রঙ্গারুন :

দার্জিলিং থেকে মাত্র ১৬ কিমি দূরে ঐতিহ্যশালী রঙ্গারুন চা বাগিচা। এক সময়ে এই বাগিচার চা সুদূর বাকিংহাম প্যালেসের অন্দর মহলে সমাদর পেত। পাহাড়ের গায়েই সাজানো গ্রাম। মেন রোড ছাড়াতেই গহীন অরণ্যের মাঝে জনহীন, নির্জন পাকদণ্ডী পেরিয়ে পথ গিয়েছে রঙ্গারুন চা বাগিচার দিকে। গ্রামের ঠিক নীচে নকশাকাটা সবুজ বাগিচা। উল্টো দিকের নীলচে পাহাড়ের কোলে কাঞ্চনজঙ্ঘা। এখান থেকে জলাপাহাড়, অবজারভেটরি আর টাইগার হিল সহ গোটা দার্জিলিংকে অসাধারণ লাগে। যদি জ্যোত্স্নার সময় হয় তা হলে তো আর কোনও কথাই নেই, মায়াবি রঙ্গারুন তখন স্বপ্নপুরী। প্রতিটা বাড়িতেই সাজানো গোছানো ফুলের বাগান আর রাসায়নিক সারমুক্ত ফসলের ব্যাবহার দেখতে দেখতে স্বছন্দে ঘুরে বেড়াতে পারেন চা বাগিচার অলিগলিতে। রঙ্গারুন থেকে হাঁটতে হাঁটতে ঘুরে আসতে পারেন রংদূর খোলা থেকে। শীতের দিনে এখানে হাজির হয় দেশ বিদেশের পরিযায়ী পাখির দল।
কী ভাবে যাবেন :
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে রঙ্গারুন চা বাগিচার দূরত্ব ৭৫ কিমির মত। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে দার্জিলিং যাবার পথে তিন মাইল মোড় থেকে ডান দিকে ৪ কিমি গেলেই রঙ্গারুন চা বাগিচা। এ পথে টাটা সুমো বা বলেরোতে গাড়িভাড়া পড়ে ৩৪০০ টাকার মত।

কোথায় থাকবেন :
রঙ্গারুন চা বাগিচার অভ্যান্তরে রাত্রিবাসের ঠিকানা খালিং কটেজ, এখানে থাকা খাওয়া নিয়ে জনপ্রতি এক দিনের খরচ ১৬০০ টাকা, যোগাযোগ-৯৪৭৫০৮১৫৭৭।
বারমেক :

কালিম্পং এর অনতিদূরেই ছোট্ট গ্রাম বারমেক,সিকিমের বারমিওক এর সাথে গুলিয়ে ফেলবেন না। কাঞ্চনজঙ্ঘার সঙ্গে মেঘেদের ভেলায় দিনযাপনের ঠিকানা। শান্ত, নিরিবিলিতে বসে যারা সারা দিন কাঞ্চনজঙ্ঘাকে আপন করতে চান তাদের জন্য এই বারমেক-এর ম্যাগনোলিয়া হোমস্টে আদর্শ।
প্রণয় গোলয় অনেক স্বপ্ন নিয়ে বানিয়েছেন এই আস্তানা৷ প্রতিটা কোনে আন্তরিকতার ছাপ। পরিষ্কার, পরিচ্ছন্ন তার সঙ্গে জিভে জল আনা খাওয়ার দাওয়ার। আর কী চাই? দু’টো দিন গিয়ে চিত্ত পিত্ত সব ঠান্ডা করে আসুন না।
খরচ- প্রতি জন মাত্র ১২০০/দিন

কী ভাবে যাবেন :
এনজিপি থেকে ওনার নিজেরই বোলেরো গাড়ির ভাড়া ৩৫০০।
এ ছাড়া আপনি শেয়ারে কালিম্পং এসে তার পর ও গাড়ি ভাড়া করতে পারেন।
যোগাযোগ প্রণয় গোলয় +৯১৭৪২৭৯৯০২২৭
অথবা +৯১৭৭৯৭৮৭৩২৪১
সিটং :

উত্তরবঙ্গের কোনও গ্রামে নিরিবিলিতে দুটো দিন কাটানোর জন্য সিটং ( sitong )আদর্শ জায়গা| মনোরম আবহওয়া, চারিদিকে কমলালেবু ও এলাচের বাগান আর পাহাড়ি লেপচাদের রোজ নামচা দেখতে দেখতে কখন দু’টো দিন কেটে যাবে বুঝতেই পারবেন না |
সিটং দুই ভাগে বিভক্ত— আপার ও লোয়ার সিটং। আপার সিটং থেকে কাঞ্চনজঙ্ঘা খুব পরিষ্কার দেখা যায়। আপার সিটং-এ থাকার ব্যবস্থা বলতে হোম-স্টে। বড় আন্তরিক ব্যবহার সকলের। আপার সিটং-এর আকর্ষণ যদি হয় কাঞ্চনজঙ্ঘা, তা হলে লোয়ার সিটং-এর আকর্ষণ হলো রিয়াং নদী। সারা বছর সিটংএ যাওয়া যায়| তবে সেরা সময় অক্টোবর ও নভেম্বর| এই সময় গাছের কমলালেবু সিটং কে আরও সুন্দরী করে তোলে|

এখান থেকে ট্রেক করে যাওয়া যায় লেপচা ফলস। যাওয়া যায় কবিগুরুর বাড়ি দেখতে, মংপুতে। পাইনের জঙ্গলে ঘেরা নামথিং লেকেও যেতে পারেন, তবে বর্ষাকাল ছাড়া এই লেক একেবারেই শুকনো থাকে। লেকের খানিক দূরেই রয়েছে অহলধারা, যেখানের শেলপু হিলস থেকে সূর্যোদয় দেখার জন্য ভিড় জমান পর্যটক থেকে স্থানীয়রা। সেখান থেকে লাটপেনচর ফরেস্ট। আঁকাবাঁকা অসাধারণ জঙ্গল পথ। এখানে জোরে কথা বলা বারণ, মোবাইল বন্ধ না করলেও সাইলেন্ট মোডে রাখতে হয়। পড়ন্ত বিকেলে জঙ্গলের রূপ বেশ রহস্যময় লাগে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে সেবক-কালিঝোরা মংপু হয়ে সিটং-এর দূরত্ব ৫৮ কিলোমিটার| সময় লাগে দু’ঘন্টার মত| ছোট গাড়ির ভাড়া ২০০০| বড় জিপের ভাড়া ২৫০০| সিজন অনুয়াযী গাড়ি ভাড়া বাড়ে কমে| তবে এই পথে কোনও শেয়ার জিপ পাবেন না|
বাংলালাইভ একটি সুপরিচিত ও জনপ্রিয় ওয়েবপত্রিকা। তবে পত্রিকা প্রকাশনা ছাড়াও আরও নানাবিধ কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে থাকে বাংলালাইভ। বহু অনুষ্ঠানে ওয়েব পার্টনার হিসেবে কাজ করে। সেই ভিডিও পাঠক-দর্শকরা দেখতে পান বাংলালাইভের পোর্টালে,ফেসবুক পাতায় বা বাংলালাইভ ইউটিউব চ্যানেলে।