মন খারাপের দুপুর হলে তোমার সাথে,
আমরা কেমন হাত রেখে দিই হাতের ফাঁকে।
ওই যে দূরে পথের নেশায় হাঁটছে ছেলে,
নাগরাকাটার কুয়াশভেজা গল্প পেলে,
চোখের তারায় স্পর্ধিত সেই অমোঘ বাণী,
আমরা কেবল আঁধার খুঁজে মুক্তো আনি।

আর যেটুকু রোজের মতো থাকছে ভেসে,
যার খবরে দিন যাপনের সোহাগ এসে,
রোদের নীচেই উথালপাথাল অন্ধকারে,
নিজের লড়াই নিজের সাথেই যুদ্ধ করে।
রোজ হেরে যাই জিতব বলে একটা দিন-ই,
আমরা শুধু  সবুজ মেখে হাসতে জানি।

 

এই তো দেখ হাসছি আমি তোমার মতোই,
খাতায় লেখা দুঃখ গুলো মুক্ত যতোই।
উদ্দীপনায় চোখের তারার খড়কুটোতে,
আঁকড়ে ধরা শীতের বাকল উল্টোরথে।
কষ্ট নদী বৃষ্টি খোঁজে চাষার ক্ষতি,
সেই যে গেছে আর ফেরে না বৃহস্পতি।

দুহাত দিয়ে বাইছি তবু নষ্ট ফেরি,
আগলে রাখি মেঘ পিয়ানোর নীলকুঠুরি।
বেকুব যত রাস্তা গেছে ভিড়ের দিকে,
হাড়হাভাতে চাঁদের আলো রাখছি লিখে।
একটা দুটো আদিখ্যেতার ধরছি টুঁটি,
একটু পরেই তোমার আমার সবার ছুটি।

মুঠোয় ভরা বৃষ্টি দেব তোমায় ছুড়ে,
জারুল বনে লাগলে আগুন ডুবসাঁতারে।
কাল সে দামী আজ যেটুকু পড়ছে পাতে,
ধান ভাঙা গান টানিয়ে রাখি অন্তরাতে।
ঢেউ রেখে যায় খুদকুঁড়ো আর ভোরের কথা,
সেও তো ঘাতক, ছক ভাঙা সুর, অবৈধতা।

এমন করেই কাটছে সকাল ধূসর গানে,
শিরায় শিরায় সন্ধ্যা নামে গহরজানে।
ঝটপটিয়ে উঠছি শুধুই রাত-দুপুরে,
যেমন করে শরীর ভেজে জল নুপুরে।
অন্ধকারে হাঁটছি সবাই যে যাঁর মতো,
বাদ বাকিটা ভীষণ রকম ব্যক্তিগত।

বাদ বাকিটা ভীষণ রকম ব্যক্তিগত।

অনুপ ঘোষাল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কর্মচারী। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাণিজ্যে স্নাতকোত্তর করেছেন। কবিতা লেখার শুরু স্কুল ম্যাগাজিনে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় কবিতা লেখালেখি করেন। তবে লেখার চেয়ে পড়ার আগ্রহ বেশি। সাহিত্য ও ইতিহাস ওঁর প্রিয় বিষয়। এর বাইরে অনুপকে সবচেয়ে আকৃষ্ট করে মানুষ আর প্রকৃতি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *