আপনার কি সব সময় ক্লান্ত লাগে? যাই করুন না কেন সব সময় ঘুম পায়? শরীরে এনার্জি কমে গেলে এই সব লক্ষণ দেখা দিতে পারে| দোকানে গেলে আপনি এনার্জি বর্ধক হিসেবে একাধিক ওষুধ‚ সাপ্লিমেন্ট পাবেন| এমন কী বেশ কয়েকটা সফ্ট ড্রিঙ্ক ও পাওয়া যায় যা খাওয়ামাত্র নাকি শরীরে এনার্জি লেভেল বেড়ে যায়| এখন অবধি কিন্তু প্রমাণ হয়নি এই সব জিনিসগুলো থেকে সত্যিই এনার্জি পাওয়া যায় কি না| তার বদলে নীচে দেওয়া টিপ্সগুলো মেনে চলার চেষ্টা করুন| দেখবেন সমস্যা অনেকেটা কমে গেছে|

প্রাতঃরাশ বাদ দেবেন না:ব্রেকফাস্ট দিনের প্রথম খাবার| তাই এটা আপনার সারা দিন শরীরের এনার্জি লেভেল নির্ধারণ করে| তাই প্রাতঃরাশ না করলে শরীর নতুন করে শক্তি সঞ্চয় হয় না| ফলে যত সময় যায় ধীরে ধীরে আপনার শরীরে এনার্জি কমতে থাকে| সকালে তাই এমন খাবার দিয়ে ব্রেক ফাস্ট করুন যাতে প্রচুর কার্বোহাইড্রেড আর প্রোটিন আছে|

সুষম আহার: ভাল করে ব্রেকফাস্ট করেছেন বলে দুপুরে বা দিনের অন্য কোনও খাবার বাদ দেবেন না| প্রোটিন আর কার্বোহাইড্রেড সমৃদ্ধ খাবার ছাড়াও রোজ ফল খান| এ ছাড়াও এনার্জি বুস্টিং খাবার যেমন ডিম,ওটস বা বাদাম খাদ্যতালিকায় রাখুন|

ব্যায়াম: যতই সঠিক খাবার খান, ঠিক মতো ব্যায়াম না করলে কোনও লাভ হবে না| সকালে জগিং হোক বা সন্ধ্যা বেলায় ইভনিং ওয়াক, যে কোনও ব্যায়াম শরীরের জন্য খুব দরকারি|

প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন: মাঝে মাঝে জল কম খেলে ক্লান্ত লাগে| দিনে কম করে ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করুন |

জীবন থেকে স্ট্রেস কমিয়ে ফেলুন : স্ট্রেসের মধ্যে থাকলে খুব তাড়াতাড়ি এনার্জি কমে যেতে থাকে| এই সময় জোরে শ্বাস-প্রশ্বাস জারি রাখুন ,ভাল গান শুনুন বা ভাল কোনও সিনেমা দেখুন| যোগব্যায়ামের সাহায্যে স্ট্রেস কমাতে পারেন|

বদভ্যাস পাল্টান: মদ বা সিগারেট সেবনের পর কিছু ক্ষণের জন্য এনার্জি লেভেল বেড়ে গেলেও
তা আদতে কিন্তু ক্ষতি করে| তাই বুঝে শুনে মদ বা সিগারেট পান করুন|

খোশ মেজাজী মানুষদের সঙ্গে সময় কাটান: দেখা গেছে নেগেটিভ ইমোশন যেমন রাগ, ঈর্ষা, ফ্রাসট্রেশন এই সবের মধ্যে থাকলে স্ট্রেস বেড়ে যায় ফলে এনার্জি কমে যায়| তাই যতটা পারবেন হাসি খুশি মানুষের মধ্যে থাকার চেষ্টা করুন|

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *