত, যাঁর পেশা তথ্যপ্রযুক্তি, নেশা চলচ্চিত্র, ও বাংলা গ্রুপ থিয়েটার। ২০১৬ সালে জনপ্রিয় স্বল্পদৈর্ঘ্যের ছবি ‘পেপার বয়’-এর স্ক্রিপ্ট লেখক ও সহকারী পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছেন তীর্থ। 

ভিডিও গ্যালারি

banglalive logo

বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।